অপরিচতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে অপরিচতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।

 

অপরিচতা গল্প পাঠের উদ্দেশ্য

 

অপরিচতা গল্পের লেখক হলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। উক্ত গল্পের মাধ্যমে লেখক যৌতুক প্রথা ও নারীর প্রতি অবহেলার দিক টি তুলে ধরেছেন। উক্ত গল্প পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যৌতুকের মন্দ দিক সম্পর্কে জানতে পারবে এবং নারীর প্রতি অবহেলা করা থেকে বিরত থাকবে।

 

অপরিচতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
অপরিচতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

 

অপরিচতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

 

প্রিয় একাদশ – দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, তোমাদের বইয়ের পাঠ্য বিষয় বস্তুর মধ্য অন্যতম ও প্রয়োজনীয় গল্প হলো অপরিচিতা। অপরিচতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর নিচে কয়েকটি দেওয়া হলো। আশা করি সেগুলো তোমাদের কাজে লাগবে। নিচে বাছাই করা কিছু প্রয়োজনীয় এবং যে বিষয় থেকে বেশি প্রশ্ন করা হয় এটা থেকে সেগুলোর অংশ বিশেষ দেওয়া হলো।

 

অপরিচতা গল্পের সৃজনশীল – ১

কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না। তিনি দেখিলেন, মেয়েটির বিবাহের বয়স পার হইয়া গিয়াছে, কিন্তু আর কিছু দিন গেলে সেটাকে ভদ্র বা অভদ্র কোনো রকমে চাপা দিবার সময়টাও পার হইয়া যাইবে। মেয়ের বয়স অবৈধ রকমে বাড়িয়া গিয়াছে বটে, কিন্তু পণের টাকার আপেক্ষিক গুরুত্ব এখনো তাহার চেয়ে কিঞ্চিৎ উপরে আছে, সেইজন্য তাড়া।

ক. অনুপমের পিসতুতো ভাইয়ের নাম কী?

খ. অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোট ভাইটি’— উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।

গ. উদ্দীপকের বরের বাপের সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামার সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিরূপণ করো।

ঘ. উদ্দীপকের ঘটনাচিত্রে ‘অপরিচিতা’ গল্পের খণ্ডাংশ প্রতিফলিত হয়েছে — উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

 

উত্তরঃ

ক. অনুপমের পিসতুতো ভাইয়ের নাম- বিনু।

খ. প্রশ্নোক্ত উক্তিটিতে ব্যঙ্গার্থে দেবতা কার্তিকের সঙ্গে অনুপমের তুলনা করা হয়েছে।

দেবী দুর্গার দুই পুত্র— অগ্রজ গণেশ ও অনুজ কার্তিকেয়। দেবী দুর্গার কোলে দেব সেনাপতি কার্তিকেয় অপূর্ব শোভা পায়। বড় হয়েও অনুপম কার্তিকের মতো মায়ের কাছাকাছি থেকে মাতৃআজ্ঞা পালনে ব্যস্ত থাকে। তাই পরিণত বয়সেও তার স্বাধীন ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে না। পাঠ্য গল্পের অনুপম পরিবারতন্ত্রের কাছে অসহায় ও ব্যক্তিত্বহীন একটি চরিত্র। উচ্চ শিক্ষিত হলেও তার নিজস্বতা বলতে কিছু নেই। তাকে দেখলে মনে হয় আজও সে যেন মায়ের কোলে থাকা শিশুমাত্র। এজন্যই বাজা করে অনুপমকে গজাননের ছোট ভাই কার্তিকের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

গ. যৌতুকের প্রতি মনোভাবের দিক থেকে উদ্দীপকের বরের বাপের সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামার সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য দুটোই রয়েছে।

‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপমের মামা যৌতুকলোভী চরিত্র। তিনি অনুপমের বিয়ের জন্য একটি জুতসই ঘর খুঁজছিলেন; যেখানে না চাইলেও অনেক টাকা যৌতুক পাওয়া যাবে। অনেক খোঁজাখুজির পর শম্ভুনাথ সেনের কন্যা কল্যাণীর সাথে মামা অনুপমের বিয়ে ঠিক করেন। বিয়ের দিনে মেয়ের বাড়ি থেকে দেয়া যৌতুকের গয়না নিয়ে অনুপমের মামা হীন মানসিকতার পরিচয় দেন। গয়নাগুলো আসল না নকল তা পরীক্ষা করার জন্য তিনি বিয়েবাড়িতে সেকরাকে সঙ্গে নিয়ে আসেন।

উদ্দীপকের বরের বাবার মাঝেও যৌতুকলোভী মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। কেননা বিয়ের জন্য মেয়ের বয়স বেশি হলেও যৌতুকের পরিমাণ তার চেয়ে বেশি বলে তিনি এ বিয়ে নিয়ে তাগাদা দেন। উদ্দীপকের বরের বাবার যৌতুকলোভী মানসিকতার এ দিকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। কিন্তু অনুপমের মামা যেমন গয়না পরীক্ষা করার জন্য সেকরাকে সাথে নিয়ে বিয়ে বাড়িতে আসেন তেমন বিষয় উদ্দীপকের বরের বাবার মাঝে দেখা যায় না। এছাড়া অনুপমের মামা মেয়ের বাবাকে যেভাবে অপমান করেছে সে বিষয়টিও উদ্দীপকের বরের বাবার মাঝে অনুপস্থিত। সুতরাং বলতে পারি, যৌতুককে কেন্দ্র করে উভয় ঘটনা আবর্তিত হলেও উদ্দীপকের বরের বাপের সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামার সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য দুটোই রয়েছে।

ঘ. উদ্দীপকের ঘটনাচিত্রে ‘অপরিচিতা’ গল্পের যৌতুক প্রথার মতো সামাজিক অসঙ্গতির দিকটি ফুটে উঠলেও যৌতুকের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধের দিকটি অনুপস্থিত

আলোচ্য গল্পে অনুপমের চরিত্রের মাধ্যমে যৌতুকের মতো ঘৃণ্য সামাজিক প্রথার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। অনুপমের মামা কন্যার বাবার দেওয়া গয়না যাচাই করার জন্য বিয়ে বাড়িতে সেকরাকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। এতে কন্যার বাবা শম্ভুনাথ সেন অপমানিত বোধ করেন এবং কল্যাণীর সঙ্গে অনুপমের নিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান। কল্যাণীও বাবার এ মতকে সমর্থন করে।

উদ্দীপকে যৌতুক প্রথার একটি দিক উপস্থাপিত হয়েছে, যেখানে বিয়ে প্রসঙ্গে মেয়ের বাবার চেয়ে বরের বাবার তাড়া বেশি দেখা যায়। কেননা মেয়ের বয়স বেশি হওয়ায় যৌতুকের টাকার পরিমাণও বেশি। উদ্দীপকে উল্লেখিত বরের বাবার এ অর্থলোভী মানসিকতা ‘অপরিচিতা’ গল্পের নুপমের মামার সঙ্গে মিলে যায়।

‘অপরিচিতা’ গল্প ও উদ্দীপকে যৌতুক প্রথার মতো সামাজিক ব্যাধির বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। তবে আলোচ্য গল্পে যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে বাবা ও মেয়ের সম্মিলিত প্রতিরোধের প্রসঙ্গ এসেছে। ফলে অনুপমের সঙ্গে কল্যাণীর বিয়ে ভেঙে যায় এবং পরবর্তীতে কল্যাণী মেয়েদের শিক্ষাদানের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করে। এছাড়া গল্পের প্রতিটি বিষয় নাটকীয় আবহের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা উদ্দীপকে দেখা যায় না। অতএব বলতে পারি, যৌতুক প্রথার সঙ্গে মিল থাকলেও উদ্দীপকের ঘটনাচিত্রে ‘অপরিচিতা’ গল্পের খণ্ডাংশই প্রতিফলিত হয়েছে। প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ।

See also  একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করার নিয়ম ২০২৩ [ New ]

 

অপরিচতা গল্পের সৃজনশীল – ২

বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনার পাঠ শেষ করতে করতেই আমার বোনের অনেক বয়স হয়ে যায়। তিন তিনবার তার বিয়ের সম্বন্ধ ভেঙে যাবার পর কেমন যেন হতাশ হয়ে পড়ি। একদিন তাকে ডেকে বলি, “সানজিদা, কাল বাসায় একটি নতুন বরপক্ষ তোকে দেখতে আসবে। শুনে ওর চেহারা কঠিন হয়ে ওঠে, বলে, ‘তুই শুধু শুধু ব্যস্ত হচ্ছিস তপন, প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আমার যা কাজ তা জীবনভর শেষ হবার নয়।

ক. কাকে ‘মাকাল ফল’ বলে বিদ্রুপ করা হয়েছে?

খ. অনুপমের বিবাহ যাত্রার বর্ণনা দাও।

গ. উদ্দীপকের সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর সাদৃশ্য- বৈসাদৃশ্যগুলো আলোচনা করো।

ঘ. উদ্দীপকটিতে অপরিচিতা’ গল্পের মূল বক্তব্য কতটুকু প্রতিফলিত হয়েছে? যৌক্তিক বিশ্লেষণ করো।

 

উত্তরঃ

ক. অনুপমকে ‘মাকাল ফল’ বলে বিদ্রূপ করা হয়েছে।

খ. অনুপম মহাসমারোহের সাথে বিয়ে করতে গিয়েছিল।

ধনী ঘরের ছেলে অনুপম। তাই তার বিয়েতে ছিল আভিজাত্যের ছোঁয়া। ব্যান্ড, বাঁশি, কন্সট কোনো কিছুরই কমতি ছিলো না। দামি পোশাক ও বাহারি গয়নাতে জড়ানো ছিল অনুপমের শরীর। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল সে ভাবী শ্বশুরের সঙ্গে আভিজাত্যের মোকাবিলা করতে বিয়ের আসরে যাচ্ছে।

গ. উদ্দীপকের সানজিদার সঙ্গে কল্যাণীর দৃঢ় ব্যক্তিত্বের সাদৃশ্য এবং যৌতুকের কাছে মাথা নত না করার ঘটনায় বৈসাদৃশ্য উভয়ই লক্ষ করা যায়।

‘অপরিচিতা’ গল্পে কল্যাণী চরিত্রটি বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। সমাজে গেড়ে বসা যৌতুকপ্রথার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ধ্বনিত হয়েছে এ চরিত্রের মাধ্যমে। পিতার কথায় অনুপমকে বিয়ে না করে সে পিতার যৌক্তিক সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। এছাড়া সমাজের অবহেলিত নারীদের শিক্ষাদানের মহান দায়িত্বে সে নিজেকে নিয়োজিত করতে চেয়েছে। সর্বোপরি সেবাব্রত ও নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে কল্যাণী এক অসাধারণ নারী চরিত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

উদ্দীপকের সানজিদা বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। সে বার বার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরও দুঃখে কাতর হয়নি। বিয়েই যে জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয় তা সে উপলব্ধি করতে পেরেছে। ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীও এমনই মানব সেবার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছে। সামাজিক প্রেক্ষাপটে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের পক্ষে মোটেও সহজ ছিল না। এরূপ বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বই তাদের দুজনকে এক করে দিয়েছে। কিন্তু কল্যাণী বরপক্ষকে বিয়ের আসর থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। পুরুষশাসিত সমাজের কাছে এমনকি যৌতুকের কাছে মাথা নত করেনি। তার চরিত্রে ফুটে উঠেছে প্রতিবাদী দৃঢ় ব্যক্তিত্ব। এসবের বিচারে উদ্দীপকের সানজিদার সাথে তার কিছু বৈসাদৃশ্যও বিদ্যমান ।

ঘ. উদ্দীপকটিতে ‘অপরিচিতা’ গল্পের মূল বক্তব্য আংশিক প্রতিফলিত হয়েছে।

‘অপরিচিতা’ গল্পেই প্রথম যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রতিরোধের কথা তুলে ধরেছেন লেখক। অপিরিচিতা বিশেষণের আড়ালে বর্ণিত হয়েছে বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী এক নারীর কাহিনি ব্যক্তিত্বের জাগরণ ও তার অভিব্যক্তিতে গল্পটি সার্থক হয়ে উঠেছে। উদ্দীপকে সানজিদা পুরুষশাসিত সমাজে বিরূপ মনোভাবের শিকার। কিন্তু সে বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের কারণে হতাশ হয়ে পড়েনি। মানবসেবায় সে নিজেকে ব্যস্ত করে রেখেছে। বিয়ে না হওয়া একজন নারীর জীবন দুঃখের হলেও সানজিদা। এটিকে জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য মনে করে না। এর মধ্য দিয়ে তার দৃঢ় ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। যদিও তার পরিবারের লাকজন তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।

‘অপরিচিতা’ গল্পে উদ্দীপকের বক্তব্য ফুটে উঠলেও সেই সঙ্গে ধ্বনিত হয়েছে প্রতিবাদের সুর। গল্পের কল্যাণী চরিত্রের মাধ্যমে তৎকালীন সমাজে নারী জাগরণের বিষয়টি উঠে এসেছে। সমসাময়িক যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ গল্পে উঠে আসলেও উদ্দীপকে তার আভাস নেই। সে যুগে কন্যাপক্ষ কর্তৃক বিয়ে ভেঙে দেওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। কিন্তু পিতা শম্ভুনাথ ও কন্যা কল্যাণীর স্বতন্ত্র মানসিকতা ও ব্যক্তিত্বের কারণে সেটা সম্ভব হয়েছিল। অন্যদিকে উদ্দীপকে কেবল নারী সত্তার জাগরণের কথাই উঠে এসেছে। এসব বিচারে উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের মূল বক্তব্যের সম্পূর্ণ প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি।

 

অপরিচতা গল্পের সৃজনশীল – ৩

প্রায় এক বছর হলো বাজিতপুর নিবাসী কেরামত আলীর ছোট মেয়ে বিজলীর সাথে মনোহরপুর গ্রামের হোসেন মিয়ার একমাত্র ছেলে হাশিমের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই হাশিমের পরিবার বিজলীর উপর অমানবিক অত্যাচার ও নির্যাতন শুরু করেছে। বিজলীর অপরাধ – বিয়ের সময় তার বাবা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যৌতুকের সমস্ত টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। তাই বিজলীকে নীরবে সহ্য করতে হচ্ছে এ নির্যাতন।

ক. কন্সট’ শব্দের অর্থ কী?

খ. অনুপমের মামার মন কীভাবে নরম হলো?

গ. উদ্দীপকের বিজলীর সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণী চরিত্রের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য তুলে ধরো।

ঘ. যদি অনুপমের সাথে কল্যাণীর বিয়ে হতো, তার পরিণতিও কি উদ্দীপকের বিজলীর মতো হতো? তোমার মতামত দাও।

 

উত্তরঃ

ক. ‘কন্সট’ শব্দের অর্থ নানা রকম বাদ্যযন্ত্রের ঐকতান।

খ. ‘অপরিচিতা’ গল্পের তরি অনুপমের মামার কাছে কল্যাণী ও তার পরিবারের প্রশংসা করার ফলে মামার মন নরম হলো।

বিয়ের পাত্রী তথা কল্যাণীর পারিবারিক অবস্থা, বংশমর্যাদার ব্যাপারে অনুপমের মামাকে বিশদ বর্ণনা দেয় হরিশ। সেসব কথা শুনে তিনি আশ্বস্ত হলেও কল্যাণীর বয়স বেশি মনে করে বিয়ে নিয়ে দ্বিধাগ্রস্তও হন। কিন্তু হরিশের ছিল নিজের সরস কথা দ্বারা মানুষের মনকে প্রভাবিত করার বিশেষ গুণ। তাই তো পরবর্তীতে তার কাছ থেকে পাত্রীর নির্ভরযোগ্য প্রশংসা বাক্য শুনে মামার মন নরম হয়েছিল।

গ. ‘অপরিচিতা’ গল্পে কল্যাণীর মাঝে দৃঢ়চেতা ও সাহসী মনোভাব লক্ষ করা যায়।

আলোচ্য গল্পের কল্যাণী বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী একজন নারী। একই সঙ্গে তাঁর পিতা শম্ভুনাথ সেনও দৃঢ়চেতা ও সচেতন মানুষ। পিতা-কন্যা উভয়ের মাঝেই আত্মসম্মানবোধ প্রবল ছিল। তাই তো কল্যাণী বিয়ে ভাঙার পর নারী শিক্ষায় ব্রতী হয়েছিল।

See also  এসএসসি শারীরিক শিক্ষা সাজেশন ২০২৩

উদ্দীপকের বিজলীর সঙ্গে হাশিমের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই হাশিমের পরিবার যৌতুকের কারণে বিজলীর ওপর নির্যাতন শুরু করে। বিজলী নীরবে এ নির্যাতন সহ্য করতে থাকে। অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর হবু শ্বশুরবাড়ির মানুষেরাও ছিল যৌতুকলোভী ও নীচু মনের অধিকারী। এছাড়াও বরের ব্যক্তিত্বহীনতা উপলব্ধি করতে পেরে কল্যাণীর পিতা এ বিয়ে ভেঙে দেন। আত্মসম্মানে বলীয়ান কল্যাণীও পিতার সিদ্ধান্তে দ্বিমত করেনি। বরের পরিবারের মানসিকতার দিক দিয়ে বিজলী ও কল্যাণীর মাঝে সাদৃশ্য ফুটে উঠলেও দৃঢ় ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি বিজলীর সঙ্গে কল্যাণীর বৈসাদৃশ্য তুলে ধরেছে।

অনুপমের সঙ্গে কল্যাণীর বিয়ের পর তার পরিস্থিতি উদ্দীপকের বিজলীর মতো হলেও কল্যাণী ওই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসত বলে আমি মনে করি।

ঘ. ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণী আত্মসম্মানে বলীয়ান এক নারী। তার সঙ্গে ঘটা অন্যায়কে প্রতিহত করার দৃঢ়তা তার রয়েছে।

বিয়ের দিনে তার পিতা বিয়ে ভেঙে দেওয়ার পর সে দেশসেবায় নিয়োজিত হয়েছে। পুনরায় বিয়ে করে নিজেকে মাতৃ-আজ্ঞা থেকে দূরে সরিয়ে রাখেনি। উদ্দীপকের বিজলীর সঙ্গে হাশিমের বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তার পরিবার বিজলীর ওপর অত্যাচার করতে থাকে। অত্যাচারের কারণ হলো যৌতুকের টাকা পরিশোধ না করা। এ অত্যাচার বিজলী নীরবে সহ্য করতে থাকে। অন্যদিকে আলোচ্য গল্পের কল্যাণীর হবু বরের পরিবারও ছিল যৌতুকলোভী। এ কারণে কল্যাণীর পিতা দৃঢ়তার সাথে বিয়ের সম্বন্ধটি ভেঙে দিয়েছিল। অনুপমের সঙ্গে কল্যাণীর বিয়ে যদি হয়ে যেত, নিঃসন্দেহে সেও বিজলীর ন্যায় নির্যাতনের শিকার হতো। কেননা অনুপমের পরিবারও ছিল যৌতুকলোভী ও নীচু মনের অধিকারী। কিন্তু কল্যাণী ছিল। দৃঢ়চেতা প্রতিবাদী নারী। সে অনুপমের পরিবারের নিপীড়ন থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা অবশ্যই করত।

কল্যাণীর মাঝে ফুটে ওঠা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এটাই নিশ্চিত করে, সে বিজলীর ন্যায় নীরবে অত্যাচার সহ্য করত না। আত্মসম্মানের শক্তি নিয়ে একসময় সে ওই অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতই। তাই বলা যায়, অনুপমের সঙ্গে কল্যাণীর বিয়ে হলে তার পরিণতি বিজলীর পরিণতির দিকে মোড় নিলেও তা থেকে নিজেকে মুক্ত করত কল্যাণী।

 

অপরিচতা গল্পের সৃজনশীল – ৪

‘কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না। তিনি দেখিলেন, মেয়েটির বিবাহের বয়স পার হইয়া গিয়াছে, কিন্তু আর কিছুদিন গেলে সেটাকে ভদ্র বা অভদ্র কোনো রকমে চাপা দিবার সময়টাও পার হইয়া যাইবে। মেয়ের বয়স অবৈধ রকমে বাড়িয়া গিয়াছে বটে, কিন্তু পণের টাকার আপেক্ষিক গুরুত্ব এখনো তাহার চেয়ে কিঞ্চিত উপরে আছে, সেই জন্যই তাড়া।’

ক. কন্যাকে আশীর্বাদ করার জন্য কাকে পাঠানো হলো?

খ. অনুপমের মামা সেকরাকে বিয়ে বাড়িতে এনেছিল কেন?

গ. উদ্দীপকের কন্যার বাপের সাথে অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামার সাদৃশ্য দেখাও।

ঘ. উদ্দীপকের ঘটনাচিত্র ‘অপরিচিতা’ গল্পের খণ্ডাংশের প্রতিনিধিত্ব করে মাত্র— কথাটির যথার্থতা বিচার করো।

 

উত্তরঃ

ক. কন্যাকে আশীর্বাদ করার জন্য অনুপমের পিসতুতো ভাই বিনুদাদাকে পাঠানো হয়েছিল।

খ. অনুপমের মামা যৌতুকলোভী ও হীন মানসিকতার মানুষ হওয়ায় বিয়ের গয়না পরীক্ষা করতে সেকরাকে বিয়ে বাড়িতে এনেছিল।

কল্যাণীর বিয়েতে তার বাবা শম্ভুনাথ সেন নগদ পণের সঙ্গে গয়না দিতে চান। অনুপমের মামা শম্ভুনাথ সেনের কথায় আস্থাশীল ছিলেন না। কন্যাপক্ষ যে গয়না দেবে তা আসল না নকল সেটি পরীক্ষা করার জন্য অনুপমের মামা বিয়ে বাড়িতে সেকরাকে সঙ্গে এনেছিল। সেকরা সমস্ত গয়নার ঘাঁটিত্ব প্রমাণ করেন।

গ. উদ্দীপকে কন্যার বিয়ের প্রতি তার বাবার উদাসীনতার সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামার সাদৃশ্য রয়েছে।

‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপমের মামা যৌতুকলোভী চরিত্র তিনি অনুপমের বিয়ের জন্য একটি যুতসই ঘর খুঁজছিলেন। অর্থাৎ যেখানে না চাইলেও অনেক টাকা যৌতুক পাওয়া যাবে এমন জায়গাতেই মামা অনুপমকে বিয়ে। দিতে চান। এজন্য অনুপমের বিয়ের জন্য মামার মাঝে কোন প্রকার তাড়াহুড়ো পরিলক্ষিত হয় না।

উদ্দীপকে কন্যার বাবার মাঝে কন্যার বিয়ের প্রতি কোনোপ্রকা তাড়াহুড়ো দেখা যায় না। কন্যার বয়স অবৈধ রকমে বেড়ে গেলেও তিনি কন্যার বিয়ে সম্পর্কে ছিলেন নির্বিকার। এতে কন্যার বাবার মাঝে কন্যার বিয়ের বিষয়ে উদাসীন মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। কন্যার বিয়ের বয়স পার হয়ে যাওয়ায় পাত্রের বাবা যেখানে বিয়ের জন্য তাড়াহুড়ো করছেন সেখানে কন্যার বাবা ছিলেন স্বাভাবিক। আর সন্তানের বিয়ের বিষয়ে কন্যার বাবার এই মানসিকতা তাকে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামার সাথে সাদৃশ্যময় করে তুলেছে।

ঘ. উদ্দীপকের ঘটনাচিত্রে ‘অপরিচিতা’ গল্পের যৌতুক প্রথার মতো সামাজিক অসঙ্গতির দিকটি ফুটে উঠলেও যৌতুকের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধের দিকটি অনুপস্থিত।

আলোচ্য গল্পে অনুপমের মামা চরিত্রের মাধ্যমে যৌতুকের মতো ঘৃণ্য সামাজিক প্রথার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। অনুপমের মামা কন্যার বাবার দেওয়া গয়না যাচাই করার জন্য বিয়ে বাড়িতে সেকরাকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। এতে কন্যার বাবা শম্ভুনাথ সেন অপমানিত বোধ করেন এবং কল্যাণীর সঙ্গে অনুপমের বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান। কল্যাণীও বাবার এ মতকে সমর্থন করে।

উদ্দীপকে যৌতুক প্রথার একটি দিক উপস্থাপিত হয়েছে, যেখানে বিয়ে প্রসঙ্গে মেয়ের বাবার চেয়ে বরের বাবার তাড়া বেশি দেখা যায়। কেননা মেয়ের বয়স বেশি হওয়ায় যৌতুকের টাকার পরিমাণও বেশি। উদ্দীপকে উল্লেখিত বরের বাবার এ অর্থলোভী মানসিকতা ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামার সঙ্গে মিলে যায়।

 

আরো পড়ুনঃ শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

অপরিচতা গল্পের আরো সৃজনশীল

 

প্রিয় বন্ধুরা উপরে তোমাদের জন্য ৪ টি সৃজনশীল প্রশ্ন এবং উত্তর দেওয়া হয়েছে। আর সেই আলোকে নিচে আরো কয়েকটি সৃজনশীল দেওয়া হলো উত্তর ছাড়া। সেইগুলো তোমরা উপরের সৃজনশীল এবং পাঠ্য বইয়ের আলোকে সমাধান করার চেষ্টা করবে।

 

অপরিচতা গল্পের সৃজনশীল – ৫

See also  শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে শপথ বাক্য

নিঝুম আর অহনা পরম্পরকে গভীরভাবে ভালোবাসে। তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ হবে নিঝুমের পরিবার সেটা মেনে নেয় না। কারণ, নিঝুম শিক্ষিত এবং ধনী পরিবারের একমাত্র সন্তান। অপরদিকে, অহনার পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। নিঝুম পরিবারের সম্মতিতে অন্যত্র বিয়ে করে এবং একসময় অহনাকে ভুলে যায়। অহনার দিন কাটে কষ্টের সমুদ্রে। কারণ, সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো মরে না।

ক. বিবাহ ডাঙার পর হতে কল্যাণী কোন ব্রত গ্রহণ করেছে?

খ. আমার ভাগ্যে প্রজাপতির সঙ্গে পঞ্চশরের কোনো বিরোধ নাই’- বাক্যটির তাৎপর্য কী?

গ. উদ্দীপকের নিঝুমের সঙ্গে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের কী বৈসাদৃশ্য রয়েছে লেখো।

ঘ. “উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপম-কল্যাণীর জীবনের বিপরীত প্রতিচ্ছবি” – মূল্যায়ন করো।

 

অপরিচতা গল্পের সৃজনশীল – ৬

কারো ঘর ভাঙে ঝড়ে
কারো সংসার পুড়ে যায় যৌতুকের আগুনে।
কেউ করে হায় হায়, বাপ-মা কাঁদে
মেয়েকে বিয়ে দিতে হয়-পড়ে যৌতুকের ফাঁদে
করবে না বিয়ে সোনালি নিজেকে করে পণ্য এটা তার পণ সোনালি জীবনের জন্য।

ক. অপরিচিতা’ গল্পে কন্যাকে কী দিয়ে আশীর্বাদ করা হয়েছিল?

খ. কিন্তু ভাগ্য আমার ভালো, এই তো আমি জায়গা পাইয়াছি’— বক্তার এমন অনুভূতির কারণ বুঝিয়ে লেখো।

গ. উদ্দীপকের ‘সোনালি’ ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রকে ইঙ্গিত করে? বর্ণনা করো।

ঘ. উদ্দীপকে নিহিত সামাজিক কাঠামো এবং ‘অপরিচিতা’ গল্পের সামাজিক পটভূমি সাদৃশ্যযুক্ত” — যুক্তিসহ মন্তব্যটি যাচাই – করো।

 

অপরিচতা গল্পের সৃজনশীল – ৭

ডাক্তার অপূর্ব রংপুর বাস স্টপেজে দাঁড়িয়ে দেখতে পেলেন একটি স্কুল বাসে একজন শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের ছড়া গান শেখাতে শেখাতে নিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষিকাকে তার চেনা চেনা মনে হলো। তার সঙ্গেই কি অপূর্বের বিয়ে হবার কথা ছিল? অপূর্বের কৌতূহল আর কোলাহলের মধ্যেই বাসটি চলে গেল। শিক্ষিকাকে দেখে মনে হলো স্বাধীনচেতা ও ব্যক্তিত্বময়ী। ডাক্তার অপূর্বের মনে পড়ল সেই বিখ্যাত গানের কলি, আমার বলার কিছু ছিল না।

ক. ‘অপরিচিতা’ গল্পে কাকে গজাননের ছোট ভাই বলা হয়েছে?

খ. “ঠাট্টার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই”- উক্তিটি কোন প্রসঙ্গে করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।

গ. ডাক্তার অপূর্ব এবং ‘অপিরিচিতা’ গল্পের অনুপম যেদিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করো।

ঘ. উদ্দীপকের শিক্ষিকার মধ্যে ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর চারিত্রিক প্রবণতাসমূহ যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বলে তুমি মনে করো কি? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও।

 

অপরিচতা গল্পের সৃজনশীল – ৮

কন্যার পিতা রামসুন্দর আমাদের রায় বাহাদুরের হাতে পায়ে ধরিয়া বলিলেন, “শুভ কার্য সম্পন্ন হইয়া যাক, আমি নিশ্চয়ই টাকাটা শোধ করিয়া দিব।” রায় বাহাদুর বললেন, “টাকা হাতে না পাইলে বর সভাস্থ করা যাইবে না।” এই দুর্ঘটনায় অন্তঃপুরে একটা কান্না পড়িয়া অবাধ্য হইয়া গেল। ইতোমধ্যে একটি সুবিধা হইল। বর সহসা তার পিতৃদেবের উঠিল। সে বাবাকে বলিয়া বসিল, “কেনাবেচা দরদামের কথা আমি বুঝি না বিবাহ করিতে আসিয়াছি, বিবাহ করিয়া যাইব ।

ক. বিয়ের সময় অনুপমের বয়স কত ছিল?

খ. অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোটো ভাইটি।’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপকের বরের সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপম চরিত্রের বৈসাদৃশ্য তুলে ধরো।

ঘ. “উদ্দীপকের ঘটনাটি ‘অপরিচিতা’ গল্পে বর্ণিত সামাজিক অসংগতির দিকটি তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। ”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

 

অপরিচতা গল্পের সৃজনশীল – ৯

এমএ পাস রফিক বন্ধুদের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথাবার্তা বলার সময় বলে নিজের পায়ে না দাঁড়িয়ে বিয়ে নয়। কিন্তু পিতৃহীন রফিক চাচার সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারে না। পরসম্পদলোভী চাচার আদেশে তাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। নিজের মতামত প্রকাশের মানসিক দৃঢ়তা না থাকার কারণে বিয়ে বাড়িতে যৌতুকের মালামাল নিয়ে লোভী চাচার প্রশ্নের কারণে বিয়ে ভেঙে যায়। রফিকও চাচার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিয়ে বাড়ী থেকে অসহায়ের মত চলে আসে।

ক. কল্যাণী কোন স্টেশনে নেমেছিল ?

খ. কন্যার পিতা মাত্রেই স্বীকার করিবেন আমি সৎপাত্র’- কেন?

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত রফিক চরিত্রের সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপম চরিত্রের সাদৃশ্য বিশ্লেষণ করো।

ঘ. দৃঢ়তার অভাবে রফিক নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে চাচার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে— ‘অপরিচিতা’ গল্পের আলোকে এ সিদ্ধান্তের সাথে তুমি কি একমত?

 

অপরিচতা গল্পের সৃজনশীল – ১০

অফিস থেকে ফেরার পথে রাশেদ বাসে দীর্ঘদিন পর দেখতে পেল রাবেয়াকে। মনে পড়ল রাবেয়ার সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন হওয়ার পর হঠাৎ রাশেদের বাবা মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে বসে মেয়ের বাবার কাছে। উচ্চশিক্ষিত সুদর্শন পুত্রের জন্যে এটা নাকি তার ন্যায্য দাবি। রাবেয়ার বাবার যথেষ্ট সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তিনি রাজি হলেন না যৌতুক দিতে। ক্ষোভে অপমানে তৎক্ষণাৎ ভেঙে দেন বিয়ে। ক্ষুদ্ধ রাবেয়াও সমর্থন করে বাবাকে। বিয়ে ভেঙে গেলেও রাবেয়া থেমে থাকেনি। এক ব্যাংকারকে বিয়ে করে সংসারী হয়েছে। চাকরি করছে একটা কলেজে।

ক. ‘অপরিচিতা’ গল্পে শম্ভুনাথ সেনের পেশা কী ছিল?

খ. “ভালো মানুষ হওয়ার কোনো ঝঞ্ঝাট নাই”- ব্যাখ্যা করো।

গ. উদ্দীপকের রাবেয়ার বাবার সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের শম্ভুনাথ বাবুর সাদৃশ্য কোথায়?

ঘ. উদ্দীপকের রাবেয়া ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণী চরিত্রকে সম্পূর্ণভাবে ধারণ করে না” স্বীকার করো কি? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দেখাও।

 

শেষ কথা

 

তো প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্ট এ আপনারা জানলেন কয়েকটি অপরিচতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর এবং এরই সাথে কিছু এক্সট্রা সৃজনশীল প্রশ্ন। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের কাছে অনেক টা ভালো লেগেছে।

ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমাদের। আর এরকম সব পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই ওয়েব সাইট টি তে। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।

 

Leave a Comment