এলার্জি দূর করার উপায়

এলার্জি দূর করার উপায়

 

হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে এলার্জি দূর করার উপায় এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।

 

এলার্জি দূর করার উপায়

 

এলার্জি বর্তমানে একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়ে দাড়িয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে বেসি এলার্জি হয় এবং বয় বাড়ার সাথে তা কমে যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আগে এলার্জি না থাকলেও এক সময় এলার্জির প্রবণাতা বৃদ্ধি পায়। তাই আজকে আমরা এলার্জি দূর করার বিষয়ে বিস্তারিত জানবো।

 

এলার্জির কারণ

 

দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের নানা রোগ থেকে রক্ষা করে থাকে। তবে মাঝে মাঝে এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছু জিনিসকে ক্ষতিকর মনে করর যা আসলে ক্ষতিকর নয়। এসবের বিরুদ্ধে এই প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্যই এলার্জি হয়।

আবার অনেক সময় কিছু কিছু জিনিসের সংস্পর্শে আসলেও এলার্জি হয়ে থাকে। সেসব জিনিস থেকে আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত। নিম্নে সে জিনিস গুলো উল্লেখ করা হলোঃ-

১. নির্দিষ্ট কিছু প্রকারের খাবার
২. ধুলা – বালি
৩. গরম কিংবা ঠান্ডা আবহাওয়া
৪. ঘেমে যাওয়া
৫. গৃহপালিত পশু পাখির জন্য
৬. পরাগ রেণু এবং ফুলের রেণুর জন্য
৭. ডাস্ট মাইট
৮. কিছু প্রকার ছত্রাক
৯. বিভিন্ন ঔষধের প্রতিক্রিয়ার জন্য
১০. কীটনাশকের জন্য
১১. ডিটার্জেন্ট এবং বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ
১২. ল্যাটেক্স অথবা বিশেষ ধরনের রাবারের তৈরি গ্লাভস কিংবা অন্যান্য জিনিস
১৩. মানসিক চাপের জন্য

See also  শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বক্তৃতা

মূলত এই বিষয় গুলোর জন্যই বেশিরভাগ এলার্জি হয়ে থাকে। তবে এছাড়াও ছোট খাটো কয়েকটি বিষয় আছে যা উল্লেখযোগ্য নয়। তাই আমাদের মূলত এই কয়েকটি বিষয় থেকে বেচে থাকতে হবে এলার্জি দূর করার জন্য।

উপরে আমরা ১ নাম্বারেই বলেছি নির্দিষ্ট কয়েকটি খাবার খেলে এলার্জি হয়। তো অনেকেই জানেন না যে এলার্জি জাতীয় খাবার কোনটি। তো চলুন এবার আমরা এলার্জি জাতীয় খাবার সম্পর্কে জেনে নেই।

 

এলার্জি জাত‌ীয় খাবা‌রের তালিকা

 

মূলত কয়েকটি নির্দিষ্ট খাবার আছে যা খেলে এলার্জি দেখা দেয়। তো যাদের এলার্জি আছে তাদের এই খাবার গুলো থেকে বেচে থাকা দরকার। নিম্নে আমরা সে বিষয়ে জেনে নিবো যে কোন কোন খাবারে এলার্জি হয়।

১. চিংড়ি
২. বেগুন
৩. ইলিশ মাছ
৪. গরুর মাংস
৫. বাদাম

এগুলো ছাড়াও শিশুদের ক্ষেত্রে ডিম ও দুধে এলার্জি হতে পারে। সবার একই জিনিসে এলার্জি হয় না বা একই খাবারে এলার্জি হয় না। নির্দিষ্ট একটি এর জন্য এলার্জি হয়। তাই যদি কোন খাবারে এলার্জি হচ্ছে তা জানা যায় তবে এলার্জি নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সোজা হয়ে যাবে।

 

এলার্জি দূর করার উপায়
এলার্জি দূর করার উপায়

 

এলার্জির লক্ষণ

 

অনেকেই বুঝতেই পারেন না যে এলার্জি কখন হচ্ছে বা কখন হবে। কেননা তারা এলার্জির লক্ষণ সম্পর্কে সঠিক কিছুই জানে না। তাই এলার্জি নিয়ন্ত্রণ করার আগে প্রথমে আপনাদের এলার্জির লক্ষণ সম্পর্কে জানতে হবে। তো চলুন এলার্জির লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নেই।

নিচে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো, যে গুলো হলে বুঝতে নিতে হবে যে আপনার এলার্জি হচ্ছে।

১. চামড়ায় চুলকানি অনুভব করা।

২. শরীরের কিছু অংশ ফুলে যাওয়া বা চাকা চাকা হয়ে যাওয়া।

৩. শরীরের চামড়া ঝরে যাওয়া বা ফোস্কা পড়ে যাওয়া।

৪. জিহ্বা, ঠোট, মুখ ও গাল ফুলে যাওয়া।

See also  জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম

৫. চোখে চুলকানি হওয়া।

৬. শুকনো হাচি – কাশি হওয়া বা নাক ও গলায় চুলকানি হওয়া।

৭. শ্বাসকষ্ট হওয়া এবং শ্বাস নেওয়ার সময় শব্দ হওয়া।

৮. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, আবার পেট ব্যাথা বা ডায়ারিয়া হওয়া।

৯. চোখ লাল হয়ে যাওয়া বা ফুলে যাওয়া।

১০. চোখ দিয়ে পানি পড়া।

মূলত এই জিনিস গুলো যদি আপনার সাথে ঘটে থাকে বা ভবিষ্যতে ঘটে তবে বুঝতে নিতে হবে যে আপনার এলার্জি হচ্ছে। এক্ষেত্রে কী করতে হবে তা আমরা নিচে আলোচনা করছি।

 

আরো পড়ুনঃ ওজন কমানোর উপায়

 

এলার্জি দূর করার উপায়

 

এলার্জি হওয়ার পরে এলার্জি দূর করার জন্য আমাদের কয়েকটি করণীয় বিষয় রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আমরা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করছি।

 

এলার্জি দূর করার জন্য ঔষধ খাওয়া

 

এলার্জি দূর করার জন্য, এলার্জি দেখা দিলে আগে থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ক্রয় করা ঔষধ খেতে হবে। যদি আগে থেকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কোনক ঔষধ কিনে না থাকেন তবে, দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন বা আশে পাশের ফার্মেসি থেকে এলার্জির ঔষধ কিনে নিবেন।

 

যেসব খাবারে এলার্জি হয় তা এড়িয়ে চলা

 

এলার্জি দূর করার জন্য সব থেকে বেস্ট উপায় হলো, যে সকল খাবারে এলার্জি হয় তা থেকে এড়িয়ে চলা। আমরা উপরে এলার্জি কোন কোন খাবারের জন্য হয় সেটা সম্পর্কে বলেছি। আপনারা যদি তা মিস করে থাকেন তবে উপরে গিয়ে সেটা দেখে নিতে পারেন।

 

এলার্জি নাক বন্ধের সমস্যার সমাধান

 

নাক বন্ধ হওয়া এলার্জির একটি লক্ষণ বা অন্যতম একটি সমস্যা। এর জন্যই মূলত শ্বাসকষ্ট হয়। তো এর জন্য ডাক্তারের প্রেস্ক্রিপশন অনুযায়ী দেওয়া নাক বন্ধের ড্রপ বা স্প্রে ব্যবহার করবেন। তবে খেয়াল রাখবেন এগুলো এক সপ্তাহের বেশি একটা ব্যবহার করবেন না। একটা জিনিস বেশি ব্যবহার করার জন্য আবার এলার্জি ফিরে আসতে পারে।

See also  ওজন কমানোর উপায়

 

চুলকানির স্থানে ক্রিম, মলম বা ঠান্ডা বরফের সেক দেওয়া

 

চুলকানির জন্য নানা ধরণের ক্রিম ও মলম রয়েছে। যদি সেগুলো বাসায় থাকে তবে চুলকানীর স্থানে লাগালে বেশ ভালো সুফল পাবেন। আবার যদি এগুলো না থাকে তবে ফ্রিজে রাখা বরফের সেক যদি চুলকানির স্থানে দেওয়া যায় তবে বেশ আরাম পাওয়া যাবে।

 

ইমিউনোথেরাপি দেওয়া

 

যদি এলার্জি অনেক গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে যায় তবে ডাক্তারের সাহায্য ইমিউনোথেরাপি নেওয়া টাই হলো বেস্ট। এটি এলার্জির প্রতিক্রিয়া কে দূর কর‍তে বেশ ভালো সাহায্য করে থাকে। তাই যদি এলার্জি অনেক গুরুতর হয় তবে এই থেরাপি নেওয়া উচিত।

 

শেষ কথা

 

তো প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্ট এ আপনারা জানলেন, এলার্জি দূর করার উপায়, এলার্জির লক্ষণ, কী কী কারণে এলার্জি হয় ইত্যাদি। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের কাছে অনেক টা ভালো লেগেছে।

ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমাদের। আর এরকম সব পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই ওয়েব সাইট টি তে। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।