সর্দি কাশির ট্যাবলেট এর নাম
হ্যালো ভিউয়ার্স, আশা করি সকলে অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে কাশির ট্যাবলেট এর নাম এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।
সর্দি কাশি তো আমাদের প্রায় লেগেই থাকে। এটা আর নতুন কিছু না। তবে মাঝে মাঝে এই সর্দি কাশিও কিন্তু আমাদের বেশ ভুগিয়ে থাকে। বিশেষ করে একটি ঋতু শেষ হওয়ার পর আবার অন্য ঋতু শুরু হওয়ার সময় যদি এই রোগ টি হয়ে যায় তবে এটা অনেক দিন আমাদের ভুগিয়ে থাকে।
তো সর্বদা সর্দি কাশি থেকে দূরে থাকতে হবে। তবে যদি সর্দি কাশি একবার হয়ে যায় তবে কোন কাশির ট্যাবলেট খেলে কাশি সেরে যায় সেটা অনেকেই জানেন না। তো আজকের পোস্ট এ আমরা জানবো সর্দি কাশি সম্পর্কে এবং সর্দি কাশির ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে।
সূচিপত্র
সর্দি কাশির ট্যাবলেট এর নাম
সর্দি কাশির ট্যাবলেট আমাদের বাংলাদেশে অনেক রকমের রয়েছে। তবে সেখান থেকে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী কোন ঔষধ গুলো খেলে ভালো হবে সেগুলোর থেকে কয়েকটি কাশির ট্যাবলেট এর নাম আমি আপনাদের জন্য নিচে দিয়ে দিলাম।
১. হিস্টাসিন।
২. হিস্টালিক্স।
৩. কিটো এ – ১০০ (এমজি)।
৪. বেক্সিমকো।
৫. টোফেন।
কাশির ট্যাবলেট এর জন্য এই ৫ টি ঔষধ সবথেকে ভালো বলে ডাক্তাররা মনে করেন। কেননা এই ঔষধ গুলো খুব দ্রুতই ঠান্ডা কাশি নিধন করতে সাহায্য করে। তবে এখান থেকে হিস্টাসিন বাংলাদেশের মানুষ বেশি ব্যবহার করে। কেননা এটি প্রতি পাতা ৫ টাকা। এবং খুব ছোট হওয়ায় খেতেও সমস্যা হয় না খুব একটা।
কাশির সিরাপের নাম
অনেকেই আছেন যারা ট্যবলেট খেতে পছন্দ করেন না। তো তারা কিন্তু চাইলেই কাশির জন্য কাশির সিরাপ খেতে পারেন। তবে আগেই জানিয়ে রাখি কাশির সিরাপ কিন্তু বেশ তিতে হয়ে থাকে। যাই হোক নিচে কয়েকটি ভালো কার্যকরী কাশির সিরাপ এর নাম দেওয়া হলো।
১. এডোভাস,
২. রেকোমকফ,
৩. তুসকা।
এই তিনটি সিরাপই হলো বেস্ট কাশির সিরাপ। এগুলোর থেকে কোনো একটি খেলে আর কোনো সিরাপ বা ট্যবলেট খাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
আরো পড়ুনঃ জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম।
কাশির এন্টিবায়োটিক ট্যবলেট এর নাম
সব কিছুর জন্যই এন্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। কেননা এন্টিবায়োটিক ঔষধ তখনই প্রয়োজন হয় যখন সেই রোগটি ভাইরাসের আক্রান্তে হয়ে থাকে। কাশি বা সর্দি ভাইরাসের কারণে হয় না। এটি সাধারণ একটি রোগ। তাই এই রোগের জন্য এন্টিবায়োটিক না খাওয়াই ভালো।
বাচ্চাদের কাশির এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম
যেহেতু বড়দের জন্যই এন্টিবায়োটিক খাওয়া ঠিক নয় এই রোগের জন্য। তাই আমি রিকোমান্ড করবো বাচ্চাদেরও কাশির এন্টিবায়োটিক থেকে দূরে রাখতে। কেননা কোনো জিনিস অধিক মাত্রায় শরীরে পৌছালে পরে আমাদের শরীরের ক্ষতি হয়।
কখন কাশির ট্যাবলেট খেতে হবে
আপনারা যে কোনো ঔষধ ক্রয় করার সময় ফার্মেসি থেকে বা ডাক্তার রা অবশ্যই বলে দেন কোন ঔষধ কখন কখন খেতে হবে। তবে অনেকেই সেটা ভুলে যান বা মনে থাকে না।
তো তাদের জন্য জানিয়ে রাখি, খুশখুশে কাশি কিংবা জটিল কাশির সমস্যা তেও যতদিন না রোগ টি সেরে যায় ততদিন ৩ বেলা কাশির ট্যাবলেট খাওয়া উচিত।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
অনেকেই আছেন যারা ঔষধ খেতে পছন্দ করেন না। তাদের জন্য এই টপিক টি। ঘরোয়া কিছু উপায়েও আপনি ঠান্ডা কাশি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এর জন্য সব সময় গরম পানি পান করবেন। একেবারে গরম না আবার! যতটুকু গরম পানি খাওয়া যায় ততটুকু গরম হলেই চলবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে কুসুম গরম পানিতে লবন এবং লবঙ্গ মিশিয়ে সেই পানি গলায় নিয়ে গর-গর করে কুলি করবেন। এভাবে কিছুদিন করলেই সুফল পাবেন। তবে আমি এগুলো করার সাথে ঔষধ খেতেও বলবো। কেননা দুইটা একসাথে করলে রোগ দ্রুত সারবে।
শেষ কথা
তো ভিউয়ার্স আজকের এই পোস্ট এ আপনারা জানলেন, কয়েকটি কাশির ট্যাবলেট এর নাম এবং সর্দি কাশি সম্পর্কে। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের কাছে অনেক টা ভালো লেগেছে।
ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমাদের। আর এরকম সব পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই ওয়েব সাইট টি তে। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।