হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে কুলি মজুর কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।
সূচিপত্র
কুলি মজুর কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদের বইয়ের পাঠ্য বিষয় বস্তুর মধ্য অন্যতম ও প্রয়োজনীয় হলো কুলি মজুর কবিতা। কুলি মজুর কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর নিচে কয়েকটি দেওয়া হলো। আশা করি সেগুলো তোমাদের কাজে লাগবে। নিচে বাছাই করা কিছু প্রয়োজনীয় এবং যে বিষয় থেকে বেশি প্রশ্ন করা হয় এটা থেকে সেগুলোর অংশ বিশেষ দেওয়া হলো।
কুলি মজুর কবিতার সৃজনশীল – ১
বংশে বংশে নাহিকো তফাত
বনেদি কে আর গর-বনেদি,
দুনিয়ার সাথে গাঁথা বুনিয়াদ
দুনিয়া সবারি জনম-বেদি।
ক. ‘শকট’ মানে কী?
খ. চোখ ফেটে এল জল- কেন? বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকে“কুলি-মজুর’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?
ঘ. উদ্দীপকে ফুটে দকটিই ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মূলভাব তােমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দেখাও।
উত্তরঃ
ক। ‘শকট’ মানে গাড়ি।
খ। শ্রমজীবী মানুষের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ দেখে কবির চোখ ফেটে জল এলাে।
যুগ যুগ ধরে কুলি-মজুরের মতাে লক্ষ-কোটি শ্রমজীবী মানুষের হাতে গড়ে উঠেছে মানবসভ্যতা। এদের শােষণ করেই ধনিকশ্রেণির সম্পদের পাহাড় বাড়ছে, ‘অথচ এদের সঙ্গে তারা চরমতম খারাপ ব্যবহার করে। মানবদরদি কবি নজরুল রেলস্টেশনে যখন দেখেন এক লােক কুলিকে ঠেরে নিচে ফেলে দিয়েছে তখন তার প্রতি সমবেদনায় কবির চোখ ফেটে জল আসে।
গ। উদ্দীপকে ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মানুষের প্রতি বৈষম্য না করার দিকটি ফুটে উঠেছে।
পৃথিবী সব মানুষেরই আবাসস্থল। এখানে সবাই সমানভাবে জীবিকা নির্বাহ না করলেও মানুষ হিসেবে সম্মান পাওয়ার অধিকার সবারই আছে। তাই উচ্চবিত্তের মানুষের নিম্নবিত্তের মানুষের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা উচিত নয়।
উদ্দীপকে উঠে এসেছে, মানুষের বংশের সঙ্গে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোনাে সম্পর্ক নেই। পৃথিবীতে সবাই মানুষ পরিচয় নিয়েই জন্মগ্রহণ করে। তাই বংশ নিয়ে অহংকার করা অর্থহীন। পৃথিবীতে সব মানুষই সমান। ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় উচ্চ শ্রেণির মানুষের শ্রমজীবী মানুষের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ না করার দিকটি ব্যক্ত হয়েছে। অথচ তাদের অবদানেই তাে সমাজ এগিয়ে চলে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে এবং কুলি-মজুর’ কবিতায় মানুষের প্রতি বৈষম্যহীনতার দিকটি ফুটে উঠেছে।
ঘ। উদ্দীপকে ফুটে ওঠা দিকটিই ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মূলভাবমন্তব্যটি সার্থক।
মানুষে মানুষে সৌহার্দ বজায় রাখলে পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটা আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। পৃথিবী ভরে ওঠে ভালােবাসায়। মানুষের বাসযােগ্য করে তুলতে এমন বৈষম্যহীন পৃথিবীই আমাদের কাম্য।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, কেউ উচ্চ বংশের আর কেউ নিম্ন বংশের এই নিয়ে বাড়াবাড়ি করে বৈষম্য করা অর্থহীন। কারণ সবারই বাসস্থান একটাই, সেটা হলাে এই পৃথিবী। তাই একই পৃথিবীতে থেকে নিজেদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করা উচিত নয়। কুলি-মজুর” কবিতায়ও দেখা গেছে উচ্চ শ্রেণির মানুষেরা শ্রমজীবী নিম্ন শ্রেণির মানুষের সঙ্গে বৈষম্য করে চলে যা, একজন মানুষের কোনােভাবেই কাম্য হতে পারে না। কারণ শ্রমজীবী মানুষেরা প্রতিনিয়ত সমাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে। কবি শ্রেণি বৈষম্যের বিষয়টি উপস্থাপনের মাধ্যমে এর অর্থহীনতা ও নেতিবাচক দিক তুলে ধরে আমাদের সাম্য চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন।
উদ্দীপকে মানুষে মানুষে বৈষম্যহীনতার কথা বলা হয়েছে। কুলিমজুর’ কবিতায়ও মানুষের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ না করার দিকটিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে ফুটে ওঠা দিকটিই ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মূলভাব।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
কুলি মজুর কবিতার সৃজনশীল – ২
গাহি তাহাদের গানধরণীর হাতে দিল
যারা আনি ফসলের ফরমান।
শ্রম-কিণা-কঠিন যাদের নির্দয় মুঠি-তলে
এস্তা ধরণী নানা দেয় ডালি ডরে ফুলে ফলে।
বন্য-শ্বাপদসঙ্কুল জরা-মৃত্যু-ভীষণা ধরা
যাদের শাসনে হলাে সুন্দর কুসুমিতা মনােহরা।
ক. বাম্প-শকটের তলে কে পড়ে?
খ. কাদেরকে প্রকৃত মানুষ ও দেবতা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে কুলি-মজুর’ কবিতার কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে?
ঘ. উদ্দীপকটি ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মতাে শ্রমজীবী মানুষের বতি হওয়ার দিকটি ধারণ করেনি- বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ
ক। কুলিরা বাম্প-শকটের তলে পড়ে।
খ। শ্রমজীবীদের প্রকৃত মানুষ ও দেবতা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
শ্রমজীবীরা আমাদের সমাজের প্রকৃত কারিগর। তাদের কল্যাণেই আমাদের সমাজ এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে। বড় বড় দালান, রাস্তাঘাটের গাড়ি-ঘােড়া, সাগরের জাহাজ ইত্যাদি নির্মিত হয়েছে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে। তাদের রক্তঘামা পরিশ্রমের ফলেই আমরা উন্নত সমাজের মুখ দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু তারা এখনও সমাজে অবহেলিত ও উপেক্ষিত। এত অবহেলা সত্ত্বেও তারা সমাজে তাদের অবদান রাখতে ভােলেননি। এমনকি কোনাে প্রতিবাদও করেননি। তাঁদের এই মহৎ হৃদয়ের জন্যই তাদের প্রকৃত মানুষ ও দেবতা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
গ। উদ্দীপকের সঙ্গে কুলি-মজুর’ কবিতার শ্রমজীবীদের বন্দনা করার দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে।
আমাদের সভ্যতা ও সমাজ ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রগতি শুধু টাকা-পয়সা বা আধুনিকতার কারণেই সম্ভব হয়নি। বরং দেশের শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমই দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছে। তাই তাদের প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ ও ঋণী।
উদ্দীপকে শ্রমজীবী মানুষের কথা বলা হয়েছে। যারা সব বিপদসঙ্কুল পথ অতিক্রম করে দিন-রাত পরিশ্রম করে পৃথিবীতে ফসল ফলায়, তাদের বন্দনা করা হয়েছে। তাদের কারণেই পৃথিবীতে সভ্যতার ফুল ফোটে। তাদের শক্ত হাতের পরিশ্রমের ফলেই আমরা সুন্দরভাবে জীবনযাপন করি। ‘কুলি-মজুর’ কবিতায়ও শ্রমজীবী মানুষদের বন্দনা করা হয়েছে। সমাজের প্রতিটি স্তরে তাদের অবদান রয়েছে। এখানে বলা হয়েছে রাজপথের গাড়ি, সাগরের জাহাজ, উঁচু দালান-কোঠা সবকিছুই তাদের শ্রমের ফসল। রাজপথ, অট্টালিকা, দালানের ইটের মাঝে লেখা আছে তাদের শ্রমের অবদানের কথা। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের সঙ্গে কুলি-মজুর’ কবিতার শ্রমজীবীদের বন্দনা করার দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে। এতে
ঘ। উদ্দীপকটি কুলি-মজুর’ কবিতার মতাে শ্রমজীবী মানুষের বণ্ডিত হওয়ার দিকটি ধারণ করেনি- মন্তব্যটি যথার্থ।
বর্তমান সমাজ অনেক এগিয়ে গেলেও এখনও সমাজে বৈষম্য বিদ্যমান। প্রতিনিয়ত উঁচু শ্রেণির মানুষ বঞ্চিত করছে শ্রমজীবীদের। কিন্তু সমাজে এই ধরনের বৈষম্য থাকলে দেখা দেবে নানা রকমের বিশৃঙ্খলা। বৈষম্যহীনভাবে সবাই মিলেমিশে একসঙ্গে বসবাস করলেই পৃথিবী সুন্দর হয়ে উঠবে।
উদ্দীপকে শ্রমজীবী মানুষের অবদানের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। ধরণিতে শ্রমজীবী মানুষই ফসলের মুখ দেখিয়েছে। পৃথিবীকে সুন্দর করে গড়ে তােলার পেছনে এই শ্রমজীবীদের অবদানই শ্রেষ্ঠ। কুলিমজুর’ কবিতায় শ্রমজীবীদের বন্দনা করা হয়েছে। কিন্তু তার চেয়েও গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপিত হয়েছে শ্রমজীবীদের প্রতি হওয়া অবহেলা ও বনা। সমাজে তাদের অবদান বেশি ও গুরুত্বপূর্ণ হলেও তাদের প্রতিই বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়, যা কখনই করা উচিত নয়।
উদ্দীপকের সঙ্গে কুলি-মজুর’ কবিতার সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকে কেবল শ্রমজীবী মানুষের বন্দনা গাওয়া হয়েছে। তাদেরকে বতি, করার বিষয়টি উপস্থাপিত হয়নি। কিন্তু ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় শ্রমজীবী মানুষের বন্দনা করা হয়েছে, আবার তাদের প্রতি হওয়া বৈষম্যের দিকটিকেও তুলে ধরা হয়েছে, যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি কুলি-মজুর’ কবিতার মতাে শ্রমজীবী মানুষের বত্রিত হওয়ার দিকটি ধারণ করেনি।
কুলি মজুর কবিতার সৃজনশীল – ৩
চেয়ারম্যান আজমল সাহেবের এলাকায় একজন ভালাে মানুষ হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে, কিন্তু তার ছেলে কারণে-অকারণে বাড়ির কাজের লােক, আশপাশের খেটে খাওয়া মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। চেয়ারম্যান ছেলেকে ডেকে বুঝিয়ে বলেন, তুমি যাদের আজ তুচ্ছ জ্ঞান করছ- সত্যিকার অর্থে তারাই আধুনিক সভ্যতার নির্মাতা, তাদের কারণেই আমরা সুন্দর জীবন যাপন করছি।
ক. কুলি-মজুর’ কবিতায় রেলপথে কোনটি চলে?
খ. ‘শুধিতে হইবে ঋণ’- কথাটি দ্বারা কী বােঝানাে হয়েছে?
গ. চেয়ারম্যান সাহেবের ছেলের আচরণে কুলি-মজুর কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “চেয়ারম্যান সাহেবের মনােভাব কুলি-মজুর’ কবিতার মূলভাবেরই প্রতিফলন।”- বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ
ক। ‘কুলি-মজুর’ কবিতার রেলপথে বাম্প-শকট চলে।
খ। শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিতে কবি ঋণ শােধ করার কথা বলেছেন।
শ্রমজীবীর অক্লান্ত শ্রমে রাজপথে মােটর চলছে। সাগরে জাহাজ চলছে। দালানকোঠা গড়ে উঠছে। মূলত লক্ষ-কোটি শ্রমিকের হাতে মানবসভ্যতা গড়ে উঠেছে। আর সেই সভ্যতার ফল ধনিকশ্রেণি ভােগ করছে। তাদের শােষণ আর শাসনে শ্রমজীবী মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বতি। কবি মনে করেন, সামনে শুভ দিন আসছে। শ্রমিকরা সচেতন হয়ে উঠছে। দীর্ঘকাল ধরে শােষণের ফলে শ্রমজীবী মানুষের যে দাবি বা অধিকার জমা হয়েছে ধনিকশ্রেণিকে তা শােধ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে কবি উক্তিটি করেন।
গ। উদ্দীপকের চেয়ারম্যান সাহেবের ছেলের আচরণে ‘কুলি-মজুর’ কবিতার ধনিকশ্রেণির হৃদয়হীনতার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।
যুগ যুগ ধরে কুলি-মজুরদের মতাে লক্ষ-কোটি শ্রমজীবী মানুষের হাতে গড়ে উঠেছে মানবসভ্যতা। কিন্তু একশ্রেণির হৃদয়হীন মানুষ এদের মানুষ হিসেবে গণ্য করতেও নারাজ।
উদ্দীপকের চেয়ারম্যানের ছেলের আচরণে সমাজের বিত্তবান স্বার্থান্বেষী মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে। সে সমাজের শ্রমজীবী দরিদ্র মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে। তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। কুলিমজুর’ কবিতায় এই শ্রেণির মানুষের কথা বলা হয়েছে। তারা শ্রমজীবীদের শ্রমের বিনিময়ে পাওয়া বিত্ত-সম্পদের সবটুকু ভােগ করে। অথচ তাদের সবখানেই বঞ্চিত করে রেখেছে। মানুষ হিসেবে তাদের গণ্য করতেও চায় না।
ঘ। “চেয়ারম্যান সাহেবের মনােব ‘কুলি-মজুর’ কবিতার
মূলভাবেরই প্রতিফলন:”- মন্তব্যটি যথার্থ
শ্রমজীবীরাই মানবসভ্যতার যথার্থ রূপকার। এদেরই অক্লান্ত শ্রমে পৃথিবী আজ এত সুন্দর। অথচ এদের শােষণ করেই ধনিকশ্রেণি বিত্তসম্পদের মালিক হয়েছে। তবে এর মাঝেও ব্যতিক্রম কিছু মানুষ রয়েছেন যারা মানুষকে মানুষের মর্যাদা দেন।
উদ্দীপকের চেয়ারম্যান সাহেব বিত্তবান এবং একজন ভালাে মানুষ। তার মতে শ্রমজীবীরাই আধুনিক সভ্যতার নির্মাতা। তাদের কারণেই আমরা সুন্দরভাবে বাঁচতে পারছি। চেয়ারম্যান সাহেবের এ মনােভাব কুলি-মজুর’ কবিতার মূলভাবকে ধারণ করে। ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় কবি মানবসভ্যতার যথার্থ রূপকার শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের পক্ষে কলম ধরেছেন। সমাজ-সভ্যতা নির্মাণে তাদের অবদানের কথা স্মরণ করে তাদের ন্যায্য পাওনা ও দাবি আদায়ের পক্ষে কথা বলেছেন।
উদ্দীপক ও ‘কুলি-মজুর’ কবিতা উভয় জায়গায় শ্রমজীবী মানুষের অবদানের কথা প্রকাশ পেয়েছে। প্রকাশ পেয়েছে তাদের প্রতি মমত্ববােধ। উদ্দীপকের চেয়ারম্যান সাহেব শ্রমজীবী মানুষের ওপর শ্রদ্ধাশীল। তিনি মনে করেন তারাই সভ্যতার নির্মাতা এবং সত্যিকার মানুষ। আলােচ্য কবিতার মূলভাবেও এই বিষয়টির প্রকাশ ঘটেছে। তাই বলা যায়, মন্তব্যটি যথার্থ।
কুলি মজুর কবিতার আরো সৃজনশীল
প্রিয় বন্ধুরা উপরে তোমাদের জন্য ৩ টি সৃজনশীল প্রশ্ন এবং উত্তর দেওয়া হয়েছে। আর সেই আলোকে নিচে আরো কয়েকটি সৃজনশীল দেওয়া হলো উত্তর ছাড়া। সেইগুলো তোমরা উপরের সৃজনশীল এবং পাঠ্য বইয়ের আলোকে সলভ করার চেষ্টা করবে।
কুলি মজুর কবিতার সৃজনশীল – ৪
ইমারত শ্রমিক সংঘের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে শতাধিক। সদস্যরা চাঁদা দিয়ে অনেক টাকা ব্যাংকে সঞ্চয় করেছে। লোভনীয় টাকার অংক দেখে প্রাক্তন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী ইমারত শ্রমিক সংঘের সভাপতির পদ দখল করেন। তারপর এক সময়ে নানা অজুহাত দেখিয়ে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেন।
ক. গাঁইতি কী?
খ. ‘এমনি করে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?’— চরণটি দ্বারা কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. ‘কুলি-মজুর’ কবিতার বাবু সাবের সাথে গোলাম রব্বানীর সাদৃশ্য কোথায়? বুঝিয়ে দাও।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মূলভাব বিশ্লেষণ করো।
কুলি মজুর কবিতার সৃজনশীল – ৫
যুগ যুগ ধরে লক্ষ-কোটি শ্রমজীবী মানুষের হাতে গড়ে উঠেছে মানব সভ্যতা। তাদের শ্রমের বদৌলতেই গড়ে উঠেছে কল-কারখানা, রাস্তাঘাট, দালানকোঠা, গাড়ি-বাড়ি কিন্তু তারা আজও আমাদের সমাজে অবহেলিত, নিগৃহীত।
ক. বাষ্প-শকট কোথায় চলে?
খ. ‘দধীচিদের হাড়’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. সমাজে উন্নয়নের প্রধান শক্তি কুলি-মজুরদের প্রতি কেমন ব্যবহার করা উচিত বলে তুমি মনে করো?
ঘ. উদ্দীপকে মানব সভ্যতার কোন দিকটি তুলে ধরা হয়েছে তা বিশ্লেষণ করো।
কুলি মজুর কবিতার সৃজনশীল – ৬
সোহেল চৌধুরী একটি কারখানার মালিক। তিনি একজন ভদ্র ও ভালো মানুষ। তিনি শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন না। তিনি শ্রমিকের অভাব অভিযোগের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। সোহেল চৌধুরী শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ ও জীবন মান উন্নয়নে সচেষ্ট থাকেন। তিনি সকলকে মানুষ হিসেবে সম্মান করেন। এদের কারণে কারখানায় ধর্মঘট বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে না।
ক. কাদের বক্ষে পা ফেলে নব উত্থান আসে?
খ. ধনিক শ্রেণি কীভাবে অঢেল বিত্ত-সম্পদের মালিক হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত জনাব সোহেলের কাজের সাথে ‘কুলি-মজুর’ কবিতার যে বৈসাদৃশ্য ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘কুলি-মজুর’ কবিতাটির মূলভাবের সাথে উদ্দীপকের ভাব বিপরীতমুখী— বিশ্লেষণ করো।
শেষ কথা
তো প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্ট এ আপনারা জানলেন কয়েকটি কুলি মজুর কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর এবং এরই সাথে কিছু এক্সট্রা সৃজনশীল প্রশ্ন। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের কাছে অনেক টা ভালো লেগেছে।
ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমাদের। আর এরকম সব পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই ওয়েব সাইট টি তে। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।