গরুর রচনা সকল শ্রেনীর জন্য
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা কেমন আছো সবাই? আশা করি ভালো আছো সবাই, আজকে আমরা আলোচনা করবো গরুর রচনা নিয়ে। ছোটদের গরুর রচনা,গুরুর উপকারিতা রচনা সহ সব ক্লাসের কথা চিন্তা করেই আজকে গরুর রচনা লিখবো ইনশাআল্লাহ।।
সূচিপত্র
ভূমিকা
গরু একটি গৃহপালিত পশু। আমাদের সকলের পরিচিত একটি প্রানি গরু।
গরুর আকৃতি
গরুর চারটি পা, দুটি কান, ও দুটি শিং, একটি লেজ আছে।এটি বেশিরভাগ গ্রামের মানুষেরা পালন করে থাকে। গরু একটি উপকারী প্রানী। আমরা এর থেকে দুধ ও মাংস পেয়ে থাকি। এছাড়া ও গরুর বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন কাজে লাগিয়ে সেটা প্রক্রিয়া করন করে দৈনন্দিন জীবনে ব্যাবহার করে থাকি।
আমাদের সমাজে হিন্দু ধর্মীয় লোকেরা গরুর থেকে দুধ পান করে বলে একে মা হিসাবে ও মেনে থাকে। গরুর দুধ ও মাংস ছাড়া গরুকে আমরা অন্য ভাবে ও কাজে লাগাতে পারি যেমনঃ গরুর গাড়ির করে ভারি মালামাল বহন করা। ফসলের ক্ষেতে হাল চাষ দেওয়া। এছাড়া ও গ্রামের কৃষকেরা গরুকে দিয়ে বিভিন্ন ফসল প্রক্রিয়া করন করে থাকে। গরু যেমন গ্রামের মানুষের বিভিন্ন কাজে লাগে তেমনি গরু থেকে মানুষ অনেক সফলতা ও অর্জন করতে পারে।
শহরের তুলনায় গ্রামেই গরুর পালন বেশি দেখা যায়। নিচে গরু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
গরু পালন যেভাবে করে
গ্রামে মানুষ বিভিন্ন ভাবে গরু পালন করে থাকে।এর কোন নিদিষ্ট পালন নেই নিজের সুবিধা মত বুঝে পালন করতে পারলেই হলো। তারপর ও মানুষ অধিক লাভবানের আশায় একে গুরুত্ব সহকারে পালন করে থাকে যেমন ; উপযুক্ত ফার্ম নির্বাচন। ফার্ম এমন এক জায়গায় গড়ে তুলতে হবে যেখানে যাতায়ত ব্যাবস্থা ভালো।
দুধ বিক্রি করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এমন এলাকার আশেপাশের ডেইরি ফার্ম গড়ে তোলা প্রয়োজন। চারপাশের উচু দেওয়াল স্বাস্থ্যকর আবাসন পর্যাপ্ত আলো বাতাস যেন পায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। গরুর বিশ্রাম এবং হাটা চলার ব্যাবস্থা রাখতে হবে। ফার্মের আশেপাশে গরুরঔষধের দোকান কাচা ঘাস এবং অন্যান্য খাবার থাকা ভাল।
গরুর বসত ঘরে মেঝে ঢালু ও ঢ্রেনের ব্যাবস্থা থাকতে হবে। যাতে করে চোনা ও পানি গড়িয়ে যেতে পারে। গরুর খাবার ও পানির পাত্র গুলে প্রতিদিন পরিষ্কার করা এবং গরুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। গোবর ও চোনা নিদিষ্ট স্থানে জমা করতে হবে। যা মূল্যবান সার হিসাবে প্রয়োগ করতে পারে। এছাড়া ও গরুর খাদ্যের উপর বিশেষ যত্ন রাখতে হবে। নিচে গরুর খাদ্য তালিকা দেওয়া হলে
গরুর খাদ্য তালিকা
গরুর বিশেষ যত্নে রয়েছে খাদ্য। খাদ্যের উপর নির্ভর করছে গরুর বেড়ে ওঠা। তাছাড়া গরুর মধ্যে ও লিঙ্গ রয়েছে যেমন গাভী গরু,ও ষাড় গরু। তাদের খাদ্য যত্ন ভিন্ন ভাবে করা লাগে। গাভী গরুর খাদ্য যেমন ষাড় গরুর খাদ্য তালিকা তার চেয়ে ভিন্ন যেমনঃ
গাভী গরুর খাদ্য তালিকাঃ
প্রতিটি গাভীকে নিম্ন হারে খাদ্য খাওয়াতে হবে। চালের গুড়া ২৫০ গ্রাম,গমের ভুসি ৩৫০ গ্রাম, ডালের ভুসি ৩৫০ গ্রাম চিটা গুড়া ২০০ গ্রাম, লবন।খনিজ মিশ্রন ভিটামিন সহ ৫০ গ্রাম।পর্যাপ্ত পরিমানে কাচা ঘাস, খড় ও পরিষ্কার ঠান্ডা পানিখাওয়াতে হবে। বাছুরের বয়স ছয় মাস হলে সংক্রামক টীকা দিতে হবে। এছাড়া ও চিকিৎসাকের পরামর্শ অনুযায়ী কৃমির ঔষধ খাওয়াতে হবে।
ষাড় গরুর খাদ্যতালিকাঃ
ষাড়ের জন্য দানাদারের উপর পরিমান নির্ভর করে ঘাস কতটুকু দিবেন তার উপর। ঘাস যত বেশি দিবেন দানাদার তত কম খাওয়াতে হবে। এ কথা গাভী গরুর জন্য ও প্রযোজ্য।ঘাস গরুর প্রধান খাবার এবং পুষ্টির প্রধান উৎস। ঘাসের মধ্যে গরুর শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান আল্লাহ জমা করে রেখেছে।ঘাস ছাড়া গরুর প্রজনন সমস্যা ও হয়। তাই ঘাস পর্যাপ্ত দিতে পারলে গরুকে দানাদার না দিলে ও সমস্যা হবে না। যেকোন গরুকে তার বডি ওয়েটের কমপক্ষে ৪% ঘাস দিতে হবে। খড়ে পুষ্টি কম হওয়ায় গরুর শরীর বৃদ্ধিতে খুব বেশি সাহায্য না করলে ও পেট ভরাতে এবং যাবর কেটে গরুর হজমে সাহায্য করে। তাই পেট ভরাতে দিতে হয় এতটুকু পরিমান খড় দেওয়া উচিত গরুকে।
গরু পালনে উন্নতিঃ
পরিকল্পিত গাভী পালনে রয়েছে অধিক লাভবান হওয়ার সুযোগ। অল্প মাঝারি কিংবা বেশি যেকোন ধরনের পুজি দিয়ে সুষ্ঠু গাভী পালনে লাভবান হতে বেশি সময় লাগে না। গরুর বাসস্থান যথাযথ ভাবে এবং মোটামোটি খোলামেলা জায়গায় দিতে হবে। এছাড়া ও গবাদি পশুর রোগ দেখা দিলে প্রানী চিকিৎসক বা নিকটস্ত উপজেলা প্রানী সম্পদ কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে। ইচ্ছা থেকে শুরু হয় শখের এবং শখ টীকে থাকে বিনিয়োগের উপর। শখের তোলা নাকি লাখ টাকা। কেউ শখ করে গাছ লাগায় কেউ স্ট্যাম্প সংগ্রহ করে তবে শখের বশে কিন্তু কোটি টাকা রোজগার করা সম্ভব। এটাকে বলে শখ থেকে সফলতা।
গরু পালনে মোটা অঙ্কের উন্নতি হওয়া খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। একজন গরুর ক্রেতা একটি গরু একলাখ টাকার বেশিও বিক্রি করতে পারেন। গরু পালন করে সফলতা অর্জন করেছে এমন হাজারো মানুষ রয়েছে। তাই বলা যায় গরু পালন একটি লাভজনক ব্যাবসা।
প্রাচীন কালের গরুর বর্ননাঃ
গরু যুগ যুগ ধরে অবদান রেখে আসছে। প্রাচীন কাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত গরুর ভুমিকা অপরীসিম। শুধু যে মানুষ এখন গরু পালন করছে এবং গরু থেকে লাভবান হচ্ছে তা নয়। প্রাচিন কাল থেকেই এটা চলে আসছে। আগে গরুকে বিভিন্ন ভাবে দৈনন্দিন কাজে ব্যাবহার করেছে।
আপনারা পড়ছেন – গরুর রচনা
যেমন গরুর গাড়ি করে ভারী মালামাল বহন করছে ক্ষেতে হাল চাষ করাচ্ছে। গরুর গাড়ি করে মানুষ একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াত করেছে তবে এ প্রচলন টা বা গরুর এই ব্যাবহার এখন নেই বললেই চলে
শহর ও গ্রামের গরু পালন এর ভিন্নতা
জায়গা ভেদে গরু পালনে ভিন্নতা রয়েছে।গ্রামের মানুষ যেভাবে গরু পালন করে শহরে তার থেকে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। গ্রামের মানুষ যেমন বিভিন্ন ঘাস বা খড় দিয়ে গরু পালন করে শহরে দানাদার খাদ্য দিয়ে গরু পালন করা হচ্ছে।
শহরে যে গরু পালন হচ্ছে না তা কিন্তু নয় তারা ও বিশেষ ভাবে গরু পালন করছে। শহরের লোকেরা বিভিন্ন কীটনাশক ব্যাবহার করে গরুর ওজন বাড়াচ্ছে। গরু খুব দ্রুত বেড়ে ওঠার পদক্ষেপ নিচ্ছে। অপর পক্ষে গ্রামের খামারীরা ঘাস ও খড় এবং গরুর বিভিন্ন খাদ্যজাত দিয়ে গরু পালন করছে। শহরের গরুর তুলনায় গ্রামের গরু সন্দেহমুক্ত।এটির তেমন কোন ক্ষতিকারক দিক নেই।
উপসংহার
গরু একটি গবাদি পশু এর ব্যাবহারের ভিন্ন দিক রয়েছে যুগ যুগ ধরে গরু মানুষের বিভিন্ন ভাবে দৈনন্ূিন কাজে আসছে। আদি কালের গরুর ব্যাবহার থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত গরু বিশেষ ভুমিকা পালন করে আসছে এর দুধ ও মাংস পাচ্ছে মানুষ। মুসলমানদের প্রধান উৎসব রঞ্জক খাবার হলো গরুর মাংস। যা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হচ্ছে ছোট বড় সলক আয়োজনে গরুর মাংস কে প্রধানত রাখছে। তাছাড়া ও খাদ্য হিসাবে রয়েছে গরুর দুধ।যাতে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। এটি একটি সুষম খাদ্য।গরুর দুধ পান করে ও আমরা বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হচ্ছি।
এর পাশাপাশি গরুর চামড়া প্রক্্রয়াজাত করন করে বিভিন্ন দ্রব্য, পন্য তৈরী হচ্ছে যা আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস হিসাবে ব্যাবহার করে থাকি। অবেশেষে বলা যায় গরু বিক্রি করে শুধু টাকা নয় এটি আরো বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারি। শখ থেকে সফলতা অর্জন করতে পারি। এটি মানুষের সফলতা অর্জনকারী প্রানি তেমনি উপকারী ও বটে। যুগ যুগ ধরে গরুর ভুমিকা অতুলনীয়। আজকের মত রচনা লিখন এখানেই শেষ করছি ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ইডু টিউন বিডির সাথেই থাকুন
।
ট্যাগঃ গরুর রচনা, গরুর রচনা,গরুর রচনা, গরুর রচনা,গরুর রচনা, গরুর রচনা,গরুর রচনা, গরুর রচনা,