ঘুম থেকে উঠার দোয়া। ঘুম থেকে উঠার সুন্নত সমূহ
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। কেমন আছেন প্রিয় ভিজিটর। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে কথা বলবো ঘুম থেকে উঠার দোয়া। ঘুম থেকে উঠার সুন্নাত সমূহ। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর করণীয় কি কি? কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী আজকের পুরো লেখাটি সাজানোর চেষ্টা করেছি ইনশাআল্লাহ।
পড়ুন – Ayatul Kursi Bangla আয়াতুল কুরসি বাংলা
সূচিপত্র
ঘুম থেকে উঠার দোয়া
মুসলিম হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় নেয়ামত হলো, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের সকল কাজ যদি সুন্নাহভিত্তিক হয় তাহলে আমাদের এই কাজগুলো সবই এবাদত হিসেবে গন্য হয় এবং এতে করে আমরা সওয়াবের ভাগিদার হই।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই যদি রবের স্বরণে ঘুম থেকে ওঠার দোয়া পড়ি তাহলে দিনটা শুরু হয় এক অনাবিল সুখ সাচ্ছন্দ্য নিয়ে। আমাদের মধ্যে অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠার দোয়া জানেন না হয়তো। তাদের জন্যই আজকের লেখা। আমরা আজকে ঘুম থেকে জেগে উঠার ৩ টি দোয়া নিয়ে কথা বলবো। আপনি এই লেখাটি সেভ করে রাখতে পারেন এবং প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে দেখে দেখে দোয়াগুলি পড়তে পড়েন। এভাবে কয়েকদিন পড়লেই ঘুম থেকে উঠার দোয়া মুখস্ত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
ঘুম থেকে উঠার দোয়া
আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আহ্ইয়া-না- বা‘দা মা- আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন্ নুশূর
ঘুম থেকে উঠার দোয়া আরবি
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِيْ أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا، وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ
ভোরে ঘুম থেকে উঠার দোয়া আছে বেশ কয়েকটি। আমরা আজকের এই লেখাতে ঘুম থেকে উঠার পর যে দোয়া পড়তে হয় তার সবগুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
ঘুম থেকে উঠার দোয়া অর্থসহ
ঘুম থেকে জেগে উঠার দোয়া অর্থসহ পড়লে আরো বেশী প্রশান্তি লাভ হয় অন্তরে। এছাড়াও দোয়াটি ভালোভাবে মনে থাকে বহুদিন৷ তাই আমরা ঘুম থেকে উঠার সকল দোয়া অর্থসহ পড়বো ইনশাআল্লাহ।
ঘুম থেকে উঠার দোয়া পিক
ঘুম থেকে উঠার দোয়া বাংলা উচ্চারণ
আল্হামদু লিল্লা-হিল্লাযী ‘আ-ফা-নী ফী জাসাদী, ওয়ারদ্দা ‘আলাইয়্যা রূহী ওয়া আযিনা লী বিযিকরিহী)
ঘুম থেকে উঠার দোয়া আরবিতে
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي فِي جَسَدِي، وَرَدَّ عَلَيَّ رُوحِي، وَأَذِنَ لي بِذِكْرِهِ
ঘুম থেকে উঠার দোয়া বাংলা অর্থ
সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য, যিনি আমার দেহকে নিরাপদ করেছেন, আমার রূহকে আমার নিকট ফেরত দিয়েছেন এবং আমাকে তাঁর যিক্র করার অনুমতি (সুযোগ) দিয়েছেন
ঘুম থেকে উঠে যে দোয়া পড়লে দোয়া কবুল হয়
গভীর রাতে অনেক সময় আমাদের অজান্তেই ঘুম ভেঙে যায়। সে সময় আমরা হয়তো জাগ্রত হয়ে আবার ঘুমিয়ে যাই বা ভিন্ন কোনো কাজ করে থাকি। হাদিস শরীফে এসেছে, কেউ যদি ঘুম ভাঙার পর আল্লাহর কাছে দোয়া করে, আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করেন।
একজন খাটি মুমিন বান্দা সবসময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। কখন আল্লাহর থেকে গুনাহ মাফ করিয়ে নেওয়া যায়। কিভাবে সহজেই আল্লাহর মন জয় করা যায়। কিভাবে পাওয়া যায় পরম সুখের স্থান জান্নাত ।
পড়ুন – সকালে ঘুম থেকে উঠার উপকারিতা
ঘুম থেকে উঠেই যদি প্রথম স্বরণ হয় আপনার রবের প্রতি। তাহলে আপনার আমার মালিক আমাদের প্রতি অনেক খুশি হয়ে যায়। আমাদের যেকোন বৈধ্য আবদার তখন তিনি পুরণ করতে প্রস্তুত। আর এই সুযোগটিই কাজে লাগায় জান্নাত সন্ধানী মুমিন বান্দারা।
হযরত ওবাদাহ ইবনে সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে জেগে ওঠে (নিম্নোক্ত) দোয়া পড়ে তার দোয়া কবুল করা হয়।
ঘুম থেকে উঠার পর দোয়া
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর, আল-হামদু লিল্লাহ, ওয়া সুবহানাল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।’
ঘুম থেকে উঠার পর দোয়া বাংলা অর্থ
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসাও তাঁরই; আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। সুউচ্চ সুমহান আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। হে রব্ব ! আমাকে ক্ষমা করুন”
এই দোয়াটি পড়ার পর আল্লাহর কাছে বলুন গুনাহ থেকে বাঁচার এবং নেক কাজ করার কোনো শক্তি নেই আল্লাহর তাওফিক ছাড়া। অতঃপর বলুন , হে আল্লাহ, আমাকে ক্ষমা করুন বা (অন্য কোনো) দোয়া করুন। আপনার মনের চাওয়া আল্লাহর কাছে বলুন। অতঃপর অজু করে (নামাজ আদায় করলে) তার নামাজ কবুল হয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১৫৪)
দিন ভালো যাওয়ার দোয়া
প্রত্যেক মানুষই চায় তার সারাদিন যেন ভালো কাটে। সারাদিন ফুরফুরে মেজাজে থাকতে পারলে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়। মুমিন বান্দাদের জন্য কিছু দোয়া আছে যে দোয়া পড়লে সারাটা দিন তার ভালো যাবে।
ঘুম থেকে উঠার দোয়া ছবি
দিন ভালো যাওয়ার দোয়া বাংলা উচ্চারণ
ইন্না ফী খলকিস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়াখতিলা-ফিল লাইলি ওয়ান্নাহা-রি লাআয়া-তিল্ লিউলিল্ আলবা-ব। আল্লাযীনা ইয়াযকুরূনাল্লাহা কিয়া-মাও ওয়াকু‘উদাঁও ওয়া‘আলা জুনূবিহিম ওয়াইয়াতাফাক্কারূনা ফী খলকিস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদি, রববানা মা খালাকতা হাযা বা-তিলান, সুবহানাকা ফাকিনা ‘আযা-বান্ নার।
রববানা ইন্নাকা মান তুদখিলিন্ না-রা ফাকাদ আখযাইতাহু, ওয়ামা লিয্যালিমীনা মিন আনসা-র। রববানা ইন্নানা সামি‘না মুনাদিইয়াইয়্যুনা-দী লিলঈমানি আন্ আ-মিনু বিরব্বিকুম ফাআ–মান্না। রব্বানা ফাগফির লানা যুনূবানা ওয়াকাফফির ‘আন্না সায়্যিআ-তিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মা‘আল আবরা-র। রববানা ওয়া আতিনা মা ওয়া‘আদতানা ‘আলা রুসুলিকা ওয়ালা তুখযিনা ইয়াওমাল কিয়া-মাতি, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আদ।
ফাস্তাজাবা লাহুম রববুহুম আন্নী লা উদী‘উ আমালা ‘আমিলিম মিনকুম মিন যাকারিন ওয়া উনসা বা‘দুকুম মিন বা‘দ, ফাল্লাযীনা হা-জারূ ওয়া উখরিজূ মিন দিয়ারিহিম ওয়া ঊ-যূ ফী সাবীলী ওয়া কা-তালু ওয়া কু-তিলু লাউকাফফিরান্না ‘আনহুম সায়্যিআ-তিহিম ওয়ালাউদখিলান্নাহুম জান্না-তিন তাজরী মিন তাহ-তিহাল আনহারু, ছাওয়া-বাম্ মিন ‘ইনদিল্লাহি, ওয়াল্লা-হু ইনদাহু হুসনুছ ছাওয়া-ব। লা ইয়াগুররান্নাকা তাকল্লুবুল্লাযীনা কাফারূ ফিল্ বিলা-দ। মাতা‘উন কালীলুন ছুম্মা মা’ওয়াহুম জাহান্নামু ওয়া বি’সাল মিহা-দ।
লা-কিনিল্লাযীনাত্তাকাও রববাহুম লাহুম জান্না-তুন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহারু খা-লিদীনা ফীহা নুযুলাম্ মিন ইনদিল্লাহি ওয়ামা ইনদাল্লাহি খাইরুল লিল্ আবরার।য়াইন্না মিন আহলিল কিতাবি লামইয়ূ’মিনু বিল্লাহি ওয়ামা উনযিলা ইলাইকুম ওয়ামা উনযিলা ইলাইহিম খা-শিঈনা লিল্লা-হি লা ইয়াশতারূনা বিআ-য়া-তিল্লাহি ছামানান্ কালীলা। উলা-ইকা লাহুম আজরুহুম ‘ইনদা রববিহিম। ইন্নাল্লাহা সারী‘উল হিসাব। ইয়া আয়্যুহাল্লাযীনা আমানুসবিরূ ওয়াসা-বিরূ ওয়া রা-বিতু ওয়াত্তাকুল্লাহা লা‘আল্লাকুম তুফলিহুন
দিন ভালো যাওয়ার দোয়া বাংলা অর্থ
নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের পরিবর্তনে নিদর্শনাবলী রয়েছে বোধশক্তি সম্পন্ন লোকদের জন্য। যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহ্র স্মরণ করে এবং আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্তা করে, আর বলে, ‘হে আমাদের রব! আপনি এগুলো অনর্থক সৃষ্টি করেননি, আপনি অত্যন্ত পবিত্র, অতএব আপনি আমাদেরকে আগুনের শাস্তি হতে রক্ষা করুন।
’
‘হে আমাদের রব! আপনি কাউকেও আগুনে নিক্ষেপ করলে তাকে তো আপনি নিশ্চয়ই হেয় করলেন এবং যালেমদের কোন সাহায্যকারী নেই।’ ‘হে আমাদের রব, আমরা এক আহ্বায়ককে ঈমানের দিকে আহ্বান করতে শুনেছি, ‘তোমরা তোমাদের রবের উপর ঈমান আন।’ কাজেই আমরা ঈমান এনেছি।
হে আমাদের রব! আপনি আমাদের পাপরাশি ক্ষমা করুন, আমাদের মন্দ কাজগুলো দূরীভূত করুন এবং আমাদেরকে সৎকর্মপরায়ণদের সহগামী করে মৃত্যু দিন। ‘হে আমাদের রব! আপনার রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যা দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা আমাদেরকে দান করুন এবং কেয়ামতের দিন আমাদেরকে হেয় করবেন না। নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।’
তারপর তাদের রব তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বলেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের মধ্যে আমলকারী কোনো নর বা নারীর আমল বিফল করি না; তোমরা একে অপরের অংশ। কাজেই যারা হিজরত করেছে, নিজ ঘর থেকে উৎখাত হয়েছে, আমার পথে নির্যাতিত হয়েছে এবং যুদ্ধ করেছে ও নিহত হয়েছে আমি তাদের পাপ কাজগুলো অবশ্যই দূর করব এবং অবশ্যই তাদেরকে প্রবেশ করাব জান্নাতে।
দিন ভালো যাওয়ার দোয়া
যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। এটা আল্লাহ্র কাছ থেকে পুরস্কার; আর উত্তম পুরস্কার আল্লাহ্রই কাছে রয়েছে। যারা কুফরী করেছে, দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন কিছুতেই আপনাকে বিভ্রান্ত না করে। এ তো স্বল্পকালীন ভোগ মাত্র; তারপর জাহান্নাম তাদের আবাস; আর ওটা কত নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল!
কিন্তু যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। এ হচ্ছে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আতিথেয়তা; আর আল্লাহ্র কাছে যা আছে তা সৎকর্মপরায়ণদের জন্য উত্তম। আর নিশ্চয় কিতাবীদের মধ্যে এমন লোকও আছে যারা আল্লাহ্র প্রতি বিনয়াবনত হয়ে তাঁর প্রতি এবং তিনি যা তোমাদের ও তাদের প্রতি নাযিল করেছেন তাতে ঈমান আনে।
তারা আল্লাহ্র আয়াত তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করে না। তারাই, যাদের জন্য আল্লাহ্র কাছে পুরস্কার রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা কর এবং সবসময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাক, আর আল্লাহ্র তাকওয়া অবলম্বন কর; যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার
সূরা আলে ইমরান ১৯০-২০০;
বুখারী, ফাতহুল বারীসহ ৮/৩৩৭, নং ৪৫৬৯;
মুসলিম ১/৫৩০, নং ২৫৬।
ঘুম থেকে উঠার সুন্নত সমূহ
প্রতিটি মুসলমানের উচিত রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাহভিত্তিক চলা সুন্নাতেই একমাত্র মুক্তির পথ। এখন আমরা কথা বলবো ঘুম থেকে উঠার কতিপয় সুন্নাহভিত্তিক আমল নিয়ে।
১। ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম কাজ হলো, হাত দিয়ে চেহারা থেকে ঘুমের প্রভাব দূর করা। (বুখারি, হাদিস : ১৮৩)
২। এরপর ঘুম থেকে উঠার দোয়া পড়া। পারলে আলোচ্য সবগুলো দোয়া পড়া। না পারলে অন্তত একটি দোয়া পড়া।
৩। আল্লাহর কাছে যেকোন দোয়া করা বা যেকোন কিছু আবদার করা
৪। আকাশের দিকে তাকিয়ে সুরা আলে ইমরানের শেষ ১০ আয়াত পাঠ করা
৫। মিসওয়াক করবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুম থেকে উঠে মিসওয়াক করতেন।
৬। গোসল ফরজ হলে গোসল করে নেওয়া অথবা ওজু করা।
৭। তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত পেলে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা
৮। জামায়াতের সাথে ফজরের নামাজ আদায় করা
নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠার দোয়া
আমাদের অনেক সময় নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে উঠার দরকার হলেও আমরা তা পারিনা। এতে করে অনেকসময় আমাদের ফজরের নামাজ কাযা হয়ে যায়।
নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠার কিছু কার্যকরি আমল ও দোয়া আছে। যেমন
১। আগে ঘুমাতে যাওয়া
২। সহীহ নিয়ৎ করে ঘুমানো যে আজকে আমি ওমুক সময়ে উঠবই ইনশাআল্লাহ। এতে করে আল্লাহ আপনাকে উঠতে সহায্য করবেন। দেখবেন অটোমেটিক আপনি জেগে উঠেছেন নির্দিষ্ট সময়ে।
এছাড়াও ইসলামিক স্কলার গন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে জেগে উঠতে কুরআনুল করিমের সুরা ইউনুসের ৬৪ নং আয়াত পরে ঘুমাতেন।আয়তটির বাংলা উচ্চারণ নিচে দেওয়া হলো
নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠার দোয়া বাংলা উচ্চারণ
লাহুমুল বুশরা ফিল হায়াতিদদুনইয়া ওয়া ফিল আখিরাতে লা তাবদিলা লিকালিমাতিল্লাহি জালিকা হুয়াল ফাউযুল আজিম।
নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠার দোয়া বাংলা অর্থ
তাদের জন্য সুসংবাদ দুনিয়ার জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা।’ (সুরা ইউনুস : আয়াত ৬৪)
সকালে ঘুম থেকে উঠার হাদিস
রাসুল (সা.)-এর আদুরে কন্য ফাতেমা (রা.) বলেন, একবার রাসুল (সা.) ভোরবেলা আমার ঘরে এসে আমাকে ঘুমে দেখতে পেলেন, তখন তিনি আমাকে পা দিয়ে নাড়া দিয়ে বললেন,
হে প্রিয় কন্যা! ওঠো! তোমার রবের পক্ষ থেকে রিজিক গ্রহণ করো! অলসদের দলভুক্ত হয়ো না। কেননা আল্লাহ তাআলা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের মাঝে রিজিক বণ্টন করে থাকেন।
(আত-তারগিব ওয়াত তারহিব, হাদিস : ২৬১৬)
ঘুম থেকে উঠার দোয়া ভিডিও
শেষ কথাঃ
ঘুম থেকে উঠার দোয়া ও ঘুম থেকে উঠার কতিপয় সুন্নাত নিয়ে কোরআন ও হাদিস থেকে যতটুকু আলোচনা হলো,দোয়া করি দোয়া চাই আল্লাহ আমাকে এবং আপনাকে আমল করার তৌফিক দান করুক আমিন। আজকের মত লেখা এখানেই শেষ করছি। আগামীতে আবারো দেখা হবে অন্য কোন দোয়া নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আমাদের সাথে থাকুন।