প্রিয় পাঠক চিঠি লিখা আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে। এই চিঠি দিয়ে আমরা একসময় আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করতাম। আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হলো চিঠি লেখার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে। চলুন তবে শুরু করা যাক।
হ্যালো প্রিয় ভিজিটর গণ, আশা করি সকলে অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে চিঠি লেখার নিয়ম এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।
চিঠি লেখার নিয়ম সম্পর্কে কিন্তু আগে আমাদের জানতে হবে চিঠি লিখা কেন প্রয়োজন। অনেকেই আছেন যারা শুধু মাত্র চিঠি লিখার নিয়ম জানেন কিন্তু চিঠি কেন লিখতে হয় এটি জানেন না। আবার অনেকে আছেন যারা চিঠি কেন লিখতে হয় জানেন কিন্তু চিঠি লিখার নিয়ম জানেন না। তাই সকলের জন্যই আজকের এই পোস্ট টি। এই পোস্ট এ এই দুই বিষয় নিয়েই ক্লিয়ার একটি ধারণা পাবেন।
চিঠি কেন লিখতে হয়?
বিভন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন মানুষ কে আমাদের চিঠি লিখতে হয়। ব্যাক্তিগত সংবাদ জানতে কিংবা জানাতে, আবার প্রাতিষ্ঠানিক রীতি বা নিয়ম মান্য করতে, আনুষ্ঠানিক বক্তব্য প্রকাশ করতে, ব্যবসায়িক যোগাযোগ স্থাপন করতে ইত্যাদি নানা কারণে আমাদের চিঠিপত্র লিখতে হয়।
চিঠি অনেক রকমের হতে পারে। কিন্তু আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে ব্যক্তিগত চিঠি লিখার নিয়ম ও সে বিষয়ে আলোচনা করবো।
ব্যাক্তিগত চিঠি
আত্নীয় – স্বজন ও পরিচিত – অপরিচিত ব্যাক্তি দের সাথে লিখিত যোগাযোগ এর মাধ্যম কে ই ব্যাক্তিগত চিঠি পত্র বলে। এখন ইন্টারনেট এর যুগ। কিন্তু এখন ও কিন্তু এই ব্যাক্তিগত চিঠিপত্রের কোনো কদর কমেনি বরং এর ধরণ বদলেছে বলতে গেলে এটি আমাদের দ্বারা আপডেট হয়ে গেছে।
আগে ডাক বিভাগের মাধ্যমে চিঠি একজনের কাছ থেকে অন্য জনের কাছে যেতো কিন্তু এখন ডাক বিভাগের পাশাপাশি ই-মেইল, এসএমএস ইত্যাদি এর মাধ্যমে ব্যাক্তিগত চিঠিপত্রের আদান-প্রদান করা হচ্ছে। নিম্নে ব্যাক্তিগত চিঠিপত্রের লিখার নিয়ম সম্পর্কে বলা হলো,,,
ব্যাক্তিগত চিঠিপত্র লেখার নিয়ম
যে কোনো জিনিস সঠিক ভাবে করার জন্য একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। তো সেই দিক দিয়ে ধরতে গেলে চিঠি লেখার ও একটি নিয়ম রয়েছে। নিম্নে সেই বিষয় বলা হলোঃ
১. চিঠি লেখা শুরু করার প্রথম ধাপ হলো তারিখ এবং নিজের ঠিকানা দেওয়া। এখন প্রশ্ন তারিখ ও ঠিকানা কোথায় দিবো? এর উত্তর হলো আপনারা তারিখ ও ঠিকানা চিঠি যে পেজ এ লিখবেন সেই পেজের একদম বাম সাইডে লিখবেন।
২. যার কাছে চিঠি লিখবেন তার উপর ভিত্তি করে একটি সম্মানজনক অর্থ লিখা। যেমনঃ মায়ের কাছে চিঠি লিখলে লিখা যায় শ্রদ্ধেয় মা, আবার শিক্ষক এরকম বড় কোনো ব্যাক্তির কাছে চিঠি লিখলে মহোদয়/ সবিনয় নিবেদন / জনাব ইত্যাদি লিখা। এটি অবশ্যই ডান সাইড থেকে লেখা শুরু করবেন।
৩. চিঠি লিখা এবার শুরু হবে। এখন প্রথম লাইনে যাকে চিঠি লিখছেন তার সম্পর্কে একটি সুন্দর বাক্য দিয়ে লিখা শুরু করুন। যেমনঃ মায়ের কাছে লিখলে, প্রিয় মা আমার সালাম নিবেন। আশা করি আপনি ও বাবা সহ বাসার সবাই অনেক ভালো আছেন।
৪. এবার চিঠি সম্পর্কে বিস্তারিত লিখুন। এখানে চিঠিতে যা লিখার প্রয়োজন তা লিখুন।
৫. এবার একদম শেষের লাইনে চলে এসেছেন আপনি। এই অংশে যাকে চিঠি লিখছেন তার মঙ্গল কামনা করে এবং তার সাথে কার মানুষ এর মঙ্গল কামনা চিঠি লিখা শেষ করবেন।
৬. এবার একদম শেষের দিকে আবার হাতের ডান সাইডে গিয়ে আপনার সম্পর্কিত একটি সুনির্দিষ্ট কথা ও আপনার নাম দিয়ে চিঠি লিখা শেষ করুন। যেমনঃ মায়ের কাছে চিঠি লিখলে,
তোমার স্নেহের
(এখানে আপনার নাম দিবেন)
আবার শিক্ষকদের কাছে লিখলে,
আপনার একান্ত বাধ্যগত ছাত্র
(আপনার নাম)
আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে চিঠি লিখতে হয়। যদি বুঝে থাকেন এবং আপনার সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবাণ সময় আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়ার জন্য। আশাকরি আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় চিঠি লেখার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে আপনি সঠিক ধারণা পেতে সক্ষম হয়েছেন।