তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা
সূচিপত্র
ভুমিকা
পৃথিবীর সম্পদ হলো তথ্য।মানুষ জ্ঞান অন্বেষন ধারন ও ব্যাবহার করতে পারে।একুশ শতকে দুটি বিষয় শুরু হয়েছেযথাঃ১ বিশ্বায়ন ২ আন্তর্জাতিকতা
তথ্য আহরন সংরক্ষন প্রক্রিয়াকরন ও বিতরনের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া ও ব্যাবস্থাকে তথ্য প্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি বলা হয়। মূলত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির সাথে মিলেমিশে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে।তারপর ও প্রযুক্তি বিকাশে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে কম্পিউটার।কম্পিউটার নির্ভর ইন্টারনেট প্রযুক্তির ফলে সমগ্র বিশৃবটি এখন এক বিশাল তথ্য ভান্ডারে পরিনত হয়েছে।
প্রতিদিন মানুষের জীবনে নতুন নতুন সমাবেশ ঘটছে।যার ফলে তথ্যের পরিমান দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।জীবনে বিভিন্ন দিকে মানুষ সক্রিয় অংশগ্রহন দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায়,মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সময়ে উপযুক্ত তথ্য পাওয়ার গুরুত্ব বেড়ে যাচ্ছে।কারন মানুষের নিজের মধ্যে সব তথ্য মনে রাখা বা হাতের কাছে পাওয়া সম্ভব নয়।এজন্য প্রয়োজন ভালো যোগাযোগ ব্যাবস্থা।যার মাধ্যমে সহজে ও দ্রুত তথ্য পাওয়া যায়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির তাৎপর্য্যঃ
information and comunications technology বা সংক্ষেপে( I C T) সাধারন ভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসমার্থক শব্দ হিসাবে ব্যাবহিত হয়। প্রকৃত পক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একধরনের একিভূত যোগাযোগ ব্যাবস্থা। এবং টেলিযোগাযোগ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও তৎসম্পর্কিত এন্টার প্রাইজ সফটওয়্যার, মিডলওয়্যার তথ্যসংরক্ষন অডিও, ভিডিও সিস্টেম ইত্যাদি সম্বনয়ে গঠিত।এমন এক ধরনের ব্যাবস্থা যার মাধ্যমে একজন ব্যাবহার কারী খুব সহজে তথ্য গ্রহন সংরক্ষন, সঞ্চালন ও বিশ্লেষন করতে পারে। প্রযুক্তিতে আইসিটি শব্দটির ব্যাবহার করে একাডেমি গবেষকরা ১৯৮০ সালের দিকে।কিন্তু শব্দটির জনপ্রিয়তা লাভ করে ১৯৯৭ সাল থেকে।
স্টিভেনশন ২৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যে সরকার কে দেওয়া এক প্রতিবেূনে এই শব্দটির উল্লেখ করেন।যা পরবর্তীতে ২০০০ সালে যুক্তরাজ্যের নতুন জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে সংযোজন করা হয়।বর্তমান সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দ্বারা একক তার বা একক লিঙ্ক সিস্টেমের মাধ্যমে টেলিফোন অডিওভিজুয়াল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সমন্বয় প্রযুক্তিকে প্রকাশ করা হয় পূর্বে এ কজ গুলো কম্পিউটার ব্যাবহার করে করা হলে ও বর্তমানে মোবাইল ও বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমেআইসিটির কাজ করা হয়। একক লিঙ্ক সিস্টেমের মাধ্যমে টেলিফোন অডিও ভিজুওয়াল ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর সমন্বয়ে ফলে বিশাল অঙ্কের অর্থনৈতিক খরচ কমে গিয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাবহারঃ
দৈনন্দিন জীবন এ তথ্য প্রযুক্তির নানাবিধ ব্যাবহার রয়েছে। কয়েকটি ব্যাবহার নিচে দেওয়া হলো;
মোবাইল ফোন ব্যাবহারের ফলে ঘরে বসে থেকেই পরিক্ষার ফলা ফল জানা যায়।
মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে ঘরে বসে থেকেই টাকা পাঠানো এবং গ্রহন করা যায়।
অনলাইন এবং ইন্টারনেট ব্যাবহার করে ঘরে বসেই চাকরির দরখাস্ত করা যায়। এবং পরিক্ষার প্রবেশ পত্র অনলাইন থেকে প্রিন্ট করা যায়।
অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ঘরের বাইরে বা স্টেশনে না গিয়েয় ট্রেন ও প্লেনের টিকিট কাটা যায়
অনলাইন বা ইন্টারনেটের সহায়তায় সব ধরনের পত্রিকা পড়া যায়।
ইন্টারনেট ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় পন্যের অর্ডার দেওয়া এবং বিল পরিশোধ করা যায়। ই বুক পরার সুবিধা পাওয়া যায়।
তথ্য প্রযুক্তির উপকারিতা ও অপকারিতাঃ
উপকারিতাঃ
তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহারের ফলে ঘরে বসে প্রায় সকল কাজ করা যাচ্ছে।
তথ্য ওপ্রযুক্তির ফলে ডেটা স্থানান্তরের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রতিনিয়ত প্রতিটা কাজের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কম সময়ে বেশি স্থানান্তর সম্ভব হচ্ছে।ফলে খরচ কম হচ্ছে।যোগাযোগ ব্যাবস্থার অনেক উন্নত হচ্ছে।
এর অপকারিতা;তথ্য ও ঢ়োগাযোগ প্রযুক্তির গোপনীয়তা নিরাপত্তার অভাব থেকে যায়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলে ঘরে বসেই সব কিছু করছে সুতরাং শারীরিক ক্ষতি হয় অনেক।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলে কম্পিউটার দিয়েয় সব কাজ করাচ্ছে ফলে বেকারত্ব সৃষ্টি হচ্ছে।
তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার অভিযাত্রায় সারা দেশে ৫০০০ ইউনিয়ন ইন ফরমেশন সার্ভিস সেন্টার বা ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছে।এর উপরের দিকে আছে ডিস্ট্রিক ইনফরমেশন সেল বা জেলা তথ্য সেল ও ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেল বা জাতীয় সেল। এসব তথ্যকেন্দ্র ও সেল স্থাপনের কেন্দ্র ভোগ করছে জাতি।পোস্ট অফিস, ডাকঘর ও এখন তথ্য প্রযুক্তির সেবার আওতায় চলে আসছে।
সরকার দেশব্যাপি ৯০০০গ্রামিন ডাকঘর এবং প্রায় ৫০০ উপজেলা ডাকঘরকে ই সেন্টারে পরিনত করেছে। ডাকঘরের মাধ্যমে মোবাইল মনি অর্ডার ও পোস্টাল ক্যাশ কার্ডসেবা চালু করা ও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।এসব পরিসেবার মতো আগামি দিন গুলো আরো নিত্যনতুন সেবা চালু হবে বলে আমরা আশা করি একটি অত্যন্ত উৎসাহব্যাঞ্জক বিষয় হলো আমদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগির সহায়তায় দেশ ব্যাপির পশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে আইসিটি বিষয়ে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরীর জন্য সর্বাত্নক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এধরনের প্রশিক্ষনের উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো লার্নিং এন্ড আর্নিং মোবাইল এপস নিয়ে প্রশিক্ষন আইসিটি খাতকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিমুখী করে তোলা কর্মসংস্থান ও সুশাসন প্রকল্পআইটিএস ফাউন্ডেশন স্কিলস ট্রেনিং ও এক হাজার মিডল ম্যানেজার ট্রেনিং ইত্যাদি।বিশ্বখাত কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজনেস স্কুলের সহায়তায় এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে।
দেশে স্কুল পর্যায়ে ও আইসিটি শিক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।এর মধ্যে আমরা টেলিভিশন এর মাধ্যমে খবরে আইসিটি প্রতিমন্ত্রিকে দেশের আইসিটি নীতিমালা আধুনিকায়তনের বলতে দেখেছি। তবে দেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন টা নির্ভর করছে বর্ধিত বিনিয়োগ, মানব পুজির উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ওপর। প্রযুক্তি ব্যাবহার ও প্রচলন বৃদ্ধির উৎপাদনশীলতা বাড়বে বলে আশা করা যায়।
এ ক্ষেত্রে খেয়াল করতে হবে যে প্রতিটি নতুন প্রযুক্তি জন্যই নতুন প্রশিক্ষন ও দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। প্রাথমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আইসিটি শিক্ষা চালু করলেই হবে না এর গুনগত মান ও নিশ্চিত করতে হবে। সে সঙ্গে সাধারন জনগনকে ও আইসিটি বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আবার গ্রাম ও শহর এবং বাংলাদেশ ও অন্যান্য বিকাশমান দেশগুলোর মধ্যে যেন প্রযুক্তি বিষয়ে বিভক্তি বা পার্থক্য না থাকে এবংথাকলে ও তা দূর করার দিকে নজর রাখতে হবে।
উপসংহার
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলে দেশের যেমন উন্নয়ন হচ্ছে তেমনি দেশের মানুষ ও উপকৃত হচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর অপকারিতা ও রয়েছে। আমাদের উচিত এর অপকারিতার দিক উপেক্ষা করে এর উপকারি দিকটায় ব্যাবহার করা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যাবহার করে আমরা আমাদের জীবন ও দেশটাকে পাল্টে ফেলতে পারি। রাষ্টের নাগরিক হিসাবে এর উন্নয়নের দিকটা আমাদের লক্ষ রাখতে হবে। রাষ্টের উন্নয়ন এর জন্য এর অপব্যাবহার রোধ করতে হবে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা ৮০০ শব্দের
ভূমিকাঃ
তথ্য ও যোগাযোগ এর ধারনা

টেলিফোনঃ
রেডিও
পড়ুন – বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা
টেলিভিশনঃ
ইন্টারনেটঃ
তথ্যও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধাঃ
তথ্যও যোগাযোগ প্রযুক্তির অসুবিধাঃ
শেষকথাঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নিয়ে রচনা লিখন এখানেই শেষ করতে চাচ্ছি । আমাদের এই লেখা থেকে যদি একজনও উপকৃত হয় তবেই আমাদের এই কষ্ট সার্থকতায় রূপ নেবে ইনশাআল্লাহ । আজ এই পর্যন্তই ভালো থাকবে,,, আল্লাহ হাফেজ।