তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা 

 

ভুমিকা

পৃথিবীর সম্পদ  হলো তথ্য।মানুষ জ্ঞান অন্বেষন ধারন ও ব্যাবহার করতে পারে।একুশ শতকে দুটি বিষয় শুরু হয়েছেযথাঃ১ বিশ্বায়ন ২ আন্তর্জাতিকতা

তথ্য আহরন সংরক্ষন প্রক্রিয়াকরন ও বিতরনের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া ও ব্যাবস্থাকে তথ্য প্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি বলা হয়। মূলত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির সাথে মিলেমিশে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে।তারপর ও প্রযুক্তি বিকাশে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে কম্পিউটার।কম্পিউটার নির্ভর ইন্টারনেট প্রযুক্তির ফলে সমগ্র বিশৃবটি এখন এক বিশাল তথ্য ভান্ডারে পরিনত হয়েছে।

 

প্রতিদিন মানুষের জীবনে নতুন নতুন সমাবেশ ঘটছে।যার ফলে তথ্যের পরিমান দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।জীবনে বিভিন্ন দিকে মানুষ সক্রিয় অংশগ্রহন দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায়,মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সময়ে উপযুক্ত তথ্য পাওয়ার গুরুত্ব বেড়ে যাচ্ছে।কারন মানুষের নিজের মধ্যে সব তথ্য মনে রাখা বা হাতের কাছে পাওয়া সম্ভব নয়।এজন্য প্রয়োজন ভালো যোগাযোগ ব্যাবস্থা।যার মাধ্যমে সহজে ও দ্রুত তথ্য পাওয়া যায়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির তাৎপর্য্যঃ

information and comunications technology বা সংক্ষেপে( I C T) সাধারন ভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসমার্থক শব্দ হিসাবে ব্যাবহিত হয়। প্রকৃত পক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একধরনের একিভূত যোগাযোগ ব্যাবস্থা। এবং টেলিযোগাযোগ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও তৎসম্পর্কিত এন্টার প্রাইজ সফটওয়্যার, মিডলওয়্যার তথ্যসংরক্ষন অডিও, ভিডিও সিস্টেম ইত্যাদি সম্বনয়ে গঠিত।এমন এক ধরনের ব্যাবস্থা যার মাধ্যমে একজন ব্যাবহার কারী খুব সহজে তথ্য গ্রহন সংরক্ষন, সঞ্চালন ও বিশ্লেষন করতে পারে। প্রযুক্তিতে আইসিটি শব্দটির ব্যাবহার করে একাডেমি গবেষকরা ১৯৮০ সালের দিকে।কিন্তু শব্দটির জনপ্রিয়তা লাভ করে ১৯৯৭ সাল থেকে।

 

স্টিভেনশন ২৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যে সরকার কে দেওয়া এক প্রতিবেূনে এই শব্দটির উল্লেখ করেন।যা পরবর্তীতে ২০০০ সালে যুক্তরাজ্যের নতুন জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে সংযোজন করা হয়।বর্তমান সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দ্বারা একক তার বা একক লিঙ্ক সিস্টেমের মাধ্যমে টেলিফোন অডিওভিজুয়াল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সমন্বয় প্রযুক্তিকে প্রকাশ করা হয় পূর্বে এ কজ গুলো কম্পিউটার ব্যাবহার করে করা হলে ও বর্তমানে মোবাইল ও বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমেআইসিটির কাজ করা হয়। একক লিঙ্ক সিস্টেমের মাধ্যমে টেলিফোন অডিও ভিজুওয়াল ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর সমন্বয়ে ফলে বিশাল অঙ্কের অর্থনৈতিক খরচ কমে গিয়েছে।

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাবহারঃ

 

দৈনন্দিন জীবন এ তথ্য প্রযুক্তির নানাবিধ ব্যাবহার রয়েছে। কয়েকটি ব্যাবহার নিচে দেওয়া হলো;

মোবাইল ফোন ব্যাবহারের ফলে ঘরে বসে থেকেই পরিক্ষার ফলা ফল জানা যায়।

মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে ঘরে বসে থেকেই টাকা পাঠানো এবং গ্রহন করা যায়।

অনলাইন এবং ইন্টারনেট ব্যাবহার করে ঘরে বসেই চাকরির দরখাস্ত করা যায়। এবং পরিক্ষার প্রবেশ পত্র অনলাইন থেকে প্রিন্ট করা যায়।

অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ঘরের বাইরে বা স্টেশনে না গিয়েয় ট্রেন ও প্লেনের টিকিট কাটা যায়

অনলাইন বা ইন্টারনেটের সহায়তায় সব ধরনের পত্রিকা পড়া যায়।

ইন্টারনেট ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় পন্যের অর্ডার দেওয়া এবং বিল পরিশোধ করা যায়। ই বুক পরার সুবিধা পাওয়া যায়।

 

তথ্য প্রযুক্তির উপকারিতা ও অপকারিতাঃ

 

উপকারিতাঃ

 

তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহারের ফলে ঘরে বসে প্রায় সকল কাজ করা যাচ্ছে।

তথ্য ওপ্রযুক্তির ফলে ডেটা স্থানান্তরের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রতিনিয়ত প্রতিটা কাজের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কম সময়ে বেশি স্থানান্তর সম্ভব হচ্ছে।ফলে খরচ কম হচ্ছে।যোগাযোগ ব্যাবস্থার অনেক উন্নত হচ্ছে।

এর অপকারিতা;তথ্য ও ঢ়োগাযোগ প্রযুক্তির গোপনীয়তা নিরাপত্তার অভাব থেকে যায়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলে ঘরে বসেই সব কিছু করছে সুতরাং শারীরিক ক্ষতি হয় অনেক।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলে কম্পিউটার দিয়েয় সব কাজ করাচ্ছে ফলে বেকারত্ব সৃষ্টি হচ্ছে।

 

তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন

 

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার অভিযাত্রায় সারা দেশে ৫০০০ ইউনিয়ন ইন ফরমেশন সার্ভিস সেন্টার বা ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছে।এর উপরের দিকে আছে ডিস্ট্রিক ইনফরমেশন সেল বা জেলা তথ্য সেল ও ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেল বা জাতীয় সেল। এসব তথ্যকেন্দ্র ও সেল স্থাপনের কেন্দ্র ভোগ করছে জাতি।পোস্ট অফিস, ডাকঘর ও এখন তথ্য প্রযুক্তির সেবার আওতায় চলে আসছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

সরকার দেশব্যাপি ৯০০০গ্রামিন ডাকঘর এবং প্রায় ৫০০ উপজেলা ডাকঘরকে ই সেন্টারে পরিনত করেছে। ডাকঘরের মাধ্যমে মোবাইল মনি অর্ডার ও পোস্টাল ক্যাশ কার্ডসেবা চালু করা ও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।এসব পরিসেবার মতো আগামি দিন গুলো আরো নিত্যনতুন সেবা চালু হবে বলে আমরা আশা করি একটি অত্যন্ত উৎসাহব্যাঞ্জক বিষয় হলো আমদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগির সহায়তায় দেশ ব্যাপির পশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে আইসিটি বিষয়ে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরীর জন্য সর্বাত্নক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

 

এধরনের প্রশিক্ষনের উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো লার্নিং এন্ড আর্নিং মোবাইল এপস নিয়ে প্রশিক্ষন আইসিটি খাতকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিমুখী করে তোলা কর্মসংস্থান ও সুশাসন প্রকল্পআইটিএস ফাউন্ডেশন স্কিলস ট্রেনিং ও এক হাজার মিডল ম্যানেজার ট্রেনিং ইত্যাদি।বিশ্বখাত কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজনেস স্কুলের সহায়তায় এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে।

দেশে স্কুল পর্যায়ে ও আইসিটি শিক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।এর মধ্যে আমরা টেলিভিশন এর মাধ্যমে খবরে আইসিটি প্রতিমন্ত্রিকে দেশের আইসিটি নীতিমালা আধুনিকায়তনের বলতে দেখেছি। তবে দেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন টা নির্ভর করছে বর্ধিত বিনিয়োগ, মানব পুজির উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ওপর। প্রযুক্তি ব্যাবহার ও প্রচলন বৃদ্ধির উৎপাদনশীলতা বাড়বে বলে আশা করা যায়।

 

এ ক্ষেত্রে খেয়াল করতে হবে যে প্রতিটি নতুন প্রযুক্তি জন্যই নতুন প্রশিক্ষন ও দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। প্রাথমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আইসিটি শিক্ষা চালু করলেই হবে না এর গুনগত মান ও নিশ্চিত করতে হবে। সে সঙ্গে সাধারন জনগনকে ও আইসিটি বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আবার গ্রাম ও শহর এবং বাংলাদেশ ও অন্যান্য বিকাশমান দেশগুলোর মধ্যে যেন প্রযুক্তি বিষয়ে বিভক্তি বা পার্থক্য না থাকে  এবংথাকলে ও তা দূর করার দিকে নজর রাখতে হবে।

 

উপসংহার

 

তথ্য  ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলে দেশের যেমন উন্নয়ন হচ্ছে তেমনি দেশের মানুষ ও উপকৃত হচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর অপকারিতা ও রয়েছে। আমাদের উচিত এর অপকারিতার দিক উপেক্ষা করে এর উপকারি দিকটায় ব্যাবহার করা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যাবহার করে আমরা আমাদের জীবন ও দেশটাকে পাল্টে ফেলতে পারি। রাষ্টের নাগরিক হিসাবে এর উন্নয়নের দিকটা আমাদের লক্ষ রাখতে হবে। রাষ্টের উন্নয়ন এর জন্য এর অপব্যাবহার রোধ করতে হবে

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা ৮০০ শব্দের 

ভূমিকাঃ

বর্তমান বাংলাদেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর হতে চলছে। প্রযুক্তি বলতে কোনো পন্যের উৎপাদন সেবার কার্যকারিতা বা বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে সম্পাদনে ব্যাবহিত ম্যাথড, স্কিল এবং ট্যাকনিকের সমষ্টি কে বুঝায়। প্রযুক্তি বলতে সাধারণ ভাবে কতিপয় কৌশল ও প্রক্রিয়ার সমন্বিত জ্ঞান কে বুঝিয়ে থাকে। এটি যে কোন মেশিন কম্পিউটার বা ডিভাইস সংস্লিষ্ট ও সংযুক্ত হতে পারে।যার ফলে যেকোন ব্যাক্তি এ সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে ও এগুলোকে ব্যাবহার করতে সক্ষম হয়। তথ্য ও যোগাযোগ উন্নতির ফলে মানুষ বিভিন্ন ভাবে সেবা নিচ্ছে তথ্যও যোগাযোগ প্রযুক্তির কি?  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে কি বুঝায় নিচে তার সংক্ষিপ্ত বর্ননা দেওয়া হলোঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে কি বুঝায় ও এর ধারনাঃ তথ্য প্রযুক্তি বলতে সাধারনত তথ্য রাখা এবং একে ব্যাবহার করার প্রযুক্তিকেই বুঝানো হয়। তথ্য প্রযুক্তি মূলত একটি সমন্বিত প্রযুক্তি যা যোগাযোগ ও টেলিযোগাযোগ, অডিও, ভিডিও কম্পিউটিং সম্প্রচার সহ আরো বহুবিধ প্রযুক্তির সম্মিলনে দীর্ঘদিন ধরে চর্চার ফলে সমৃদ্ধি লাভ করে। তথ্যপ্রযুক্তিরূপে আবির্ভূত হয়েছে। সাবিক ভাবে বলতে গেলে কম্পিউটার এবং টেলিযোগাযোগ ব্যাবস্থার মাধ্যমে, যাবতীয় তথ্যসংগ্রহ একত্রীকরন, সংরক্ষণ প্রক্রিয়া করন এবং বিনিময়কে তথ্য প্রযুক্তি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।

তথ্য ও যোগাযোগ এর ধারনা

যোগাযোগ হলো সাধারন ভাষায়, একপক্ষের সাথে অন্য পক্ষের মুখোমুখি বা অন্য কোন উপায়ে সংযোগ ব্যাবস্থা। আর যোগাযোগ প্রযুক্তি বা কমিউনিকেশন সিস্টেম হলো কমৃপিউটার বা কেন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মধ্যে ডেটা বা তথ্য আাদান প্রদান ব্যাবস্থার সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি। এক কথায় যে প্রযুক্তির সাহায্যে নির্ভর যোগ্য উপায়ে উৎস হতে গন্তব্যে ডেটা কমিউনিকেশন প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হতে পারে তাকেই যোগাযোগ প্রযুক্তি বলা হয়ে থাকে।তথ্য প্রযুক্তি সাথে যোগাযোগ মাধ্যমের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
তাই বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলা হয়। বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির জন্য ২০০৯ সালে একটি আইন প্রনয়ন করা হয়েছে। যার নাম তথ্য অধিকার আইন। ২০০৯। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আগামি বিশ্ব কে একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক সমাজে পরিনত করা। যার ভিত্তি হবে ব্যাপক তথ্যের অবাধ প্রবাহ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কিছু মাধ্যম রয়েছে নিচে তা আলোচনা করা হলো

টেলিফোনঃ

আলেকজেন্ডার গ্রাহামবেল, ১৮৭৬ সালে টেলিফোনে তার পেটেন্টের সাথে যেভাবে যোগাযোগ করেছিলেন তার মধ্যে বিপ্লব ঘটেছিল।বিগত শতাব্দীতে প্রযুক্তিতে অগ্রগতি গুলো হালকা মাইক্রোক্রাইটারের সাথে মূল নকশার ভারী হার্ডওয়্যার মেটাল ওয়ারিংকে প্রতিস্থাপন করেছে। এই অগ্রগতিগুলে ল্যান্ড লাইন গুলো থেকে ওয়্যারল্যাসে রূপান্তর করার মাধ্যমে লোককে দূরবর্তী অবস্থান থেকে যোগাযোগ করার সহায়তা করে।সারা বিশ্ব জুড়ে কয়েক মিলিয়ন মানুষ একে অপরের সাথে কথা বলতে পারে। ব্যাবসা সম্প্রসারন করতে পারে এবং সম্পর্কগুলো উন্নত করতে পারে।

রেডিও

১৮৬০ এর দশকের  শুরোর দিকে জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল রেডিও তরঙ্গগুলো অসত্বিতের পূর্বাবাস করেছিলেন। ১৮৮৬ সালে হেইনরিচ হার্টজ সফলভাবে চুম্বকীয় প্রদর্শন করার মধ্য দিয়ে জেমসক্লার্ক  ম্যাক্সওয়েলের ভবিষ্যদ্বানীগুলো সত্য প্রমানিত হয়েছিল।১৮৯৫ সালে গুগলিওয়েলেমো মার্কোনি রেডিও সংকেতপ্রাপ্ত প্রথম ব্যাক্তি হয়েছিলেন।

পড়ুন – বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা

১৯০২ সালের অক্টোবরের মধ্যে তিনি ইংলিশ চ্যানেল জুড়ে এস অক্ষরটি টেলিগ্রাফ করতে সক্ষম হন। এটি প্রথম সফল ট্রান্সআটলান্টিক রেডিও গ্রাফিক বার্তা হয়ে ওঠে ১৯০৬ সালে রেগিনাল্ড ফেসেনডেন প্রথম এ এম সম্প্রচার করেন।

টেলিভিশনঃ

টেলিভিশন হলো স্থির বা মুভিং অবজেক্টর ক্ষনস্থায়ী চিত্রগুলো একসাথে তারের ওপর দিয়ে বা স্থানের মাধ্যমে যন্ত্রের মাধ্যমে সংশ্লেষ করার একটি বৈদ্যুতিন তরঙ্গ রূপান্তর করে এবং দৃশ্যমান আলোকরশ্মি এবং শ্রাব্য শব্দগুলো পুনরায় রূপান্তর করে।

ইন্টারনেটঃ

ইন্টারনেট একটি বৈদ্যুতিন যোগাযোগ নেটওয়ার্ক যা সারা বিশ্বে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এবং সাংগঠনিক কম্পিউটার সুবিধার সাথে সংযোগ স্থাপন করে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে খুব দ্রুত তথ্য আূান- প্রদান করতে পারে।

তথ্যও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধাঃ

তথ্যও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলে বর্তমানে করোনামহামারী কালিন শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইনে অংশ গ্রহন করতে পারছে
এরফলে ব্যাবহারকারী এবং দ্রব্যউৎপাদককারী মধ্যে সমন্বয় ঘটছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলে প্রতিটা মানুষ এর শক্তির অপচয় কম হচ্ছে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলে সহজে তথ্য সংগ্রহ ও বিতরন করতে পারছে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলে বর্তমানে খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইনে কেনা কাটার সুবিধাপাচ্ছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দিন দিন মানুষের ক্ষতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজ গুলো আরো সহজ হচ্ছে
তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহারের ফলে ঘরে বসে প্রায় সকল কাজ করা যাচ্ছে
তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহারের ফলে ডেটা স্থানান্তরের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রতিনিয়ত প্রতিটা কাজের গতি চরমভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কম সময়ে বেশি তথ্য স্থানান্তর সম্ভব হচ্ছে ফলে খরচ কম হচ্ছে।যোগাযোগ ব্যাবস্থার অনেক উন্নত হয়েছে।

তথ্যও যোগাযোগ প্রযুক্তির অসুবিধাঃ

তথ্যও যোগাযোগ প্রযুক্তির গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার অভাব থেকে যায়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলে ঘরে বসেই সব কিছু করছে ফলে ক্ষতি হয় অনেক।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলে কম্পিউটার দিয়েই অনেক কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে যার ফলে বেকারত্ব সৃষ্টি হচ্ছে।
বর্তমানে তথ্যও যোগাযোগ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ বিশ্বে কর্মসৃজন ও কর্মপ্রাপ্তি এক নতুন যাত্রা পেয়েছে।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপুল বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো নতুন কাজের সৃষ্টি তথ্য প্রযুক্তি বিকাশের ফলে কিছু কিছু  সনাতনী কাজ বিলুপ্ত হয়েছে। ভৈশ কিছু কাজের ধারা পরিবর্তিত হয়েছে বটে, তবে অসংখ্য নতুন কাজের সৃষ্টি হয়েছে।
এক গবেষনায় দেখা গেছে প্রতি এক হাজার ইন্টারনেট সংযোগের ফলে নতুন ৮০ টি কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।মানুষ এখন ঘরে বসে ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কল্যানে আয় করতে পারছে।সুতরাং বলা যায় কর্মসৃজৃ ও র্ম প্রাপ্তিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহারঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যাবহার করে আমরা যে শুধু মাত্র আমাদের নিজের জীবনটাকে সহজ করতে পারি তা নয় আমরা কিন্তু আমাদের দেশটাকে ও পাল্টে ফেলতে পারি। জ্ঞান হচ্ছে পৃথিবীর সম্পদ আর যে দেশের মানুষ লেখাপড়া শিখে শিক্ষিত, যারা জ্ঞান চর্চা করে সেই দেশ হচ্ছে সম্পদশালিদেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শেখার জন্য সবার দরজা খোলা।

শেষকথাঃ

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নিয়ে রচনা লিখন এখানেই শেষ করতে চাচ্ছি । আমাদের এই লেখা থেকে যদি একজনও উপকৃত হয় তবেই আমাদের এই কষ্ট সার্থকতায় রূপ নেবে ইনশাআল্লাহ ।  আজ এই পর্যন্তই ভালো থাকবে,,, আল্লাহ হাফেজ।

Leave a Comment