প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।

 

প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

 

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদের বইয়ের পাঠ্য বিষয় বস্তুর মধ্য অন্যতম ও প্রয়োজনীয় হলো প্রতিদান কবিতা। প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর নিচে কয়েকটি দেওয়া হলো। আশা করি সেগুলো তোমাদের কাজে লাগবে। নিচে বাছাই করা কিছু প্রয়োজনীয় এবং যে বিষয় থেকে বেশি প্রশ্ন করা হয় এটা থেকে সেগুলোর অংশ বিশেষ দেওয়া হলো।

 

প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল – ১

অনুজের হস্ত ধরিয়া নিকটে বসাইয়া হাসান বলিতে লাগিলেন, ভাই স্থির হও। আমি আমার বিষদাতাকে চিনি। … যাহা হউক ভাই, তাহার নাম আমি কখনােই মুখে আনিব না। তাহার প্রতি আমার রাগ, হিংসাদ্বেষ কিছুই নাই। ঈশ্বরের নামে শপথ করিয়া বলিতেছি, আমার বিষদাতার মুক্তির জন্য ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করিব।

ক. কবি কার কূল বাঁধেন?

খ. “কাঁটা পেয়ে তারে ফুল করি দান সারাটি জনমভর”- চরণটি ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের হাসানের কর্মকাণ্ডে ‘প্রতিদান’ কবিতার কবির কোন গুণাবলি প্রকাশ পেয়েছে?

ঘ. “উদ্দীপকের বিষদাতা প্রতিদান’ কবিতার নিষ্ঠুর মানুষদের প্রতিনিধি।”- মন্তব্যটির সপক্ষে মতামত দাও।

 

উত্তরঃ

ক উত্তরঃ যে ব্যক্তি কবির কূল ভেঙেছে কবি সেই ব্যক্তির কূল বাঁধেন।

খ উত্তরঃ আলােচ্য উক্তিটির মাধ্যমে কবির উদার হৃদয়ের পরিচয় পাওয়া যায় ।

কবি প্রশ্নোক্ত উক্তিটির মধ্য দিয়ে বলতে চেয়েছেন, সারা জীবন যারা কবিকে দুঃখ-যন্ত্রণা দিয়েছে তিনি সেসব ভুলে তাদের ভালােবাসা দান করেন। কবি মনে করেন এর মাধ্যমে পৃথিবী সুন্দর হবে। কষ্ট পেয়ে প্রতিশােধ নেওয়ার থেকে প্রতিদানে। ভালােবাসা দেওয়াই উত্তম। কবি এ কাজটিই করেছেন। তাই তিনি বলেছেন, কাটা পেয়ে তাদের ফুল দান করেন সারাটি জীবনভর।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকের হাসানের কর্মকাণ্ডে ‘প্রতিদান’ কবিতার কবির মানুষের প্রতি সহমর্মিতা দেখানাের গুণাবলি প্রকাশ পেয়েছে।

পৃথিবীর সব মানুষই একই চেতনার অধিকারী নয়। ভিন্ন চেতনার হওয়ায় অনেক সময় মানুষের আচরণ ও কাজে অন্য মানুষ কষ্ট পায় । কষ্ট পাওয়া মানুষ সেসব মানুষকে ক্ষমা করলে, তাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখালে সংসারের অশান্তি দূর হয়। উদ্দীপকে দেখা যায়, হাসান মৃত্যুশয্যায় উপনীত। তাঁকে বিষ প্রয়ােগ করা হয়েছে।

তিনি জানতে পেরেছেন কে তাঁর বিষদাতা। তা সত্ত্বেও তিনি বিষদাতার প্রতি ঘৃণার পরিবর্তে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। তিনি এও নিশ্চিত করেছেন যে, বিষদাতার প্রতি তার কোনাে রাগ বা হিংসাদ্বেষ নেই। তিনি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তিনি ঈশ্বরের নামে শপথ করে বলেছেন, বিষদাতার মুক্তির জন্য প্রার্থনা করবেন ঈশ্বরের কাছে।

প্রতিদান’ কবিতার কবিও তাঁর ওপর অত্যাচারকারী সবাইকে ক্ষমা করেছেন। প্রতিদানে তাদের প্রতি ভালােবাসা ও সহমর্মিতা দেখিয়েছেন। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের হাসানের কর্মকাণ্ডে ‘প্রতিদান’ কবিতার কবির মানুষের প্রতি সহমর্মিতা দেখানাের গুণাবলি প্রকাশ পেয়েছে।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের বিষদাতা প্রতিদান’ কবিতার নিষ্ঠুর মানুষদের প্রতিনিধি।” মন্তব্যটির যথার্থ ।

ভালাে ও মন্দ উভয় বৈশিষ্ট্যের মানুষই এ সংসারে বিদ্যমান। মন্দ মানুষ সব সময় অন্যের কষ্টের কারণ হয়। আর ভালাে মানুষ সহমর্মিতা, উদারতা, ক্ষমাশীলতা ও সুচেতনা অন্যের মধ্যে ছড়িয়ে দেন; অন্যের কল্যাণে নিবেদিত থাকেন।

See also  সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

উদ্দীপকের বিষদাতা হাসানকে বিষদান করে, তবুও হাসান তার প্রতি সহমর্মিতা দেখান। তাকে ক্ষমা করে দেন। এমনকি তার মুক্তির জন্যও ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এমন একজন উদার ও মহৎ মানুষ বিষদাতার মতাে নিষ্ঠুর মানুষের খারাপ আচরণের শিকার হন।

এমনই নিষ্ঠুর মানসিকতা আমরা প্রতিদান’ কবিতার মধ্যেও দেখতে পাই। সেখানে এক শ্রেণির মানুষের কথা বলা হয়েছে যারা কবির ঘর ভেঙেছে, কবির বুকে আঘাত করেছে, কবিকে দিয়েছে বিষে ভরা বাণ, নিষ্ঠুর বাক্যে কবিকে করেছে জর্জরিত।

উদ্দীপক ও প্রতিদান’ কবিতা উভয় জায়গায় নিষ্ঠুর ও অমানবিক মানুষের কথা ফুটে উঠেছে, যারা তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে অন্যকে কষ্ট দিয়েছে। অন্যায়ভাবে অন্যকে আঘাত করেছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের বিষদাতা প্রতিদান’ কবিতার নিষ্ঠুর মানুষদের যােগ্য প্রতিনিধি।

 

প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল – ২

হে সূর্য!
তুমি আমাদের উত্তাপ দিও
শুনেছি তুমি এক জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড
তােমার কাছে উত্তাপ পেয়ে পেয়ে।
একদিন হয়তাে আমরা প্রত্যেকেই
এক একটা জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ডে পরিণত হব!
তখন হয়তাে গরম কাপড়ে ঢেকে দিতে পারব রাস্তার ধারের ঐ উলঙ্গ ছেলেটাকে।।

ক. কে সুন্দর ও নিরাপদ পৃথিবী নির্মাণ করতে পারে?

খ. কবি কার বুক ভরিয়ে দিতে চেয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের প্রার্থীর চেতনা কোন দিক দিয়ে প্রতিদান’ কবিতার কবির চেতনাকে ধারণ করেছে?

ঘ. “উদ্দীপকটি আলােচ্য কবিতার খণ্ডাংশমাত্র।”- মন্তব্যটির পক্ষে-বিপক্ষে তােমার মতামত উপস্থাপন কর।

 

উত্তরঃ

ক উত্তরঃ ভালােবাসাপূর্ণ মানুষ সুন্দর ও নিরাপদ পৃথিবী নির্মাণ করতে পারে ।

খ উত্তরঃ যে কবির বুকে কবর বেঁধেছে কবি তার বুক রঙিন ফুলের সােহাগ জড়ানাে ফুল মাল ভরিয়ে দিতে চেয়েছেন।

আমাদের সমাজে পাষাণ হৃদয়ের মানুষের অভাব নেই। এরা সবসময় অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। এদের অত্যাচার ও নিষ্ঠুরতায় মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। কবি এমন মানুষদেরই স্নেহ-মমতা দিয়ে বুক ভরিয়ে দিতে চেয়েছেন। কবি মনে করেন, যারা তাঁর বুকে কবরের মতাে শূন্যতা সৃষ্টি করবে, কবি তাদের হৃদয় স্নেহ-ভালােবাসায় পূর্ণ করবেন । | সারকথা : সমাজের যে ব্যক্তি কবির বুক ভেঙে দিয়েছে কবি তার বুকই ভালােবাসায় ভরিয়ে দিতে চেয়েছেন।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকের প্রার্থীর চেতনা অন্যকে সাহায্য করার মানসিকতার দিক দিয়ে প্রতিদান’ কবিতার কবির চেতনাকে ধারণা করেছে।

একজন প্রকৃত মানুষের বৈশিষ্ট্য হলাে বিপদগ্রস্ত মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করা। কারণ মানুষের কল্যাণের মধ্যেই নিহিত থাকে মানবজীবনের সার্থকতা। আমাদের উচিত বিপন্ন মানুষকে সবসময় সাহায্য করা।

উদ্দীপকের কবিতাংশে একজন প্রার্থী সূর্যের কাছে উত্তাপ প্রার্থনা করেছে। তার মতে, সূর্যের কাছ থেকে উত্তাপ পেয়ে পেয়ে একদিন হয়তাে প্রত্যেকেই এক-একটি জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ডে পরিণত হবে। তখন প্রার্থী রাস্তার ধারের শীতার্ত উলঙ্গ ছেলেটিকে দিতে পারবে উত্তাপ। হয়তাে তাদের শরীর ঢেকে দিতে পারবে গরম কাপড়ে।

প্রার্থীর এই অন্যকে সাহায্য করার চেতনা প্রতিদান কবিতার কবির চেতনারই প্রতিরূপ। কারণ কবি বারবার নিজে কষ্ট পেলেও অন্যকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। যারা তার ঘর ভেঙেছে, তাকে কষ্ট দিয়েছে, তিনি তাদের জন্যই নিবেদিতপ্রাণ এবং তাদেরই বুকে আগলে রাখতে চেয়েছেন।

তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের প্রার্থীর চেতনা অন্যকে সাহায্য করার দিক দিয়ে প্রতিদান’ কবিতার কবির চেতনাকে ধারণ করেছে।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকটি আলােচ্য কবিতার খণ্ডাংশমাত্র।” – মন্তব্যটি যথার্থ। • মানুষকে সাহায্য করাই প্রকৃত মানুষের ধর্ম। যুগ যুগ ধরে মানুষ একে অন্যকে সাহায্য করে আসছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর।

See also  এস এস সি বাংলা ১ম পত্র সাজেশন ২০২২ । ( সকল বোর্ড ) ssc bangla 1st paper suggestion 2022

তাই আমাদের সবারই অন্যকে সাহায্য করার মতাে মানবিক গুণাবলি অর্জন করা উচিত। উদ্দীপকের কবিতাংশে একজন প্রার্থীর কথা বলা হয়েছে, যে সূর্যের কাছে উত্তাপ প্রত্যাশা করে। যাতে সে হয়ে উঠতে পারে একটি জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড ।

প্রার্থী মনে করে জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ডে পরিণত হলে হয়তাে গরম কাপড়ে ঢেকে দিতে পারবে রাস্তার ধারের ঐ উলঙ্গ ছেলেটিকে। প্রার্থীর এমন মানসিকতা আলােচ্য কবিতার কবির মানসিকতাকে ধারণ করে। কারণ কবিও নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে সমাজের মানুষকে বুকে আগলে রেখেছেন।

কিন্তু উদ্দীপকে প্রকাশিত এই বিষয়টি ছাড়াও আলােচ্য কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে কবির উদারতা, সহিষ্ণুতা ও ক্ষমাশীলতা যেগুলাে উদ্দীপকে ততটা বিস্তৃতভাবে প্রকাশিত হয়নি। উদ্দীপকে একজন মানবিক মানুষের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে।

অন্যদিকে প্রতিদান’ কবিতায় কবির মানবিকতার পাশাপাশি সমাজের নিষ্ঠুর মানুষের কথাও ফুটে উঠেছে, প্রকাশ পেয়েছে কবির অন্যান্য মহৎ গুণাবলিও যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি আলােচ্য কবিতাংশ খণ্ডাংশমাত্র ।

 

প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল – ৩

পরপীড়া পরিহার, পূর্ণ পরিতােষ। সদানন্দে পরিপূর্ণ স্বভাবের দোষ। নাহি চায় আপনার পরিবার সুখ। রাজ্যের কুশল কার্যে সদা হাস্যমুখ৷ কেবল পরের হিতে প্রেম লাভ যার মানুষ তারেই বলি, মানুষ কে আর?

ক. প্রতিদান’ কবিতায় কবি কার ঘর বাঁধেন?

খ. কবি কার কূল বাঁধেন? কেন বাঁধেন ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে ‘প্রতিদান’ কবিতার প্রতিফলিত দিক কোনটি?

ঘ. উদ্দীপকের কবির আকাঙ্ক্ষার মানুষই ‘প্রতিদান’ কবিতার কবি” মন্তব্যটি বিচার কর।

 

উত্তরঃ

ক উত্তরঃ যে কবির ঘর ভেঙেছে ‘প্রতিদান’ কবিতায় কবি তার ঘর বাঁধেন।।

খ উত্তরঃ অন্যের প্রতিহিংসার প্রতিদানে কবি ভালােবাসা দিতে চান বলেই যে কবির কূল ভাঙে কবি তার কূল বাঁধেন। প্রতিহিংসা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। আর ভালােবাসা মানুষকে গড়তে শেখায়। সমাজে বসবাসরত প্রতিহিংসাপরায়ণ মানুষ।

কবির কূল ভাঙেন, কবিকে আঘাত করেন। প্রতিদানে উদারচিত্তের কবি এসব মানুষকে ভালােবাসা দিয়ে তাদের কূল বাঁধেন। যাতে তারা সমাজে প্রতিহিংসা ছড়াতে না পারে। তাই অন্যের প্রতিহিংসার প্রতিদানে কবি ভালােবাসা দিতে চান যে তার কূল ভাঙে, ভালােবেসে তিনি তার কূল বেঁধে দেন।

সারকথা : কবি তার কূল বাঁধেন যে তার কূল ভাঙে। কারণ তিনি সমাজকে প্রতিহিংসার হাত থেকে রক্ষা করতে চান।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকে ‘প্রতিদান’ কবিতার প্রতিফলিত দিকটি হলাে মানুষের কল্যাণচিন্তা। | মানুষ মহৎ হয় তার মানবিক গুণাবলির মধ্য দিয়ে। অন্যের জন্য শুভ চিন্তা করা মানুষের একটি অন্যতম মানবিক গুণ। এই গুণের কারণেই সমাজ-সংসার শান্তিপূর্ণ থাকে। আমাদের সবার উচিত মানুষের কল্যাণচিন্তা করা।

উদ্দীপকের কবিতাংশে বলা হয়েছে নিজের পরিবারের সুখ না চেয়ে রাজ্যের ভালাে কাজে সদা হাসিমুখে থাকা উচিত। যে মানুষ অন্য মানুষের কল্যাণ চিন্তা করে সেই মানুষই প্রকৃত মানুষ। প্রতিদান’ কবিতায়ও এই দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।

কবি নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে সবসময় অন্যের কথা চিন্তা করেছেন। অন্যের সুখের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। যারাই তাঁকে আঘাত করেছে তাদেরই তিনি বুকে টেনে নিয়েছেন।

মূলত উদ্দীপক ও আলােচ্য কবিতায় অন্যের কল্যাণচিন্তা করে নিজের সুখ বিসর্জন দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। তাই আমরা বলতে পারি যে, উদ্দীপকে ‘প্রতিদান’ কবিতার প্রতিফলিত দিকটি হলাে মানুষের কল্যাণ কামনা করা।

সারকথা : উদ্দীপকের কবিতাংশে সেই মানুষকেই মানুষ বলা হয়েছে যে মানুষের কল্যাণ চিন্তা করে। প্রতিদান’ কবিতায়ও কবি মানবকল্যাণের কথা বলেছেন।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের কবির আকাঙ্ক্ষার মানুষই ‘প্রতিদান’ কবিতার কবি”- মন্তব্যটি যথার্থ। আমাদের সমাজে একশ্রেণির মানুষ আছে যারা সবসময় নিজ নিজ চিন্তায় মগ্ন থাকে। আর একশ্রেণির মানুষ আছে যারা অন্যের কল্যাণ কামনায় জীবন উৎসর্গ করেন। অন্যের কল্যাণচিন্তা করা ব্যক্তিই প্রকৃত মানুষ ।

See also  এসএসসি পদার্থ বিজ্ঞান সাজেশন ২০২৩

উদ্দীপকের কবিতাংশে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি পরপীড়া দূর করে সে পূর্ণ আনন্দ লাভ করে। এমন মানুষ নিজের পরিবারের সুখ চায় না। অন্যের সুখেই সে সুখী হয়। রাজ্যের সব কাজ সে হাসিমুখে করে। পরের কল্যাণ করার মধ্য দিয়েই সে প্রেম লাভ করে। কবি এ ধরনের মানুষকেই প্রকৃত মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

কবির আকাঙ্ক্ষার এমন মানুষই ‘প্রতিদান’ কবিতার কবি। কারণ প্রতিদান’ কবিতায় কবি নিজের সুখ-শান্তি বিসর্জন দিয়ে সবসময় অন্যকে আগলে রেখেছেন। কারও প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনােভাব পােষণ করেননি। সবাইকে ক্ষমা করে বুকে টেনে নিয়েছেন। তাদের বুক ভরা ভালােবাসা দিয়েছেন।

উদ্দীপকের কবিতাংশে কবি প্রকৃত মানুষ হিসেবে যেমন মানুষের কথা বলেছেন আলােচ্য কবিতার কবি তেমনই একজন মানুষ। কারণ তারা উভয়ই নিজ স্বার্থ ত্যাগ করে অন্যের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। তাই আমরা বলতে পারি যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা : একজন প্রকৃত মানুষের বৈশিষ্ট্য উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে। উদ্দীপকের কবি এমন মানুষকেই প্রকৃত মানুষ বলেছেন অন্যের জন্য যার প্রাণ কাঁদে। কবির আকাঙ্ক্ষিত এমন মানুষই ‘প্রতিদান’ কবিতার কবি।

প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

প্রতিদান কবিতার আরো সৃজনশীল

 

প্রিয় বন্ধুরা উপরে তোমাদের জন্য ৩ টি সৃজনশীল প্রশ্ন এবং উত্তর দেওয়া হয়েছে। আর সেই আলোকে নিচে আরো কয়েকটি সৃজনশীল দেওয়া হলো উত্তর ছাড়া। সেইগুলো তোমরা উপরের সৃজনশীল এবং পাঠ্য বইয়ের আলোকে সলভ করার চেষ্টা করবে।

 

আরো পড়ুনঃ সিরাজউদ্দৌলা নাটকের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

 

প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল – ৪

এক বুড়ি হযরত মুহম্মদ (স.) এর চলার পথে কাটা বিছিয়ে রাখতো এবং পথ চলতে নবির পায়ে কাটা ফুটলে আনন্দিত হতো । একদিন পথে কাটা না দেখে নবি – জী চিন্তায় পড়ে গেলেন এবং বুড়ির বাড়িতে গিয়ে দেখলেন বুড়ি অসুস্থ । নবি (স.) কে দেখে বুড়ি ভীত হলেন । তিনি বুড়িকে ক্ষমা করে দিলেন এবং সেবাযত্ন দিয়ে সুস্থ করে তুললেন।

ক. কবি কাকে বুকভরা গান দেন?
খ. কবিকে যে পর করেছে তাকে আপন করার জন্য কেঁদে বেড়ান কেন?
গ. উদ্দীপকের ভাবের সাথে ‘প্রতিদান’ কবিতার মূলভাবের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘প্রতিদান’ কবিতার ভাবার্থ ধারণ করলে একটি সুন্দর সমাজ গড়া সম্ভব’- বক্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

 

প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল – ৫

প্রতিবেশী দাসদাসী আত্মীয়-স্বজন ভালোবাসি
সবে কহ সুমিষ্ট বচন
দিও না কাহারে দুখ।
অন্যে দান করি সুখ,
নিজেরে মানো গো সুখী, বালক সুজন।

ক. জসীমউদদীন কী হিসেবে সমধিক পরিচিত?
খ. কবি কার ঘর বাঁধতে চেয়েছেন? কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের কোন উপদেশটি ‘প্রতিদান’ কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে?
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘প্রতিদান’ কবিতার আংশিক ভাব প্রকাশ করেছে।” মন্তব্যটির সত্যতা নিরূপণ কর।

 

শেষ কথা

 

তো প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্ট এ আপনারা জানলেন কয়েকটি প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর এবং এরই সাথে কিছু এক্সট্রা সৃজনশীল প্রশ্ন। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের কাছে অনেক টা ভালো লেগেছে।

ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমাদের। আর এরকম সব পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই ওয়েব সাইট টি তে। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।

 

Leave a Comment