হ্যালো প্রিয় ভিজিটর গণ, আশা করি সকলে অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে পড়াশোনা মনে রাখার সহজ ৫ টি উপায় এর বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।
সূচিপত্র
পড়াশোনা মনে রাখার সহজ উপায়
আমাদের মাঝে পড়াশোনা প্রায় সকলেই করি। কিন্তু পড়াশোনা মনে রাখা টা আমাদের সকলের জন্যই অনেকটা টাফ হয়ে যায়। আর যারা উচ্চ ক্লাসে পড়াশোনা করি তাদের তো আরো বেশি সমস্যা হয় পড়াশোনা মনে রাখা।
আমি নিজেও এবার ইন্টারে উঠলাম। ভাই, পড়া গুলো একদিক দিয়ে পড়ি অন্য দিক দিয়ে বের হয়ে যায়৷ তো এই বিষয়ে আমি স্যারকে বললে তিনি আমাকে ৫ টি বিষয় করতে বলেন পড়াশোনা করার সময়৷
আর আমি সেই কাজ গুলো করে সত্যিই অনেকটা সুফল পেয়েছি৷ এখন পড়াশোনা অনেক সহজ মনে হচ্ছে। আর সেগুলো অনেক সহজ ও মনে হচ্ছে। তো কী ছিলো সেই টিপস গুলো সেটা আপনাদের সাথে নিচে শেয়ার করবো।
১. পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো
স্যার আমাকে সবার আগে বলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে। আমি আসলে ফোনে অনেকটা আসক্ত হয়ে পড়েছিলাম। রাত প্রায় ২-৩ টা পর্যন্ত ফোন ইউজ করতাম। তবে স্যার এর এই পরামর্শ টা ফলো করতে প্রতিদিন প্রায় ১০ টা কিংবা ১০ঃ৩০ এর মধ্য ঘুমিয়ে পড়তাম। আর ভোর ৬ টায় উঠে নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করতাম।
এভাবে কয়েকদিন ফলো করে দেখলাম সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমি আগের তুলনায় অনেকটা ফ্রেস থাকতাম। আর বেশ ভালোই পড়াশোনা বুঝতেছিলাম। তো এই বিষয়টা কেন তা জানতে ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করে নিচের বলা কারণ গুলো পেলাম।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রেইন যেকোন ইনফরমেশন বা তথ্যকে মেমরি বা স্মৃতিতে পরিণত করে ঘুমানোর সময়। তাই পড়া মনে রাখার জন্য পড়ালেখার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোও জরুরি। সাধারণত একজন সুস্থ ব্যক্তির দিনে ৮ ঘন্টার মত ঘুমানো উচিত। এর থেকে কম ঘুমালে যেকোনো কিছু মনে রাখার ক্ষমতা কমে যায়।
২. যা পড়েছি তা অন্যকে শেখানো
পড়া মনে রাখার জন্য প্রাচীনকাল থেকেই এ পদ্ধতিটি বেশ জনপ্রিয়। নিজে যা পড়েছি বা জেনেছি তা অন্যকে শেখানোর মাধ্যমে মস্তিষ্কে আরো ভালোভাবে গেঁথে যায়। তাছাড়া অন্যকে শেখানোর ফলে নিজের দক্ষতা প্রকাশ পায় এবং পড়াটি ভালভাবে আয়ত্ত হয়েছে কিনা তাও বুঝা যায়।
৩. পড়ার জন্য সঠিক সময় নির্বাচন করা
অনেকেরই ধারণা সারাদিন-সারারাত পড়লেই পড়া বেশি মনে থাকে। এটা নিতান্তই ভুল ধারণা। কারণ সবসময় আমাদের ব্রেইন একইভাবে কাজ করতে পারে না। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বিকালের পর আমাদের ব্রেইনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই বিকালের পরে অর্থাৎ সন্ধ্যায় বা রাতে পড়া বেশি কার্যকর হয়।
আরো পড়ুনঃ যুম এপ এ প্রোফাইল পিকচার দেওয়ার নিয়ম
৪. কালারিং বা মার্কার পেন ব্যবহার করে দাগিয়ে পড়া
আমাদের মধ্যে অনেকেই মার্ক করে বা দাগিয়ে পড়ে। এটাও পড়া মনে রাখতে বেশ কার্যকর। মার্ক করার ফলে কোন শব্দ বা বাক্যের প্রতি আকর্ষণ ও আগ্রহ বেড়ে যায়। পাশাপাশি এর উপর ব্রেইনের ভিজ্যুয়ালিটি ইফেক্টও বেড়ে যায় যা পড়াকে মনে রাখতে সহায়তা করে।
৫. লিখে লিখে বা ছবি এঁকে পড়ার অভ্যাস করা
কোন জিনিস পড়ার সাথে সাথে লিখলে বা ছবি আঁকলে পড়ার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। কারন নিউরো সায়েন্সের মতে, কিছু লিখলে বা ছবি আঁকলে ব্রেইনের অধিকাংশ জায়গা উদ্দীপিত হয় এবং ছবি বা লেখাটিকে স্থায়ী মেমরিতে রূপান্তরিত করে ফেলে।
ফলে পড়াটি মস্তিষ্কতে দীর্ঘস্থায়ী হয়। সাধারণভাবেও বুঝা যায়, বইতে যেসব বিষয় ছবি দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয় তা-ই আমাদের বেশি মনে থাকে। পরীক্ষার সময়ও চোখের সামনে বইয়ের ছবিটিই ভেসে উঠে। তাই লিখে বা ছবি এঁকে পড়া অনেক কার্যকর।
ভাই আমি সত্যি বলছি এই নিয়ম গুলো ফলো করে আমি বেশ ভালো সুফল পেয়েছি। আপনারা যারা এই পড়াশোনা মনে না রাখার সমস্যায় ভুগছেন তারা এই রুলস গুলো ফলো করবেন আশা করি ভালো সুফল পাবেন।
তো ভিজিটর গণ আশা করি পোস্ট টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর এরকম পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই সাইট টি। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।