বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। কেমন আছেন প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা।  আশা করি ভালো আছেন সবাই।  আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।  আর ভালো আছি বলেই তো আপনাদের সামনে হাজির হলাম কমন একটি রচনা নিয়ে। আজকের রচনার লিখনের বিষয় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি আজকের রচনা লিখন।

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ভূমিকাঃ 

বঙ্গবন্ধু  হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি। তিনি ভাষা সৈনিক তিনি জাতির পিতা।বাঙ্গালি অধিকার ও স্বতন্ত্র মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ভাষা আন্দোলন, থেকে শুরু করে এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য পরিচালিত সকল আন্দোলনের তিনি ছিলেন প্রধান চালিকা শক্তি।
তার নেতৃত্ব উনিশো একাত্তর সনে আমরা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছি এবং দীর্ঘ নয় মাসের রক্ত ক্ষয়ী স্বশস্ত্র যুূ্দ্ধের  মাধ্যমে অর্জন করেছি স্বাধিন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।তিনি বজ্র কন্ঠের অধিকারী। তিনি সেই সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাপা মহান পুরুষ শেখ মুজিবুর রহমান।
এ জাতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর  অবদান ও আত্নত্যাগ চির কাল স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মঃ

বাংলাদেশের অবিসাংবাধিক নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ এক শুভক্ষনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গি পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর  পিতা মাতাঃ

শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা খাতুনের সন্তান  আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধুর  শিক্ষা জীবনঃ

বঙ্গবন্ধু ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন গোপালগঞ্জ মিশন হাইস্কুল থেকে।বি এ পাস করেন কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে।এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আইনশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন।

বঙ্গবন্ধুর  নেতৃত্বঃ

তিনি ছাত্র জীবন থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে গভীর ভাবে ভালোবাসতেন, ছাত্রজীবনে শে রে বাংলা একে ফজলুল হক, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী,হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, এবং সুবাস চন্দ্র বসুর সন্নিধ্য লাভ করেন ও রাজনৈতিক সংলগ্ন হয়ে উঠেন।
মাতৃভাষা  বাংলার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে গঠিত হয় রাষ্ট ভাষা সংগ্রাম পরিষদ।তৎকালিন যেসব ছাত্র ও তরুনের প্রচেষ্টায় এ পরিষদ গঠিত হয় তাদের মধ্যে বিশিষ্ট ছিলেন বঙ্গবন্ধু।
১৯৪৮ সালে ১১ মার্চ ভাষার দাবিতে ধর্মঘট ডাকা হলে শেখ মুজিবুর রহমান ও অলি আহাদ,কাজি গোলাম মাহমুদ সহ, অধিকাংশ ছাত্রনেতা গ্রেপ্তার হন। দীর্ঘকাল বঙ্গবন্ধু  বাঙ্গালিদের অধিকার আদায়ের জন্য  সংগ্রাম করেন।ফলে বার বার তাকে জেল খাটতে হয়।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ
১৯৬৬ সালে ৫ ই ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলের এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালির সব ধরনের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য ৬ দফা কর্মসূচি উপস্থাপন করেন।৬ দফা আন্দোলন কে দমন করবার জন্য পাকিস্তানি শাসকরা শেখমুজিবুর রহমান ও অন্যান্য  নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে  মামলা দায়ের করেন।

আরো পড়ুন – ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা

ঐতিহাসিক আগরতলা মামলায় পাকিস্তানি শাসকদের উদ্দেশ্য ছিল  শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট নেতৃ বৃন্দদের কে গোপন বিচারের মাধ্যনে ফাসি দেওয়া। এভাবে নেতৃ শূন্য করে আন্দোলন থামিয়ে দেওয়ায় ছিল তাদের লক্ষ।
১৯৬৯ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু করে ২৫ শে মার্চ পর্যন্ত সংগটিত গনঅভ্যুন্থানের জোয়ারে আইয়ূব খানের দ্বৈরাশাসন টিকে থাকতে পারেনি।
২২ শে ফেব্রুয়ারি আইয়ূব খান আগর তলা মামলা প্রত্যাহার করে।সব রাজবন্দিকে নিশঃর্তে মুক্তি দিতে বাধ্য হন।কারামুক্ত শেখ মুজিব কে ২৩ শে ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে বিশাল গন সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এসমাবেশে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু উপাদিতে ভূষিত করা হয়।
১৯৭০ সালে সাধারন নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামিলীগ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের শতকরা ৮০ ভাগ আসন বিজয়ী হন।
কিন্তু তাকে সরকার গঠন করতে দেওয়া হয় না। বাধ্য হয়ে তিনি পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন।২৫ শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর অতর্কিতে ঝাপিয়ে পড়ে ও ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গ্রেফতারের আগে ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেন। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।
মু্ক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামি জনগন।নয় মাস যুদ্ধের পর ত্রিশ লক্ষ প্রানের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় বাঙালির বিজয়।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রপতি।তিনি জাতিসংঘে বাংলায় প্রথম ভাষন দেন।এভাবে শুধু ভাঙালি জাতি নয় বাংলা ভাষার মর্যাদা কে তিনি বিশ্বের মানুষের কাছে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
.

বঙ্গবন্ধুর  লোক গমনঃ

১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট কতিপয় বিপথগামি সেনাসদস্যের আক্রমনে ও নিষ্ঠুর আঘাতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি,এ জাতির প্রানপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন।
টুঙ্গিপাড়ায় পারিবারিক গোরস্তানে তাকে সমাহিত করা হয়।যে মাটির সান্নিধ্যে যে প্রকৃতির পরিচর্যায় তিনি জন্মগ্রহন করেছিলেন তিনি বেড়ে উঠেছিলেনসে মাটির সান্নিধ্যে  সে প্রকৃতির শীতল স্নেহে, ও একান্ত স্পর্শে তিনি শেষ সয্যা গ্রহন করেছেন।

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশে রচনা উপসংহারঃ

জাতির মহান নেতা হতে হলে যে সমস্ত গুন প্রয়োজন বঙ্গবন্ধু তার সবই ছিল।তিনি ছিলেন সাহসি ও স্বাধীনতাপ্রিয়। সকল প্রকার নীপিড়ন – নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এবং অধিকার অর্জনে সংগ্রাম আপোসহীন।কোনো প্রকার ভিতী কিংবা দ্বিধা তাকে বিচলিত করেনি বাংলা ছিল তার দেশ বাংলা৷ ছিল তার ভাষা, এবং তিনি নিজেকে বলতেন আমি বাঙালি।কবির উপলব্ধি  যথার্থ, কোটি বাঙালি মনের কথা,
যতদিন রবে পদ্মা, যমুনা, গৌরী, মেঘনা বহমানতত দিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ১০০০ শব্দের 

সূচনাঃ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির কারিগর, অবিসাংবাধিত নেতা, অত্যন্ত সফল রাষ্ট নায়ক এবং শান্তি ও মানবতার অগ্রদূত। জনগনই ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনে অন্ত প্রান।
মানুষের দুঃখে তার মন কাদত।কখনো পদ- পদবি বা ক্ষমতাচ্যুত লোভ বঙ্গবন্ধুকে তার লক্ষ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।চারিত্রিক দৃঢ়তা সততা মানবিকতা এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।তার সমন্ধে আলোচনা কখনোই শেষ হবে না। তবে আমি বঙ্গবন্ধুর মানবিকতা ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা বিষয়ে কিছু টা আলোক পাত করতে চায়।

আপনারা পড়ছেন – বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ 

বঙ্গবন্ধুর  ব্যাক্তিগত একটি  নোট বুকে লিখা তার একটি উক্তি স্পষ্ট করে দেয় মানুষের প্রতি তার অফুরন্ত ভালোবাসা ও মানবতা। তিনি লিখেছেন একজন মানুষ হিসাবে আমি সমগ্র মানবজাতি নিয়েই ভাবি একজন বাঙালি হিসাবে যা কিছু বাঙালিদের সাথে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীর ভাবে ভাবায়।

বঙ্গবন্ধুর জন্মঃ

টুঙ্গিপারার ঐতিহ্যবাহি শেখ পরিবারে ১৯২০ সালে ১৭ মার্চ জন্ম গ্রহন করে এক সন্তান। যার নাম শেখ মুজিবুর রহমান। পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান। এবং মাতার নাম শেখ সাহারা খাতুন।শেখ মুজিব পিতা মাতার ছয় সন্তানের মধ্যে তৃতীয়,এবং প্রথম পুত্র সন্তান। বাবা, মা আদর করে তাকে খোকা নামে ডাকতেন বলে খোকা নামেই বাড়িতে ও গ্রামের আাশেপাশে সকলের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
তারা ৪ বোন দুই ভাই।বাড়িতেই তার লেখাপরার হাতে খড়ি হয়। নোয়াখালি নিবাসী পন্ডিত সাখাওয়াত উল্লাহ নামক গৃহ শিক্ষকের হাতে।খোকার শৈশব কাল টুঙ্গি পাড়াতেই কাটে।টুঙ্গিপাড়া গোপালগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। খোকার জন্মের সময় কিন্তু গোপালগঞ্জ জেলা ছিল না ছিল মহকুমা। এই মহকুমা তখন ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত ছিল। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরা এই ঐতিহাসিক টুঙ্গিপাড়া নামকরনের বিশাল এক ইতিহাস আছে।সনাম ধন্য শিশু সাহিত্যিক খালেক বিন জয়েন উদ্দিন  এর লেখা বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান বইটিতে শুরুতেই টুঙ্গিপাড়া নামকরনের সুন্দর একটি বর্ননা দিয়েছেন।
বিভিন্ন আন্দোলন এ বঙ্গবন্ধুর তাৎপর্যঃ১৯৫০ এর দশকে আমাদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ভাষ্যে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। বাংলাকে রাষ্ট ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি প্রথম জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের চাকাকে ঘুরিয়ে দেয়।৷
পাকিস্তান গঠনের কয়েক মাসের মধ্যে মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ যখন ঢাকায় এসে উর্দুকে রাষ্টভাষা করার ঘোষনা দিলেন।  তখন ই ছাত্ররা প্রতিবাদ করলেন। এই প্রতিবাদে শামিল হয়ে অনেক ছাত্রের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও কারাবরন করেন। এর পর ১৯৫২ সালে ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট ভাষার স্বীকৃতি দাবিতে আন্দোলন রত ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালানোর ঘটনা রাষ্ট ভাষা আন্দোলন ঢাকা থেকে সারা দেশে ছরিয়ে পরে ছিল।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ ১০০০ শব্দ
১৯৫৪ সালের পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ সরকারের পরাজয়ের প্রধান কারনই ছিল ভষা আন্দোলন। আমাদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ত্বরানিত করার দ্বিতীয় বিষয়টি হলো গনতন্ত্রের দাবি। পাকিস্তানে মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ বাঙালি হলে ও দেখা যাচ্ছিল রাষ্টীয় ক্ষমতা কুক্ষাগত করে রেখে ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক- বেসামরিক আমলাদের একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী। পাকিস্তানি শাসকদের নির্দেশে মুসলিম লীগ সরকার বাঙালিদের সব ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করে চলছিল।
আঞ্চলিক স্বায়ত্ত শাসনের দাবি ছিল আরেকটি বিষয়। যা বাঙালিকে এক হতে সহায়তা করেছিল।অসমাপ্ত আত্নজীবনিতে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন,, তিনি আশা করেছিলেন লাহোর প্রস্তাবে ভিত্তিতে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের দুটি মুসলিম প্রধান রাষ্ট গঠিত হবে।

১৯৭০ সালের নির্বাচনঃ

ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসনামলে ১৯৭০ সালে পাকিস্তানে প্রথম সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৭০ সালে অক্টোবরে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলে বন্যার কারনে ডিসেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে যায়। নির্বাচনে মোট ২৪ টি দল অংশ নেয় ৩০০ টি আসনে মোট ১ হাজার ৯৫৭ জন প্রর্থী অংশ গ্রহন করার জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দেন।।
এরপর কিছু প্রার্থী তাদের প্রাথীতা প্রত্যাহার করে নেন। মনোনয়ন পত্র বাছায় শেষে ১ হাজার ৫৭৯ জন প্রার্থী নিীবাচন প্রতিদ্বন্দিতা করেন। আওয়ামিলীগ ১৭০ আসনে প্রার্থী দেয়।   এর মধ্য ১৬২ টি আসন পূর্ব পাকিস্তানে ও অবশিষ্ট গুলো পশ্চিম পাকিস্তানে। জামায়াতে ইসলামি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রর্থী দেয়। তাদের প্রার্থীর সংখ্যা ১৫১। ন্যাশনাল আ্যাসেম্বলিতে আওয়ামিলীগ ১৬০ টি আসন জয় লাভ করে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। সাধারন নির্বাচনের সঙ্গে প্রাদেশিক নির্বাচন ও অনুষ্ঠিত য় এ নির্বাচনে আওয়ামিলীগ পূর্বপাকিস্তান আ্যাসেম্বলির ৩০০ টি আসনের মধ্য২৮৮ টিতে জয় লাভ করেন।
পাকিস্তান পিপলস পার্টপশ্চমপাকিস্তানে ১৩৮ টি আসনে ৮১ টিতে জয় লাভ করে। রক্ষনশীল নির্বাচনে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি।

১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষন ঃ

বাঙালির ইতিহাসে অনেকগুলো দিন আছে যা আমাদের মনে রাখতে হবে। ১৯৭১ সালে ৭ ই মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমানতার জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষনটি দিয়েছিলেন।
১০ লক্ষাধিক লোকের সামনে পাকিস্তানি দস্যুদের কামান বন্দুক মেশিন গানের হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐ দিনবজ্র কন্ঠে ঘোষনা করেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।। সেই আন্দোলন মোখর পরিস্থিতে ঘনিয়ে এলো৭ ই মার্চ।
।সবার দৃষ্টি ৭ ই মার্চের দিকে ৭ ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে কি বলবেন শেখ  ভাবিয়ে তুলল পাকিস্তানি সামরিক চক্রকে ও কারন তারা বুঝে গেছে বাংলাদেশের মানুষের উপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রন নেই। দেশ পরিচালিত হচ্ছে বিরোধী দলিয় নেতা শেখ মুজিবুরের কথায়। এ অবস্থায় ৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু যদি স্বাধীনতা ঘোষনা করে বসেন চিন্তিত পাকিস্তানি সামরিক চক্র কৌশলের।

পরলোক গমনঃ

১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ১৫ আগস্ট প্রত্যূষে এক দল সেনা কর্মকর্তা ট্যাঙ্ক দিয়ে রাষ্টপতির ধানমন্ডিস্ত বাসভবন ঘিরে ফেলে এবং শেখ মুজিবুর রহমান ওতার পরিবার ও ব্যাক্তিগত কর্মচারীদের হত্যাকরে।
শেখ মুজিবের শরীরে মোট ১৮ টি বুলেটের দাগ দেখতে পাওয়া যায়।তন্মধ্যে একটি বুলেট তার ডান হাতের তর্জনী বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
শেখমুজিব ও তার পরিবারের মরদেহ দাফন করতে সেনা দপ্তর থেকে ঢাকা সেনা নিবাসে তৎকালিন স্টেশন কমান্ডারলে কর্নেল এম এ হামিদ কে দায়িত্ব দেওয়া হয়।  তিনি গিয়ে আবিষ্কার করেন নিদিষ্ট কফিনে শেখমুজিবের মরদেহ মনে করে তার ভাই শেখ নাসেরের মরদেহ রাখা হয়েছে। দায়িত্বরত সুবেধার এর ব্যাখ্যা দেন যে দুই ভাই দেখতে একরকম হওয়ায় ও রাতের অন্ধকারের কারনে মরদেহ অদল বদল হয়ে গিয়েছিল। পরের দিন ১৬ আগস্ট টু্ঙ্গি পারায় নিজ এলাকায় সপরিবারের সাথে দাফন করা হয়

উপসংহারঃ

সব ভেদাভেদ ভুলদেশের সব ধরনের মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। দেশের মানুষের চেয়ে আপন আর কিছু ছিল না তার কাছে।  বঙ্গবন্ধু কে কাছ থেকে দেখবার, জানবার সুযোগ পাওয়া বহু ব্যাক্তি৷আজ ও আছেন। তাদের আছে শেখ মুজিব কে ঘিরে অনেক স্মৃতি। সেসব সৃতি থেকে অনেক অজানা থা জানা যায়। পাওয়া যায় একজন দৃঢ়চেতা  ও মানবিক শেখমুজিব কে।

শেষকথাঃ

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা এই ছিলো বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন। কেমন লাগলো আমাদের তা কিন্তু কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

আপনারা কি ধরনের লেখা চান সেটা আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা চেষ্টা করবো আপনাদের চাহিদা মাফিক লেখা প্রকাশ করার ইনশাআল্লাহ।।

Leave a Comment