বাথরুমে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার দোয়া – টয়লেটে যাওয়ার নিয়ম

বাথরুমে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার দোয়া - টয়লেটে যাওয়ার নিয়ম

আস-সালামু আলাইকুম! আশা করি আল্লাহ এর অশেষ রহমতে আপনি ভালো আছেন! আজকে আমরা আলোচনা করবো, বাথরুমে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার দোয়া এবং টয়লেটে যাওয়ার নিয়ম বিষয়ে।

আমরা যখন বাথরুমে প্রবেশ করি, তখন আমাদের দুষ্ট জিনদ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে, কারন এই নোংরা টয়লেট হলো বদ জ্বিনদের আবাসস্থল।
কোনো ব্যাক্তি যখন টয়লেটে প্রবেশের দোয়া না পড়ে বাথরুমে যায়, তখন ওই সকল খারাপ জ্বিনগুলো মানুষের গোপন অঙ্গ নিয়ে খেলা করতে থাকে।
তাই বাথরুমে প্রবেশ করার সময়, আল্লাহ এর কাছে সাহায্য চেয়ে অর্থাৎ দোয়া পাঠ করে টয়লেটে যাবেন তখন ওই বদ জ্বিনগুলো আপনাদের দেখতে পারবেনা। এর কারনে আপনি জ্বিনদের কাছথেকে আপনি পুরো নিরাপদ থাকলেন।

বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়াঃ

বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া
বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়াঃ ডাউনলোড করে রাখতে পারবেন
بِسْمِ اللهِ اَللهُمَّ إِنّيْ أَعًوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَ الْخَبَائِثِ
উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবায়িছ।’
অর্থ : ‘আল্লাহর নামে (শুরু করছি); হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে পুরুষ ও স্ত্রী শয়তানের অনিষ্ট তথা ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি, মুসলিম, ইবনে মাজাহ)

বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়াঃ

বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়া
বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়াঃ ডাউনলোড করে রাখতে পারবেন।
– ﻏُﻔْﺮَﺍﻧَﻚَ اَللَّهُمَّ
উচ্চারণ : ‘গোফরানাকা আল্লাহুম্মা।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার কাছে ক্ষমা চাই।’ (আবু দাউদ)
টয়লেটে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় এই দোয়া গুলো পড়লে দুষ্ট ও বদ জ্বিণের আক্রমন থেকে বেঁচে যাওয়া যায়।
এই কারণেই হযরত মূহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতদের বলেছেন, বাথরুমে প্রবেশের আগে ও সব সময় আল্লাহ কাছে খারাপ জিনের আক্রমন থেকে রক্ষা চাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। নবী নিজেও এর উপর আমল করতেন।

টয়লেটে যাওয়ার নিয়মঃ

টয়লেটে যার আগে করনীয় আদব মেনে চলা  অবশ্যই ভালো।
  1. বাম পা দিয়ে প্রবেশ করা
  2. উপরের দুআ পড়া।
  3. পরিষ্কার হওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ খেয়াল করা।
  4. পানি ব্যবহার এর পূর্বে টিসু বা পবিত্র মাটির ঢিলা (কুলুখ) ব্যবহার করা। হাড় বা শুকনো গোবর দ্বারা কুলুখ করা যাবেনা।কাপড়ের টুকরো বা টিসু পেপার দিয়ে কুলুখ করা যায়
  5. কুলুখ ব্যবহার করার পর পানি ব্যবহার করবে। কারন পানির মাধ্যমে ভালো পরিষ্কার করা যায়।
  6. পুরোপুরি কাপড় উঠিয়ে না বসা। সতর ঠিক রাখার চেস্টা করা।
  7. টয়লেটে মাথা ঢেকে রাখা। (বায়হাকি শরীফ) । টুপি রুমাল বা অণ্য কাপড় দ্বারা মাথা ঢেকে রাখা।
  8. কিবলার দিকে মুখ বা পিঠ করে না বসা। (বোখারী)
  9. টয়লেটে খালি পায়ে না যাওয়া।
  10. প্রসাব পায়খানা দাড়িয়ে না করা।
  11. বাম হাত দিয়ে কুলুখ বা পানি ব্যবহার করা। লজ্জাস্হান ডান হাতে স্পর্শ করবেনা।
See also  নরমাল ডেলিভারির আমল | নরমাল ডেলিভারির জন্য দোয়া
 আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন, এখানে প্রকাশিত কোনো লেখায় যদি ভুল পরিলক্ষিত হয় তবে ইসলাম প্রচারের স্বার্থে কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিন, আমরা অবশ্যই তা ঠিক করবো।ইনশাআল্লাহ!

Leave a Comment