হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে বিড়াল প্রবন্ধ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।
সূচিপত্র
বিড়াল প্রবন্ধের লেখক
বিড়াল প্রবন্ধের লেখক হলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি এই প্রবন্ধের মাধ্যমে ধনী – গরিব, শোষক – শাষিত এর সংগ্রামের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।
বিড়াল প্রবন্ধ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
প্রিয় একাদশ – দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, তোমাদের বইয়ের পাঠ্য বিষয় বস্তুর মধ্য অন্যতম ও প্রয়োজনীয় প্রবন্ধ হলো “বিড়াল”। বিড়াল প্রবন্ধ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর নিচে কয়েকটি দেওয়া হলো। আশা করি সেগুলো তোমাদের কাজে লাগবে। নিচে বাছাই করা কিছু প্রয়োজনীয় এবং যে বিষয় থেকে বেশি প্রশ্ন করা হয় এটা থেকে সেগুলোর অংশ বিশেষ দেওয়া হলো।
বিড়াল প্রবন্ধ সৃজনশীল – ১
দরিদ্র বাবা-মা তাঁদের প্রথম সন্তানের নাম রাখেন সাজাহান। তাঁদের স্বপ্ন, সাজাহান অনেক বড় হবে। কিন্তু আর্থিক অভাব ও শিক্ষা না থাকায় সাজাহান কিশোর বয়সেই কাজে নেমে পড়ে। পাশের গ্রামের কৃপণ ও ধনী আলম সাহেবের বাড়িতে সাজাহান কাজের লোক হিসেবে নিযুক্ত হয়। প্রতিদিন ঘরে ও বাইরে সমান পরিশ্রম করে সাজাহান। কিন্তু পরিশ্রম অনুযায়ী তার ভাগ্যে খাবার জোটে না। একদিন বাজারের টাকা বাঁচিয়ে সাজাহান লাড্ডু কিনে খায়। কিন্তু টাকার হিসেব দিতে না পারায় আলম সাহেব তাকে নির্দয়ভাবে মারেন। মনে ক্ষোভ নিয়েও সাজাহান সব সহ্য করে, কারণ সে জানে, সে গরিব-অসহায়।
ক. বিড়াল কমলাকান্তকে কতদিন উপোস করতে বলেছে?
খ. চোর দোষী বটে, কিন্তু কৃপণ ধনী তদপেক্ষা শতগুণ দোষী এ কথার তাৎপর্য কী?
গ. উদ্দীপকের সাজাহান ও বিড়াল’ রচনার বিড়াল একই বিড়ম্বনার অংশীদার— মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘বিড়াল’ রচনার ভাবসত্যের যেন প্রতীকী রূপ— এ মত কতটা গ্রহণযোগ্য? মূল্যায়ন করো।
উত্তরঃ
ক. বিড়াল কমলাকান্তকে তিনদিন উপোস করতে বলেছে।
খ. প্রয়োজনাতীত ধন থাকা সত্ত্বেও কৃপণ ধনী ক্ষুধার্তের জন্য সম্পদ বিতরণ করে না বলেই লোকে চুরি করে।
‘বিড়াল’ রচনায় বিড়ালের সাথে কমলাকান্তের কাল্পনিক কথোপকথনে চোরের চুরি করার কারণ বর্ণিত হয়েছে। বলা হয়েছে, চোর চুরি করে বলে সে দোষী। অথচ ধনীরা প্রয়োজনাতীত ধন থাকা সত্ত্বেও তারা ক্ষুধার্তের প্রতি মুখ তুলে চায় না । তাই চোর চুরি করতে বাধ্য হয়। অতএব, চোরের চেয়েও কৃপণ ধনী বেশি অপরাধী।
গ. উদ্দীপকের সাজাহান ও ‘বিড়াল’ রচনার বিড়ালের মাঝে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।
‘বিড়াল’ রচনায় লেখক কল্পিত বিড়ালের ভাষ্যে বলেছেন, দরিদ্রের চুরি করার কারণ হচ্ছে ধনীর কৃপণতা। সমাজে গরিবেরা বেঁচে থাকার জন্য সামান্য খাবার পর্যন্ত পায় না। ক্ষুধা নিবারণের জন্য দরিদ্ররা চুরি করলে ধনীরা লাঠি হাতে তাদের মারতে উদ্যত হয়। এই রীতি অনুসরণ করেই কমলাকান্ত বিড়ালকে দুধ চুরির দায়ে লাঠি হাতে মারতে এগিয়ে যায়।
উদ্দীপকে অধিকার বঞ্চিত কিশোর সাজাহানের কথা উঠে এসেছে। আর্থিক দুরবস্থার কারণে সে পাশের গ্রামের ধনী অথচ কৃপণ আলম সাহেবের বাড়িতে কাজ করে। সারাদিন কঠিন পরিশ্রম করলেও সাজাহানের ভাগ্যে পর্যাপ্ত খাবার জোটে না। বরং বাজারের টাকা বাঁচিয়ে একদিন লাড্ডু কিনে খেলে আলম সাহেব তাকে নির্দয়ভাবে মারধর করেন। ‘বিড়াল’ রচনায় বর্ণিত হয়েছে, ধনী ব্যক্তির স্বভাবের কারণেই দরিদ্রেরা চুরি করে। কারণ, কৃপণ ধনী দরিদ্রের মাঝে সম্পদ বিতরণ না করে নিজেকে আরও ধনী করতে ব্যস্ত থাকে। বাঁচার তাগিদে দরিদ্র চুরি করলে ধনীরা তাদের শাস্তি দিতে দ্বিধা করে না। সুতরাং বলতে পারি, বঞ্চনা ও শোষণের দিক থেকে উদ্দীপকের সাজাহান ও ‘বিড়াল’ রচনার বিড়াল একই বিড়ম্বনার অংশীদার এ মন্তব্যটি যথার্থ।
ঘ. ‘বিড়াল’ রচনায় শোষক-শোষিত, ধনী-দরিদ্র, সাধু-চোরের অধিকার বিষয়ক সংগ্রামের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে।
‘বিড়াল’ রচনায় ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য, দরিদ্রের বঞ্চনা, সমাজের অরাজকতায় ধনীর ভূমিকা ইত্যাদি নানা বিষয় বিড়ালের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এখানে বিড়ালের সঙ্গে কমলাকান্তের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে লেখক মূলত সামাজিক নানা অসঙ্গতির বিষয়ে তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। উদ্দীপকেও ধরনের শোষণ-বঞ্চনার চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।
উদ্দীপকে সাজাহা নামের এক কিশোরের বঞ্চনার দিক প্রতিফলিত হয়েছে। সাজাহানের আর্থিক সঙ্গতি ও উপযুক্ত শিক্ষা না থাকায় পাশের গ্রামের আলম সাহেবের বাসায় কাজ নেয়। সাজাহান সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করলেও কৃপণ আলম সাহেব তাকে পর্যাপ্ত খাবার দিতেন না। একদিন বাজারের টাকা বাঁচিয়ে লাড্ডু কিনে খেলে আলম সাহেব তাকে নির্দয়ভাবে মারধর করেন। উদ্দীপকের আলম সাহেবের এ মানসিকতা ও আচরণ ‘বিড়াল’ রচনার কৃপণ-ধনীদের মাঝেও লক্ষণীয়।
‘বিড়াল’ রচনায় বর্ণিত হয়েছে দরিদ্রের চুরি করার কারণ হচ্ছে ধনীর কৃপণতা। এ সমাজে দরিদ্রকে বঞ্চিত করে ধনীরা সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে, অথচ গরিবেরা থাকে অভুক্ত। লেখক একটি প্রতীকী বিড়ালের মাধ্যমে সমাজের এসব অসঙ্গতিকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন। সেইসঙ্গে যুক্তিনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করেছেন অধিকার বিষয়ক সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তা। ধনীরা সম্পদের সুষম বণ্টন করলে সমাজে এত বৈষম্য তৈরি হতো না। উদ্দীপকেও সম্পদের অসম বণ্টন ও দরিদ্রের প্রতি ধনীর অত্যাচারের দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়েছে। সমাজের এ বাস্তবতায় সাজাহানের মতো দরিদ্র ছেলে বাজারের টাকা বাঁচিয়ে সামান্য লাড্ডু কিনে খাওয়ার অপরাধে আলম সাহেবের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়। অতএব বলতে পারি, উদ্দীপকটি ‘বিড়াল’ রচনার ভাবসত্যেরই যেন প্রতীকী রূপ— এ মতটি পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য।
বিড়াল প্রবন্ধ সৃজনশীল – ২
শামসুদদীন আবুল কালামের ‘মৌসুম’ গল্পটি রচিত হয়েছে তৎকালীন জমিদারদের অধীন জনজীবনকে কেন্দ্র করে। সে সময় জমিদারদের শোষণের বিরুদ্ধে একদল সমাজরূপান্তর ও স্বাধীনতাকামীদের | প্রচেষ্টায় কৃষকরা আন্দোলন শুরু করে। গল্পে দেখা যায়, দীর্ঘ খরার পর বৃষ্টির আগমনে কৃষকরা ভালো ফসল পাওয়ার আনন্দে বিভোর হয়। কৃষকদের মনের এই আনন্দ জমিদারের পছন্দ হয় না। চাল মজুদ করে দাম বাড়িয়ে কৃষকদের বেকায়দায় ফেলে দেয় জমিদার।
ক. ‘পান’ কী?
খ. একটি পতিত আত্মাকে অন্ধকার হইতে আলোকে আনিয়াছি, ভাবিয়া কমলাকান্তের বড়ই আনন্দ হইল’- কেন?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত কৃষকদের অবস্থার সাথে ‘বিড়াল’ রচনার বিড়ালের সাদৃশ্য আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের সাথে ‘বিড়াল’ রচনার গুণগত পার্থক্যগুলো তোমার যুক্তিসহ উপস্থাপন করো।
উত্তরঃ
ক. ‘লাল’ শব্দের অর্থ— লেজ।
খ. কমলাকান্ত নীতিকথার মাধ্যমে বিড়ালকে চুরি করা থেকে বিরত রাখতে পেরেছে ভেবে আনন্দিত হয়।
‘পতিত আত্মা’ বলতে এখানে নৈতিক অধঃপতনকে বোঝানো হয়েছে। দুধ চুরির দায়ে কমলাকান্ত বিড়ালকে মারতে উদ্যত হলে বিড়াল তার প্রতিবাদ করে। বিড়ালের মতে, পৃথিবীর খাদ্যদ্রব্যে সকলেরই সমান অধিকার রয়েছে। তাই ক্ষুধার্ত হয়ে কেউ চুরি করলে তার জন্য কৃপণ ধনীকেই দায়ী মনে করে সে। বিড়ালের যুক্তির কাছে পরাজিত কমলাকান্ত নীতিবাক্যের আশ্রয় নেয়। আর এর মধ্য দিয়ে বিড়ালের মনোভাব পরিবর্তন করতে পেরেছে ভেবে পরিতৃপ্তি লাভ করে কমলাকান্ত।
গ. কারো স্থলিত হবার পেছনে যে প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা বহুলাংশে দায়ী। তেমনি একটি ধারণার যুক্তিনিষ্ঠ উপস্থাপনা ঘটেছে বিড়াল রচনায়।
“বিড়াল’ রচনায় বিড়ালের ভাষ্যে দরিদ্রের চুরি করার কারণ হচ্ছে ধনীর কৃপণতা। দরিদ্রকে বঞ্চিত করে ধনীরা সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে আর গরিবরা বেঁচে থাকার জন্য সামান্য খাবার পর্যন্ত পায় না। এ রচনায় বিড়াল চরিত্রটি এসেছে শোষিত, প্রতিবাদী ও শ্রমজীবী শ্রেণির প্রতিনিধি হিসেবে। সে অধিকার আদায়ে সচেষ্ট, যেমনটি উদ্দীপকের শোষিত কৃষকদের মাঝে লক্ষ করা যায়।
উদ্দীপকে শামসুদদীন আবুল কালামের ‘মৌসুম’ গল্পে তৎকালীন জমিদারদের শোষণ, নির্যাতন ও নিপীড়নের চিত্র ফুটে উঠেছে। পাশাপাশি বর্ণিত হয়েছে এ সকল অত্যাচারের বিরুদ্ধে শ্রমজীবী মানুষের প্রতিবাদের চিত্র। সে সময় অত্যাচারী জমিদারের শোষণের বিরুদ্ধে একদল সমাজরূপান্তর ও স্বাধীনতাকামীদের প্রচেষ্টায় কৃষকরা আন্দোলন শুরু করে। তেমনি ‘বিড়াল’ রচনায় বিড়ালের কণ্ঠে পৃথিবীর সকল বঞ্চিত, নিষ্পেষিত, দলিত শ্রেণির ক্ষোভ-মর্মবেদনা- প্রতিবাদ উচ্চারিত হয়েছে। বিড়ালের মতে, পৃথিবীর খাদ্যদ্রব্যে সকলেরই অধিকার রয়েছে। তাই সে মনে করে ক্ষুধার্ত হয়ে কেউ চুরি করলে তার জন্য কৃপণ ধনীই দায়ী। অর্থাৎ, প্রতিবাদী মানসিকতার দিক দিয়ে উদ্দীপকের কৃষকদের সাথে বিড়াল চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. আপাত অপরাধীর অপরাধ প্রবণতার পেছনে যে সমাজ ব্যবস্থার অনস্বীকার্য ভূমিকা রয়েছে তেমনি বক্তব্যের অবতারণা ঘটেছে বিড়াল রচনায়।
“বিড়াল’ রচনায় ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য, দরিদ্রের রগুনা, সমাজের অরাজকতায় ধনীর ভূমিকা ইত্যাদি নানা বিষয় বিড়ালের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এখানে বিড়ালের সঙ্গে কমলাকান্তের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে লেখক মূলত সামাজিক নানা অসঙ্গতির বিষয়ে তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। কিন্তু উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে এর আংশিক দিক মাত্র।
উদ্দীপকে শামসুদদীন আবুল কালাম তাঁর ‘মৌসুম’ গল্পে তৎকালীন জমিদার শ্রেণির নির্মমতার চিত্র তুলে ধরেছেন। এখানে দেখা যাচ্ছে, বৃষ্টির আগমনে ভালো ফসল পাওয়ার আশায় কৃষকদের আনন্দ প্রকাশ করতে। কেননা ভালো ফসল হলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে তারা দুবেলা পেটপুরে খেতে পারবে। কিন্তু অত্যাচারী জমিদার গরিবের এ সামান্য চাওয়াকে ভালো চোখে দেখেননি তিনি কৃষকদের বেকায়দায় ফেলতে চাল মজুদ করে দাম বাড়িয়ে দেন। এতে সঙ্গত কারণেই গরিবদের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। কিন্তু “বিড়াল’ রচনায় এই বিষয়টিই পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা।
‘বিড়াল’ রচনায় বিড়ালের ভাষ্যে দরিদ্রের চুরি করার কারণ হচ্ছে ধনীর কৃপণতা। সে মনে করে, দরিদ্রকে বঞ্চিত করে ধনীরা সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে আর গরিবরা বেঁচে থাকার জন্য সামান্য খাবার পর্যন্ত পায় না। লেখক একটা বিড়ালের মাধ্যমে শোষক-শোষিত, ধনী-দরিদ্র, সাধু-চোরের অধিকার বিষয়ক সংগ্রামের কথা শ্লেষাত্মক ও যুক্তিনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করেছেন। এ দিকটি উদ্দীপকের বক্তব্যের চেয়ে অনেক বেশি ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করেছে। সুতরাং বক্তব্যের যুক্তিনিষ্ঠ আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায় উদ্দীপকের সাথে “বিড়াল’ রচনার যথেষ্ট গুণগত পার্থক্য বিদ্যমান।
বিড়াল প্রবন্ধ সৃজনশীল – ৩
চণ্ডিগড় শহরের উপকণ্ঠে বাড়ি ভাড়া নেয় সুরেশ ও কল্যাণী ব্যানার্জী। তাদের এক সন্তান শান্ত। স্বামী-স্ত্রী চাকুরিজীবী হওয়ায় শান্তকে দেখাশোনার জন্য গ্রাম থেকে আনা হয় আট বছর বয়সী দরিদ্র অনিতাকে। সারাদিনের খাটুনিতে অনিতার শ্রান্ত শরীরে ঘুম চলে আসে সন্ধ্যারাতে। কল্যাণীর ধারণা অনিতার খাবারের পরিমাণ আরও কমালে ওর ঘুম আসবে না। তাই অনিতার খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দেয় কল্যাণী। কম খেতে খেতে অনিতা শীর্ণকায় হয়ে পড়ে। শান্তর উচ্ছিষ্ট সে চুরি করে খায়। এটা জানতে পেরে কল্যাণী অনিতার উপর নির্যাতন চালায়, তওবা করায় এবং উপদেশ দেয় যে চুরি করে খাওয়া পাপ। ফ্রিজে ভর্তি করা খাবার, শান্ত খাওয়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়ায় আর অনিতা শান্তর উচ্ছিষ্টের দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
ক. কাকে ইতঃপূর্বে যথোচিত পুরস্কার দেওয়া গিয়েছে বলে কমলাকান্ত মনে করল?
খ. সকল দুশ্চিন্তা পরিত্যাগ করিয়া ধর্মাচরণে মন দাও’- কে, কেন বলেছিল?
গ. উদ্দীপকের অনিতা ‘বিড়াল’ প্রবন্ধের কোন শ্রেণিকে স্মরণ করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের ভাবার্থ ‘বিড়াল’ প্রবন্ধের আলোকে মূল্যায়ন করো।
উত্তরঃ
ক. ডিউক মহাশয়কে ইতঃপূর্বে যথোচিত পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বলে কমলাকান্ত মনে করল।
খ. বিড়ালের যুক্তিগ্রাহ্য কথায় পর্যুদস্ত হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য কমলাকান্ত প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছিল।
কমলাকান্তের জন্য রাখা দুধটুকু বিড়াল খেয়ে ফেলায় সে তাকে মারতে উদ্যত হয়। তখন বিড়াল তার চোর হওয়ার কারণ হিসেবে কৃপণ ধনী ব্যক্তিদের ও সাধারণ মানুষের নির্দয়তাকে দায়ী করে। বিড়ালের মুখে এমন যুক্তিগ্রাহ্য কথা শুনে সে পর্যুদস্ত হয়। কিন্তু তা বিড়ালকে বুঝতে না দিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য কমলাকান্ত উপদেশসূচক প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছিল।
গ. উদ্দীপকের অনিতা বিড়াল’ প্রবন্ধের বিড়াল চরিত্রের নেপথ্যে থাকা বঞ্চিত, নিষ্পেষিত শ্রেণির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
‘বিড়াল’ প্রবন্ধে লেখক বঞ্চিত ও দলিতের ক্ষোভ, প্রতিবাদ ও মর্মবেদনাকে ফুটিয়ে তুলেছেন। বিড়ালের মুখ দিয়ে শোষক-শোষিত, ধনী-দরিদ্রের অধিকার বিষয়ক সংগ্রামের কথা বলেছেন। বিড়ালটি হয়ে উঠেছে সকল উপেক্ষিত অধিকার বঞ্চিত মানুষের প্রতিনিধি।
উদ্দীপকে আট বছর বয়সী অনিতাকে ঠিকমতো খেতে দেয় না গৃহকর্ত্রী কল্যাণী। ক্ষুধার জ্বালায় একপর্যায়ে চুরি করে খেতে শুরু করে অনিতা। তখন কল্যাণী তার উপর নির্যাতন চালায় ও এই বলে উপদেশ দেয় যে— চুরি করা পাপ। কল্যাণীর ছেলে শান্ত খেতেই চায় না। আর অনিতা শান্তর উচ্ছিষ্ট খাওয়ার জন্য লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। অন্যদিকে ‘বিড়াল’ প্রবন্ধটিতে বিড়ালটি ক্ষুধার জ্বালায় কমলাকান্তের জন্য রাখা দুধ খেয়ে ফেলে। মানুষ মাছের কাঁটা, পাতের ভাত ফেলে দিলেও বিড়ালকে দেয় না। কিন্তু সমাজের শিরোমণিদের ক্ষেত্রে তাঁরা খেতে না চাইলেও অপরিমিত খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়। বিড়ালের এ অভিযোগের মধ্য দিয়ে সকল দরিদ্র, ক্ষুধার্ত মানুষের প্রতি সমাজের উঁচু তলায় থাকা মানুষের আচরণের নগ্ন দিক ফুটে ওঠে। উদ্দীপকের অনিতা ও ‘বিড়াল’ প্রবন্ধের বিড়াল দুজনই শোষিত শ্রেণির কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। মা উদ্দীপকের মধ্যে “বিড়াল’ প্রবন্ধের মূলভাবটিই ফুটে উঠেছে।
ঘ. “বিড়াল’ প্রবন্ধে বঞ্চিত শ্রেণির মর্মবেদনা প্রকাশ পেয়েছে। একইসঙ্গে এখানে ফুটে উঠেছে ধনী ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের নির্দয়তার দিকটিও।
উদ্দীপকের অনিতা একজন গৃহকর্মী। সারাদিন প্রচণ্ড খাটুনির পরও গৃহকর্ত্রী তাকে ঠিকমতো খেতে দেয় না। ফলে একসময় সে বাধ্য হয়ে চুরি করে খেতে শুরু করে। এদিকে ‘বিড়াল’ প্রবন্ধের বিড়ালটিও ক্ষুধার জ্বালায় কমলাকান্তের জন্য রাখা দুধটুকু খেয়ে ফেলেছিল।
“বিড়াল’ প্রবন্ধে একটি বিড়ালের কণ্ঠে সকল বঞ্চিত, নিষ্পেষিত ও দলিতের ক্ষোভ, প্রতিবাদ ও মর্মবেদনা ফুটে উঠেছে। বিড়ালটির অভিযোগ এই যে, মানুষের নির্দয়তাই তাকে চুরি করতে বাধ্য করেছে। তাদের মতো ক্ষুধার্ত, বঞ্চিতরা খাবারের অভাবে কষ্ট পায় অথচ ধনী ব্যক্তিদের জন্য খাবারের আয়োজন করতেই ব্যস্ত সবাই।
বিড়ালের মতে, চোরের দণ্ড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃপণ ধনী ও নির্দয় মানুষেরও দণ্ড হওয়া দরকার। উদ্দীপকের চিত্রও “বিড়াল’ প্রবন্ধটির অনুরূপ। অনিতা ক্ষুধার জ্বালায় শীর্ণকায় হয়ে পড়ে আর কল্যাণীর ছেলে শান্ত খাওয়া থেকে পালিয়ে বেড়ায়। খাওয়ার অভাবে যে ছটফট করে সে খেতে পায় না, আর যে ভরপেটে থাকে তার জন্যই সকল খাদ্যের আয়োজন। “বিড়াল’ প্রবন্ধে ফুটে ওঠা বঞ্চিতের হাহাকার উদ্দীপকেও সমানভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
বিড়াল প্রবন্ধ সৃজনশীল – ৪
শেষ পর্যন্ত এক কৃষিজীবী পরিবারেই বিয়ে হয় ছবিরানির। স্বামী ধনপতির একটি উন্নত জাতের গাভি আছে; গাভির একটি ছোট্ট বাছুর আছে। সেই বাছুরকে মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত করে দুইবেলা গাভির সবটুকু দুধ দোহন করে নেয় ধনপতি। বাছুরকে জোরপূর্বক আটকে রেখে স্বামীকে সহায়তা করে ছবিরানি। গাভি যেন সামান্য দুধও বাছুরের জন্য রাখতে না পারে, সেদিকে কড়া নজর তাদের। কদিন আগে ছবিরানির কোলজুড়ে আসে নবজাত ফুটফুটে এক শিশু সন্তান। এই শিশু যখন ক্ষুধায় কান্না করে, ছবিরানি তখন পরিবারের সব কাজ ফেলে পরম মমতায় সন্তানকে মাতৃদুগ্ধদানে তৃপ্ত করে। একদিন তার শিশু সন্তানকে মাতৃদুগ্ধে পরিতৃপ্ত করতে গিয়ে সে অনুভব করে, মাতৃদুগ্ধ-বদ্যিত রেখে কী নির্মম আচরণ করে যাচ্ছে তারা গাভির অসহায় বাছুরের ওপর। তারপর থেকে সে স্বামীকে এই কাজে আর সহায়তা করে না।
ক. ‘বিড়াল’ প্রবন্ধে দুধ দুহিয়াছে কে?
খ. ‘তাহাদের রূপের ছটা দেখিয়া, অনেক মার্জার কবি হইয়া পড়ে।’- কার, কেন?
গ. উদ্দীপকের ছবিরানি কোন দিক দিয়ে কমলাকান্তের সঙ্গে তুলনীয়?
ঘ. উদ্দীপকে বিবৃত ‘নির্মম আচরণ’ অধিকার হরণেরই নামান্তর- উদ্দীপক ও ‘বিড়াল’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ
ক. ‘বিড়াল’ প্রবন্ধে দুধ দুইয়েছে প্রসন্ন। বিত্তবানদের আশীর্বাদপুষ্ট মার্জারীর রূপের ছটা দেখে অনেক
খ. মার্জারীর মধ্যেই বিশেষ ভাবনার উদ্রেষ্ট হয়। সমাজে বিত্তহীন শ্রেণি প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হলেও ধনিক শ্রেণি তাদের দিকে দৃষ্টি দেয় না। কদাচিৎ এই শ্রেণির কারো দিকে যদি ধনীদের অনুকম্পার দৃষ্টি পড়ে তবে সে শ্রেণিস্বার্থ ভুলে আপসের মাধ্যমে নাদুসনুদুস হয়ে ওঠে। তখন তার সৌন্দর্য দেখে সগোত্রের অনেকেই ভাবনায় পড়ে যায়, যা কবিরই অনুৰূপ।
গ. একটি বিশেষ উপলব্ধিগত দিক থেকে উদ্দীপকের ছবিরানি ‘বিড়াল’ রচনার কমলাকান্তের প্রতিরূপ।
‘বিড়াল’ রচনায় কমলাকান্ত শোষিত শ্রেণির প্রতিনিধি বিড়ালের সাথে নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে গেলেও সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে নিজের অবস্থান তাকে ভাবিত করে। বিড়ালের সাথে কথোপকথনে কমলাকান্ত অনুধাবন করে শোষিত শ্রেণিকে তার নিজের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা অনুচিত। তাই শোষিত শ্রেণির প্রতিনিধি বিড়ালের প্রতি কমলাকান্তের সহমর্মী ভাব প্রকাশ পায়।
উদ্দীপকের ছবিরানিও তার শেষ উপলব্ধির মাধ্যমে কমলাকান্তের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছে। ছবিরানি প্রথমে অসহায় ক্ষুধার্তকে নিজের অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখলেও শেষ পর্যন্ত তার ভাবনার জগৎ পরিবর্তন হয়। নিজের সন্তানকে মাতৃদুদ্ধ করতে গিয়ে ছবিরানির মনে পড়ে মাতৃগুদ্ধ বঞ্চিত বাছুরের কথা। অবশেষে তার মানবিক বোধের জাগরণ ঘটে। বাছুরকে তার ন্যায্য পাওনা মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত রাখতে তার মনে সায় দেয় না। এক্ষেত্রে ছবিরানি বরং ‘বিড়াল’ রচনার কমলাকান্তের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। সে বাছুরকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখতে তার স্বামীকে আর সাহায্য করে না। এভাবে ছবিরানি ‘বিড়াল’ রচনার কমলাকান্তের প্রতিভূ হয়ে উঠে।
ঘ. ক্ষেত্রবিশেষে কারো প্রতি নির্দয় আচরণ তার অধিকার অস্বীকারকেই স্পষ্ট করে তোলে।’ – বিড়াল রচনায় এমন বক্তব্যই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বিড়াল’ রচনায় আমরা দেখতে পাই, নিরীহ প্রাণী বিড়াল খেতে না পেয়ে, ক্ষুধার যন্ত্রণায় কমলাকান্তের দুধ চুরি করে খায়। কমলাকান্ত অনাহারী বিড়ালের ক্ষুধার যন্ত্রণার কথা না ভেবে লাঠি হাতে তার দিকে ধাবিত হন। এটাই ধনীদের শ্রেণিচরিত্র। বিত্তহীন মানুষের ক্ষুধা-তৃষ্ণায় তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। বস্তুত তাদের শোষণ-বঞ্চনার কারণেই বিড়ালের প্রতীকরূপী নির্যাতিত মানুষের শ্রেণি অবস্থান শোষিতশ্রেণির পর্যায়ে নেমে আসে।
উদ্দীপকের ছবিরানির কাজ নির্মম ও অমানবিক। সে একটি ছোট্ট বাছুরকে খিদে মেটানোর একমাত্র উপাদান মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত করে। নিজ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য সে বাছুরের স্বাভাবিক অধিকার হরণ করে। এ আচরণ নিঃসন্দেহে নির্মম। ছবিরানির কোলজুড়ে সন্তান আসার পর তার এই অমানবিকতা সম্পর্কে বোধোদয় হয়। তখন থেকে নিজের শিশুর কথা ভেবে সে আর বাছুরের প্রতি নিমর্মতা দেখাতে পারে না।
পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষই কিছু মৌলিক অধিকার নিয়ে জন্মায়। তাদের সেই অধিকারে হস্তক্ষেপ করা চরম নির্মমতার বহিঃপ্রকাশ। উদ্দীপকে সেই নির্মমতার প্রকাশ ঘটেছে ধনপতি ও তার স্ত্রী ছবিরানির আচরণে। তারা গরুর বাছুরকে মায়ের দুধ না খেতে দিয়ে মূলত বাছুরের অধিকারকেই হরণ করেছে। আবার ‘বিড়াল’ রচনায় বিড়ালের মতো শোষিত শ্রেণিকে ধনিক শ্রেণি তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত রাখে। তাই বলা যায় উদ্দীপকে বিবৃত “নির্মম আচরণ” তার অধিকার হরণেরই নামান্তর”- উক্তিটি যথার্থ।
বিড়াল প্রবন্ধ আরো সৃজনশীল
প্রিয় বন্ধুরা উপরে তোমাদের জন্য ৪ টি সৃজনশীল প্রশ্ন এবং উত্তর দেওয়া হয়েছে। আর সেই আলোকে নিচে আরো কয়েকটি সৃজনশীল দেওয়া হলো উত্তর ছাড়া। সেইগুলো তোমরা উপরের সৃজনশীল এবং পাঠ্য বইয়ের আলোকে সলভ করার চেষ্টা করবে।
বিড়াল প্রবন্ধ সৃজনশীল – ৫
মতলবপুর গ্রামে সুসজ্জিত স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, খেলার মাঠ, সোনাফলা ফসলি জমি সবই আছে কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসা বা স্কুল-কলেজের শিক্ষা গ্রহণের জন্যে যে আর্থিক সামর্থ্যের প্রয়োজন তা গ্রামের অধিকাংশ মানুষেরই নেই। ফসলি জমির ফসল ওঠে কয়েকটি ভূস্বামী পরিবারের গোলায়। তাই অর্ধাহারে, অশিক্ষায় আর চিকিৎসাহীনতায় মানবেতর জীবনযাপন করে মতলবপুর গ্রামের আশি ভাগ মানুষ। বাইরে থেকে দেখলে যে গ্রামকে আদর্শ মনে হয়, নিবিড় পর্যবেক্ষণে ভেসে ওঠে সে গ্রামের বঞ্চিত গ্রামবাসীর অসহায় মুখচ্ছবি।
ক. চোর অপেক্ষা শতগুণে দোষী কে?
খ. ‘যখন বিচারে পরাস্ত হইবে তখন গম্ভীরভাবে উপদেশ প্রদান করিবে।’ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের ‘ফসল’-এর সাথে ‘বিড়াল’ প্রবন্ধের ধনবৃদ্ধির তুলনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকে বিড়াল’ প্রবন্ধের আংশিক বক্তব্য প্রতিফলিত হয়েছে।” বাক্যটির তাৎপর্য লেখো।
আরো পড়ুনঃ শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
বিড়াল প্রবন্ধ সৃজনশীল – ৬
হাজী মুহম্মদ মুহসীন এক রাতে তাঁর শয়নকক্ষে এক চোরকে কিছু মালসহ ধরে ফেললেন। তিনি চোরকে শাস্তি না দিয়ে চুরির কারণ জিজ্ঞেস করলেন। চোর তার সংসারের অভাব-অনটনের কথা তুলে ধরল। হাজী মুহম্মদ মুহসীন ওই চোরকে নগদ অর্থ ও খাবার দিয়ে বড় বিদায় করলেন।
ক. কমলাকান্ত বিড়ালকে কার লেখা বই উপহার দিতে চেয়েছিল?
খ. ধনীর দোষেই দরিদ্র চোর হয় — উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে ‘বিড়াল’ রচনার সাদৃশ্য অথবা বৈসাদৃশ্য নির্ণয় কর।
ঘ. উদ্দীপকের হাজী মুহম্মদ মুহসীনের মতো মানুষ থাকলে সমাজে কানে কাউকে আর চুরি করতে হতো না’ – কথাটি বিশ্লেষণ করো।
বিড়াল প্রবন্ধ সৃজনশীল – ৭
পদ্মা নদীর প্রবল ভাঙনে হাজার হাজার সর্বহারা মানুষ আশ্রয়ের জন্যঢাকায় আসে। বস্তিতে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হলেও খাবারের ব্যবস্থা হয় না। জীবনের তাগিদ তারা বিত্তশালী মানুষের দ্বারে গেলে দারোয়ান তাদের তাড়িয়ে দেয় এবং গাড়ির কাছে গেলে গ্লাস নামিয়ে কেউ তাদের দিকে তাকায় না।
ক. নেপোলিয়ান কোন যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন?
খ. ‘তেলা মাথায় তেল দেওয়া মনুষ্য জাতির রোগ।’- ব্যাখ্যা করো।
গ. ‘চোরের দণ্ড আছে, নির্দয়তার কি দণ্ড নাই’— উক্তিটি উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো ।
ঘ. “উদ্দীপকের ভাব ও ‘বিড়াল’ প্রবন্ধের ভাব একই সূত্রে গাঁথা।”— তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও ।
বিড়াল প্রবন্ধ সৃজনশীল – ৮
উত্তরার একটি অভিজাত বাসায় কাজ করে মেহেরুননেছা। সেখানে তার আদর-আহ্লাদের অভাব নেই। বাড়ির বড়ো সাহেব মস্ত বড়োর অফিসার। ইদে পরিবারের সবার জন্য কিনে এনেছেন বসুন্ধরা সিটি থেকে নতুন পোশাক। কাজের লোক বলে মেহেরুননেছার জন্য অন্যদের চেয়ে কম দামি পোশাক কেনা হয়নি। বরং সাহেবের মেয়ের জন্য যা যার কেনা হয়েছে, তার জন্যও তাই কেনা হয়েছে। সেগুলো মেহেরুননেছাকে দেওয়া হলে তার চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ে।
ক. দরিদ্র কার দোষে চোর হয়?
খ. দরিদ্রের ব্যথায় ব্যথিত হওয়া লজ্জার কথা কেন?
গ. ‘বিড়াল’ রচনায় নির্দেশিত ধনিকশ্রেণির সঙ্গে উদ্দীপকের বড় সাহেবের আচরণে কী ধরনের বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা যায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের বড়ো সাহেবের মানসিকতাই ‘বিড়াল’ রচনার মূলসুর”— মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
বিড়াল প্রবন্ধ সৃজনশীল – ৯
লোকমান সাহেবের গাড়িচালক সালাম তার বাড়িতেই থাকেন। প্রয়োজনমতো সকলের নির্দেশ মেনে চলেন। তার জন্য আলাদা একটি কক্ষ ব্যবধান দেওয়া হয়েছে। তার জন্য আলাদা করে কোনো রান্না হয় না। নিজেরা যা তাই ‘বি খান তাই তাকে দেওয়া হয়। লোকমান সাহেবের সন্তানরা তাকে ভাইয়া বলে “বিড়াল’ ডাকে। সালামের পারিবারিক যেকোনো সমস্যা লোকমান সাহেব নিজের ধরা হয়ে সমস্যা মনে করে সমাধান করেন। এভাবে সালাম যেন লোকমান সাহেবের প্রচ্ছন্ন ভ পরিবারের সদস্য হয়ে যান ।
ক. ওয়াটারলু কী?
খ. কেহ মরে বিল ছেঁচে, কেহ খায় কই।’- উক্তিটি দ্বারা কী আর কি চোখে বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘বিড়াল’ প্রবন্ধের কোন দিক থেকে বৈসাদৃশ্য “ বিড়াল’ সমাজ রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘বিড়াল’ প্রবন্ধের মূল বক্তব্যকে উপস্থাপন করেছে।”— মন্তব্যটি যাচাই করো।
বিড়াল প্রবন্ধ সৃজনশীল – ১০
পীর হাত মেলিয়া আখনার সম্মুখে ধরিল। নিটোল সুগঠিত থাকলে সমাজে কালো হাতের ওপর সাদা রূপার চুড়িগুলো বড় সুন্দর মানাইয়াছিল। ষণ করো। ৪ আখনা মুগ্ধ হইয়া দেখিতেছিল। সে হাসিয়া বলিল, ‘দু টাকা বানি দিতে হবে, হ্যাঁ।’ আখনা চমকিয়া উঠিল, বলিল, ‘দু-টা-কা!’ পরী বিস্মিত হইয়া উত্তর দিল, ‘দু টাকা নইলে চুড়ি হয়?’ আখনা বলিল, ‘এখন আমি টাকা কোথা পাব বল দেখি?’ আজ এক কথাতেই পরী ক্ষুব্ধ হইয়া উঠিল, ‘তোকে দিতে লাগবে না টাকা। আমি গতর খেটে শোধ দেব। আখনা বলিল, ‘আচ্ছা আচ্ছা, আমি দেব বানি, আজই দেব।’ সেদিন দ্বিপ্রহরে বশ্লেষণের মধ্য আখনা মনিবের জনশূন্য বৈঠকখানাটায় প্রবেশ করিয়া সন্তর্পণে ৰূপাৰাঁধানো সম্পদ সংগ্রহ হুঁকাটা তুলিয়া লইয়া কাপড় ঢাকা দিয়া সরিয়া পড়িল। পরী চুড়ি পরিল, য়। তাই দরিদ্র আখনা চুরি করিল।
ক. নৈয়ায়িক’ শব্দের অর্থ কী?
খ. বিড়াল কেন বলে, “দরিদ্রের আহার সংগ্রহের দণ্ড আছে, ধনীর কার্পণ্যের দণ্ড নাই কেন?’
গ. উদ্দীপকের আখনার সাথে ‘বিড়াল’ প্রবন্ধের বিড়ালের তুলনা করো।
ঘ. ‘বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আখনার চুরি সমর্থন করেননি।’- প্রবন্ধের আলোকে মতামতটি যাচাই করো।
শেষ কথা
তো প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্ট এ আপনারা জানলেন কয়েকটি বিড়াল প্রবন্ধ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর এবং এরই সাথে কিছু এক্সট্রা সৃজনশীল প্রশ্ন। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের কাছে অনেক টা ভালো লেগেছে।
ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমাদের। আর এরকম সব পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই ওয়েব সাইট টি তে। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।