সূচিপত্র
ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।
ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম
আমাদের মধ্য অনেকেরই এক বা একাধিক ব্যাংক একাউন্ট আছে। আর এরই সাথে চেক বুক ও অবশ্যই আছে। এই চেক বুক থেকে অনেকের ই মাঝে মাঝে অন্যদের টাকা দেওয়ার প্রয়োজন পরে। তবে সঠিক ভাবে চেক লেখার নিয়ম না জানার জন্য আমাদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
এরই সাথে বারবার ভুল করার জন্য চেক বুক এর পৃষ্ঠাও নষ্ট হয়। তো এর জন্য আমাদের নির্ভুল ভাবে চেক বুক লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। এর ফলেই সেটা দিয়ে আমরা টাকা উত্তোলন করতে পারবো। আজকের পোস্ট এ আপনাদের সাথে বাংলাদেশের কয়েকটি নামকরা ব্যাংক এর চেক বুক লেখার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করবো।
চেক বই তোলার নিয়ম
আপনারা যখন কোনো ব্যাংক এ নতুন একটি একাউন্ট খুলবেন তখন সেখান থেকে চেক বুক এর আবেদন করতে হবে। যদি করে থাকেন তাহলে সেটা কয়েকদিন এর মধ্য হাতে পাবেন। তবে বিভিন্ন একাউন্ট এ আলাদা আলাদা সময় লাগে এই চেক বুক হাতে পেতে।
যেমনঃ ইসলামি ব্যাংক থেকে ১ মাস পর চেক বুক পাওয়া যায়। আবার ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ৭-১০ দিন এর মধ্য। এছাড়াও আরো আলাদা আলাদা ব্যাংক এ এই সময় আলাদা হয়। তবে যদি এলাকা ভিত্তিক হিসেবে এই সময়ের কম বেশি হতে পারে।
তবে যদি আগের চেক বুক এর পাতা শেষ হয়ে যায় তবে নতুন চেক বুক কিভাবে পাবো? এই প্রশ্নটি অনেকেরই। তো তাদের জন্য বলে রাখি যে, এই কাজ টি এর জন্য দুইটি উপায় আছে। প্রথমত অনলাইন এবং দ্বিতীয়ত অফলাইন। তবে ব্যাংক এর কাজ অফলাইনে করাই ভালো।
আপনার চেক বুক যে ব্যাংক এর সেই ব্যাংক এর নিকটতম শাখা তে গিয়ে আপনারা এক বুক এর আবেদন করলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য পেয়ে যাবেন। আর অনলাইনে করার জন্য আপনাদের এইচডিএফসি নেট ব্যাংকিং এর ওয়েব সাইটে যেতে হবে।
এর পর সেখানে লগ ইন করে নিচের দিকে গিয়ে রিকোয়েস্ট অপশন এ গিয়ে কোন ব্যাংক এর চেক বুক, আপনার ঠিকানা ইত্যাদি যাবতীয় সকল তথ্য দিয়ে দিলে আপনাদের কাছে ৭ থেকে ১০ দিন এর মধ্য চেক বুক পাঠিয়ে দিবে তারা।
জনতা ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম
জনতা ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে হলে সঠিক ভাবে চেক লিখতে হবে। নিম্নে আমরা জনতা ব্যাংক এর চেক লেখার সম্পূর্ণ নিয়ম দিয়ে দিলাম সেটা ফলো করলে খুব সহজেই জনতা ব্যাংক এর চেক লিখতে পারবেন।
১. প্রথমেই আপনারা দেখুন চেক এর উপরের ডান দিকে রয়েছে তারিখ দেওয়ার বক্স বা যায়গা। তো সেখানে যে দিন টাকা তুলতে চাচ্ছেন সেই দিন অর্থাৎ তারিখ লিখে দিবেন। যদি অন্য কোনো দিন এর তারিখ দেন তবে কিন্তু টাকা তুলতে পারবেন না। তাই যে তারিখ দিবেন সেই তারিখেই টাকা তুলবেন।
২. এরপরে দেখুন চেক পাতায় লেখা আছে “প্রদান করুন” নামে একটি বক্স আছে। এখানে আপনারা যাকে টাকা দিতে চাচ্ছেন বা যার মাধ্যমে টাকা তুলতে চাচ্ছেন তার নাম দিয়ে দিবেন। আর যদি নিজে টাকা তুলতে চান তাহলে সেখানে “নিজ” লিখে দিবেন বা ইংরেজিতে লিখলে “ownself” লিখে দিবেন।
৩. এরপর নিচে দেখবেন টাকার পরিমাণ নামক একটি যায়গা আছে। এখনে যত টাকা তুলতে চান তার পরিমাণ কথায় লিখতে হবে। অর্থাৎ আপনারা যদি ২৫,০০০ টাকা তুলতে চান তাহলে সেখানে লিখেবন “পচিশ হাজার টাকা মাত্র”। টাকার পরিমাণ এর পর “মাত্র” কথাটি অবশ্যই লিখবেন। আর এখানে যদি অংকে টাকার পরিমাণ দেন তো চেক বাতিল হয়ে যাবে।
৪. এরপর পাশের দিকে তাকান। সেখানে দেখবেন লেখা আছে টাকা পরিমাণ অংকে। তো এই যায়গায় টাকার পরিমাণ অংকে দিয়ে দিবেন। তবে খেয়াল রাখবেন কথায় যে পরিমাণ টাকা লিখেছেন এখানেও সেই পরিমাণ ই দিতে হবে। অন্যথায় চেক বাতিল হয়ে যাবে।
৫. টাকার পাশের বক্স এ দেখবেন একটি স্বাক্ষর নামে একটি বক্স আছে। সেখানে আপনারা ব্যাংক একাউন্ট খোলার সময় যে স্বাক্ষর দিয়েছিলেন সেই স্বাক্ষর টি দিয়ে দিবেন। এটা ভুল হলে কিন্তু সমস্যা হবে।
৬. এরপরে চেক এর পেছনের দিকে দেখবেন আরো দুইটি স্বাক্ষর এর যায়গা আছে। সেখানেও সেইম ভাবে স্বাক্ষর দিবেন উপর থেকে আর নিচের দিকে আপনার নাম্বার দিয়ে দিবেন।
তো এভাবে খুব সহজেই আপনারা জনতা ব্যাংক এর চেক লিখতে পারবেন। আর একটি বিষয় লক্ষ রাখবেন যে, চেক এ বাংলা লিখলে শুধু বাংলা, আর ইংরেজিতে লিখলে শুধু ইংরেজিতে লিখবেন। দুইটা একসাথে মিশিয়ে লিখবেন না। এতে সমস্যা হবে।
রুপালী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম
রুপালী ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে হলে সঠিক ভাবে চেক লিখতে হবে। নিম্নে আমরা রুপালী ব্যাংক এর চেক লেখার সম্পূর্ণ নিয়ম দিয়ে দিলাম সেটা ফলো করলে খুব সহজেই রুপালী ব্যাংক এর চেক লিখতে পারবেন।
১. প্রথমেই আপনারা দেখুন চেক এর উপরের ডান দিকে রয়েছে তারিখ দেওয়ার বক্স বা যায়গা। তো সেখানে যে দিন টাকা তুলতে চাচ্ছেন সেই দিন অর্থাৎ তারিখ লিখে দিবেন। যদি অন্য কোনো দিন এর তারিখ দেন তবে কিন্তু টাকা তুলতে পারবেন না। তাই যে তারিখ দিবেন সেই তারিখেই টাকা তুলবেন।
২. এরপরে দেখুন চেক পাতায় লেখা আছে “প্রদান করুন” নামে একটি বক্স আছে। এখানে আপনারা যাকে টাকা দিতে চাচ্ছেন বা যার মাধ্যমে টাকা তুলতে চাচ্ছেন তার নাম দিয়ে দিবেন। আর যদি নিজে টাকা তুলতে চান তাহলে সেখানে “নিজ” লিখে দিবেন বা ইংরেজিতে লিখলে “ownself” লিখে দিবেন।
৩. এরপর নিচে দেখবেন টাকার পরিমাণ নামক একটি যায়গা আছে। এখনে যত টাকা তুলতে চান তার পরিমাণ কথায় লিখতে হবে। অর্থাৎ আপনারা যদি ২৫,০০০ টাকা তুলতে চান তাহলে সেখানে লিখেবন “পচিশ হাজার টাকা মাত্র”। টাকার পরিমাণ এর পর “মাত্র” কথাটি অবশ্যই লিখবেন। আর এখানে যদি অংকে টাকার পরিমাণ দেন তো চেক বাতিল হয়ে যাবে।
৪. এরপর পাশের দিকে তাকান। সেখানে দেখবেন লেখা আছে টাকা পরিমাণ অংকে। তো এই যায়গায় টাকার পরিমাণ অংকে দিয়ে দিবেন। তবে খেয়াল রাখবেন কথায় যে পরিমাণ টাকা লিখেছেন এখানেও সেই পরিমাণ ই দিতে হবে। অন্যথায় চেক বাতিল হয়ে যাবে।
৫. টাকার পাশের বক্স এ দেখবেন একটি স্বাক্ষর নামে একটি বক্স আছে। সেখানে আপনারা ব্যাংক একাউন্ট খোলার সময় যে স্বাক্ষর দিয়েছিলেন সেই স্বাক্ষর টি দিয়ে দিবেন। এটা ভুল হলে কিন্তু সমস্যা হবে।
৬. এরপরে চেক এর পেছনের দিকে দেখবেন আরো দুইটি স্বাক্ষর এর যায়গা আছে। সেখানেও সেইম ভাবে স্বাক্ষর দিবেন উপর থেকে আর নিচের দিকে আপনার নাম্বার দিয়ে দিবেন।
তো এভাবে খুব সহজেই আপনারা রুপালী ব্যাংক এর চেক লিখতে পারবেন। আর একটি বিষয় লক্ষ রাখবেন যে, চেক এ বাংলা লিখলে শুধু বাংলা, আর ইংরেজিতে লিখলে শুধু ইংরেজিতে লিখবেন। দুইটা একসাথে মিশিয়ে লিখবেন না। এতে সমস্যা হবে।
ইসলামী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম
ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে হলে সঠিক ভাবে চেক লিখতে হবে। নিম্নে আমরা ইসলামী ব্যাংক এর চেক লেখার সম্পূর্ণ নিয়ম দিয়ে দিলাম সেটা ফলো করলে খুব সহজেই ইসলামী ব্যাংক এর চেক লিখতে পারবেন।
১. প্রথমেই আপনারা দেখুন চেক এর উপরের ডান দিকে রয়েছে তারিখ দেওয়ার বক্স বা যায়গা। তো সেখানে যে দিন টাকা তুলতে চাচ্ছেন সেই দিন অর্থাৎ তারিখ লিখে দিবেন। যদি অন্য কোনো দিন এর তারিখ দেন তবে কিন্তু টাকা তুলতে পারবেন না। তাই যে তারিখ দিবেন সেই তারিখেই টাকা তুলবেন।
২. এরপরে দেখুন চেক পাতায় লেখা আছে “প্রদান করুন” নামে একটি বক্স আছে। এখানে আপনারা যাকে টাকা দিতে চাচ্ছেন বা যার মাধ্যমে টাকা তুলতে চাচ্ছেন তার নাম দিয়ে দিবেন। আর যদি নিজে টাকা তুলতে চান তাহলে সেখানে “নিজ” লিখে দিবেন বা ইংরেজিতে লিখলে “ownself” লিখে দিবেন।
৩. এরপর নিচে দেখবেন টাকার পরিমাণ নামক একটি যায়গা আছে। এখনে যত টাকা তুলতে চান তার পরিমাণ কথায় লিখতে হবে। অর্থাৎ আপনারা যদি ২৫,০০০ টাকা তুলতে চান তাহলে সেখানে লিখেবন “পচিশ হাজার টাকা মাত্র”। টাকার পরিমাণ এর পর “মাত্র” কথাটি অবশ্যই লিখবেন। আর এখানে যদি অংকে টাকার পরিমাণ দেন তো চেক বাতিল হয়ে যাবে।
৪. এরপর পাশের দিকে তাকান। সেখানে দেখবেন লেখা আছে টাকা পরিমাণ অংকে। তো এই যায়গায় টাকার পরিমাণ অংকে দিয়ে দিবেন। তবে খেয়াল রাখবেন কথায় যে পরিমাণ টাকা লিখেছেন এখানেও সেই পরিমাণ ই দিতে হবে। অন্যথায় চেক বাতিল হয়ে যাবে।
৫. টাকার পাশের বক্স এ দেখবেন একটি স্বাক্ষর নামে একটি বক্স আছে। সেখানে আপনারা ব্যাংক একাউন্ট খোলার সময় যে স্বাক্ষর দিয়েছিলেন সেই স্বাক্ষর টি দিয়ে দিবেন। এটা ভুল হলে কিন্তু সমস্যা হবে।
৬. এরপরে চেক এর পেছনের দিকে দেখবেন আরো দুইটি স্বাক্ষর এর যায়গা আছে। সেখানেও সেইম ভাবে স্বাক্ষর দিবেন উপর থেকে আর নিচের দিকে আপনার নাম্বার দিয়ে দিবেন।
তো এভাবে খুব সহজেই আপনারা ইসলামী ব্যাংক এর চেক লিখতে পারবেন। আর একটি বিষয় লক্ষ রাখবেন যে, চেক এ বাংলা লিখলে শুধু বাংলা, আর ইংরেজিতে লিখলে শুধু ইংরেজিতে লিখবেন। দুইটা একসাথে মিশিয়ে লিখবেন না। এতে সমস্যা হবে।
সোনালী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম
সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে হলে সঠিক ভাবে চেক লিখতে হবে। নিম্নে আমরা সোনালী ব্যাংক এর চেক লেখার সম্পূর্ণ নিয়ম দিয়ে দিলাম সেটা ফলো করলে খুব সহজেই সোনালী ব্যাংক এর চেক লিখতে পারবেন।
১. প্রথমেই আপনারা দেখুন চেক এর উপরের ডান দিকে রয়েছে তারিখ দেওয়ার বক্স বা যায়গা। তো সেখানে যে দিন টাকা তুলতে চাচ্ছেন সেই দিন অর্থাৎ তারিখ লিখে দিবেন। যদি অন্য কোনো দিন এর তারিখ দেন তবে কিন্তু টাকা তুলতে পারবেন না। তাই যে তারিখ দিবেন সেই তারিখেই টাকা তুলবেন।
২. এরপরে দেখুন চেক পাতায় লেখা আছে “প্রদান করুন” নামে একটি বক্স আছে। এখানে আপনারা যাকে টাকা দিতে চাচ্ছেন বা যার মাধ্যমে টাকা তুলতে চাচ্ছেন তার নাম দিয়ে দিবেন। আর যদি নিজে টাকা তুলতে চান তাহলে সেখানে “নিজ” লিখে দিবেন বা ইংরেজিতে লিখলে “ownself” লিখে দিবেন।
৩. এরপর নিচে দেখবেন টাকার পরিমাণ নামক একটি যায়গা আছে। এখনে যত টাকা তুলতে চান তার পরিমাণ কথায় লিখতে হবে। অর্থাৎ আপনারা যদি ২৫,০০০ টাকা তুলতে চান তাহলে সেখানে লিখেবন “পচিশ হাজার টাকা মাত্র”। টাকার পরিমাণ এর পর “মাত্র” কথাটি অবশ্যই লিখবেন। আর এখানে যদি অংকে টাকার পরিমাণ দেন তো চেক বাতিল হয়ে যাবে।
৪. এরপর পাশের দিকে তাকান। সেখানে দেখবেন লেখা আছে টাকা পরিমাণ অংকে। তো এই যায়গায় টাকার পরিমাণ অংকে দিয়ে দিবেন। তবে খেয়াল রাখবেন কথায় যে পরিমাণ টাকা লিখেছেন এখানেও সেই পরিমাণ ই দিতে হবে। অন্যথায় চেক বাতিল হয়ে যাবে।
৫. টাকার পাশের বক্স এ দেখবেন একটি স্বাক্ষর নামে একটি বক্স আছে। সেখানে আপনারা ব্যাংক একাউন্ট খোলার সময় যে স্বাক্ষর দিয়েছিলেন সেই স্বাক্ষর টি দিয়ে দিবেন। এটা ভুল হলে কিন্তু সমস্যা হবে।
৬. এরপরে চেক এর পেছনের দিকে দেখবেন আরো দুইটি স্বাক্ষর এর যায়গা আছে। সেখানেও সেইম ভাবে স্বাক্ষর দিবেন উপর থেকে আর নিচের দিকে আপনার নাম্বার দিয়ে দিবেন।
তো এভাবে খুব সহজেই আপনারা সোনালী ব্যাংক এর চেক লিখতে পারবেন। আর একটি বিষয় লক্ষ রাখবেন যে, চেক এ বাংলা লিখলে শুধু বাংলা, আর ইংরেজিতে লিখলে শুধু ইংরেজিতে লিখবেন। দুইটা একসাথে মিশিয়ে লিখবেন না। এতে সমস্যা হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে হলে সঠিক ভাবে চেক লিখতে হবে। নিম্নে আমরা ডাচ বাংলা ব্যাংক এর চেক লেখার সম্পূর্ণ নিয়ম দিয়ে দিলাম সেটা ফলো করলে খুব সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংক এর চেক লিখতে পারবেন।
১. প্রথমেই আপনারা দেখুন চেক এর উপরের ডান দিকে রয়েছে তারিখ দেওয়ার বক্স বা যায়গা। তো সেখানে যে দিন টাকা তুলতে চাচ্ছেন সেই দিন অর্থাৎ তারিখ লিখে দিবেন। যদি অন্য কোনো দিন এর তারিখ দেন তবে কিন্তু টাকা তুলতে পারবেন না। তাই যে তারিখ দিবেন সেই তারিখেই টাকা তুলবেন।
২. এরপরে দেখুন চেক পাতায় লেখা আছে “প্রদান করুন” নামে একটি বক্স আছে। এখানে আপনারা যাকে টাকা দিতে চাচ্ছেন বা যার মাধ্যমে টাকা তুলতে চাচ্ছেন তার নাম দিয়ে দিবেন। আর যদি নিজে টাকা তুলতে চান তাহলে সেখানে “নিজ” লিখে দিবেন বা ইংরেজিতে লিখলে “ownself” লিখে দিবেন।
আরো পড়ুনঃ আবাসিক হোটেল ভাড়ার নিয়ম।
৩. এরপর নিচে দেখবেন টাকার পরিমাণ নামক একটি যায়গা আছে। এখনে যত টাকা তুলতে চান তার পরিমাণ কথায় লিখতে হবে। অর্থাৎ আপনারা যদি ২৫,০০০ টাকা তুলতে চান তাহলে সেখানে লিখেবন “পচিশ হাজার টাকা মাত্র”। টাকার পরিমাণ এর পর “মাত্র” কথাটি অবশ্যই লিখবেন। আর এখানে যদি অংকে টাকার পরিমাণ দেন তো চেক বাতিল হয়ে যাবে।
৪. এরপর পাশের দিকে তাকান। সেখানে দেখবেন লেখা আছে টাকা পরিমাণ অংকে। তো এই যায়গায় টাকার পরিমাণ অংকে দিয়ে দিবেন। তবে খেয়াল রাখবেন কথায় যে পরিমাণ টাকা লিখেছেন এখানেও সেই পরিমাণ ই দিতে হবে। অন্যথায় চেক বাতিল হয়ে যাবে।
৫. টাকার পাশের বক্স এ দেখবেন একটি স্বাক্ষর নামে একটি বক্স আছে। সেখানে আপনারা ব্যাংক একাউন্ট খোলার সময় যে স্বাক্ষর দিয়েছিলেন সেই স্বাক্ষর টি দিয়ে দিবেন। এটা ভুল হলে কিন্তু সমস্যা হবে।
৬. এরপরে চেক এর পেছনের দিকে দেখবেন আরো দুইটি স্বাক্ষর এর যায়গা আছে। সেখানেও সেইম ভাবে স্বাক্ষর দিবেন উপর থেকে আর নিচের দিকে আপনার নাম্বার দিয়ে দিবেন।
তো এভাবে খুব সহজেই আপনারা ডাচ বাংলা ব্যাংক এর চেক লিখতে পারবেন। আর একটি বিষয় লক্ষ রাখবেন যে, চেক এ বাংলা লিখলে শুধু বাংলা, আর ইংরেজিতে লিখলে শুধু ইংরেজিতে লিখবেন। দুইটা একসাথে মিশিয়ে লিখবেন না। এতে সমস্যা হবে।
শেষ কথা
তো প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্ট এ আপনারা জানলেন, ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম, ব্যাংকের চেক কিভাবে লিখতে হয় ইত্যাদি। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের কাছে অনেক টা ভালো লেগেছে।
ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমাদের। আর এরকম সব পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই ওয়েব সাইট টি তে। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।