ভালো মেমোরি কার্ড চেনার উপায়

ভালো মেমোরি কার্ড চেনার উপায়

 

হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে ভালো মেমোরি কার্ড চেনার উপায় এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।

 

ভালো মেমোরি কার্ড চেনার উপায়

 

মোবাইল এর স্টোরেজ কম হলে কিন্তু আমরা নানা মেমোরি কার্ড ব্যবহার করে থাকি। কেননা এর দ্বারা আমরা মোবাইল এর স্টোরেজ এর উপর একটু চাপ কমাতে চাই যাতে মোবাইল অনেকটা ফ্রেস থাকে এবং ফাস্ট কাজ করে। তবে আপনি কী জানেন ভুল মেমোরি কার্ড ক্রয় করে ব্যবহার করার ফলে আপনার মোবাইল টি ফাস্ট হওয়ার বদলে আরো বেশি স্লো হয়ে যায়?

হ্যাঁ আমি ঠিকই বলছি। বর্তমানে বাজারের এমন অবস্থা যে, ছোট্ট একটি মেমোরি কার্ডকেও নকল করে বানিয়ে বিক্রি করছে। মাইক্রো কোম্পানী মেমোরি এর দিকে দিয়ে অনেকটা ভালো সার্ভিস দেয়। তাই অনেকেই সেটার লোগো দেখে কিনে নেন। তবে এই মাইক্রো কোম্পানীর ও অনেক নকল মেমোরি কার্ড বের হয়ে গেছে।

আর সেগুলো ব্যবহার করলে কিছু দিন পর পর মেমোরি কার্ড অটো ফরমেট হয়ে যায়। মোবাইল এর স্পিড অনেক কমে যায়, ফোন এ বার বার ল্যাগ এর দেখা হয় ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দেয়। তো আমরা কিভাবে ভালো মেমোরি কার্ড চিনতে পারবো সেটা অনেকেই জানেন না, ফলে এই সব নকল মেমোরি কার্ড কিনে নেন।

আবার অনেক বড় একটি সমস্যা হয় তা হলো মেমোরি কার্ড ঠিক মতো মোবাইলে শো করে না। যার ফলে নানা সমস্যা হয় আমাদের। তাই এটা থেকে বাচতেও ভালো মেমোরি কার্ড কেনা উচিত।

See also  ফেসবুক প্রোফাইল লক করার নিয়ম

 

আরো পড়ুনঃ

মোবাইলে মেমোরি কার্ড শো করছে না? ঠিক করুন এখনি।

মেমোরি কার্ড থেকে মুছে যাওয়া ছবি ফেরত আনুন খুব সহজে।

 

তাই আজকে আমরা জানবো ভালো মেমোরি কিভাবে চিনতে হয়। এবং কোন ধরনের মেমোরি কার্ড কী কাজ করে। আর কোন মেমোরি কার্ড গুলো কিনলে মোবাইল এর জন্য ভালো হবে।

 

আইফোনে মেমোরি কার্ডের অপশন থাকে না কেন?

 

সচরাচর ই একটি প্রশ্ন সবাই করে থাকে যে আইফোন যখন ২০০৭ সালে প্রথম লঞ্চ হয় তখন থেকেই সেটাতে কোনো মেমোরি কার্ডের অপশন দেওয়া হয় নি, এবং এখনো হয় না। এর কারণ কী? তারা কী সবার থেকে আলাদা সেটা বুঝাতে চায়?

আসলে এগুলো কোনোটাই না। একটা বিষয় লক্ষ করে দেখবেন যে আপনি এবং আপনারা আশে পাশের কেউ সেইম মডেল এর মোবাইল ব্যবহার করেছেন কিন্তু ভিন্ন কোম্পানীর মেমোরি কার্ড ব্যবহার করেন। যার ফলে দুই জনের সেইম ফোন হওয়ার পরেও পার্ফমেন্স হয় আলাদা। এর কারণ কিন্তু মেমোরি কার্ড এর ভিন্নতা।

অর্থাৎ আইফোন কখনো চায় না যে তাদের ইউজার রা আলাদা আলাদা এক্সপেরিয়েন্স পাক। তাই তারা ফোনে কোনো মেমোরি কার্ডের অপশন দেয় না। কারণ সেই অপশন দিলে ভিন্ন মানুষেরা ভিন্ন মেমোরি কার্ড ইউজ করলে ফোনের পার্ফমেন্স কম বেশি হবে। এটা তারা চায় না। তাই ফোনে মেমোরি কার্ড এর অপশন না দিয়ে বড় পরিমাণে ফোনের স্টোরেজ দিয়ে দেয়।

 

মেমোরি কার্ডের ক্যাটাগরি

 

সাধারণত মেমোরি কার্ড এর ক্যাটাগরি ৩ ধরনের হয়। আমরা কিন্তু মেমোরি কার্ডের গায়ে নানা লেখা দেখতে পাই। এর মধ্য আমরা সেখানে থাকা নাম এবং কত জিবি তা পড়তে পারি। তবে এখন আমরা জানবো মেমোর কার্ড এর ক্যাটাগরি গুলো সম্পর্কে।

1. SD: সাধারণত আমরা অনেক মেমোরি কার্ড কেই SD কার্ড বলে থাকি। তবে এটা ভুল। সাধারণত ১২৮ এম্বি থেকে ২ জিবি পর্যন্ত মেমোরি কার্ডকে SD কার্ড বলা হয়। কোনো মেমোরি কার্ড কেনার আগে এটা দেখে নিবেন।

See also  17 Awesome Android Tips and Tricks Everyone Should Try

2. SDHC: সাধারণত ৪ জিবি থেকে ৩২ জিবি পর্যন্ত মেমোরি কার্ডকে SDHC মেমোরি কার্ড বলে।

3. SDXC: ৩২ জিবির বেশি থেকে ২ টেরাবাইট মেমোরি কার্ড গুলো কে SDXC মেমোরি কার্ড বলে।

 

ফাস্ট স্পিডের মেমোরি কার্ড কিভাবে চিনবো

 

অনেকেই জানেন না যে ফাস্ট স্পিডের মেমোরি কার্ড কিভাবে চিনবো বা নিজের মোবাইল এ কোন মেমোরি কার্ড গুলো ফাস্ট কাজ করবে। তো এখন আমরা সেই বিষয়টি জেনে নিবো। সাধারণত আমরা যখন মেমোরি কার্ড হাতে নেই তখন মেমোরি কার্ডের আমরা এক ধরনের সিম্বল দেখতে পাই। (নিচের ছবিতে সেটা মার্ক করা আছে)

 

ভালো মেমোরি কার্ড চেনার উপায়
ভালো মেমোরি কার্ড চেনার উপায়

 

তো উপরের ছবিতে দেখলেন সেখানে দুই ধরনের মেমোরি কার্ডে ২ ধরনের লোগো আছে। আসলে মেমোরি কার্ডের স্পিড বোঝাতে সেগুলো দেওয়া হয়। তবে ১ম মেমোরি কার্ডের লোগোতে লক্ষ করুন সেখানে C এর মধ্য একটা নাম্বার দেওয়া আছে (এখানে ১০ দেওয়া)। তো এখানে C মানে হলো Class আর নাম্বার হলো সেগুলোর স্পিড।

যেটা Class 2 দেওয়া সেটার স্পিড হলো 2 MB প্রতি সেকেন্ডে। যেটার Class 4 দেওয়া সেটার স্পিড 4 MB প্রতি সেকেন্ডে। যেটার Class 6 ও 10 সে দুইটা যথাক্রমে 6 MB ও 10 MB প্রতি সেকেন্ডে।

আর ২য় মেমোরি কার্ডে দেখা যাচ্ছে U এর মধ্য একটি নাম্বার দেওয়া। তো U মানে হলো Ultra High Speed. U এর নাম্বার 1 হলে সেটার স্পিড 10 MB প্রতি সেকেন্ডে, আর U এর নাম্বার 3 হলে তার স্পিড প্রতি সেকেন্ডে 30 MB . নিচের চার্ট টি দেখতে পারেন।

 

ভালো মেমোরি কার্ড চেনার উপায়
ভালো মেমোরি কার্ড চেনার উপায়

 

তো এখন কথা হলো কোন মোবাইল এর জন্য কোন মেমোরি কার্ড টি ভালো হবে। তো এটা জানার জন্য নিচের লেখাটি ভালো করে পড়ুন।

১. Class 2 থেকে Class 6 পর্যন্ত হলো নরমাল স্পিড এর মেমোরি কার্ড। এগুলো আপনারা বাটন ফোনে ব্যবহার করতে পারেন। বা অনেক আগের এন্ড্রয়েড ফোনে ব্যবহার করতে পারেন।

See also  Top Android App Development Trends to Watch in 2024

২. Class 10 ও Ultra High Speed 1 (U1), মেমোরি কার্ড গুলো হলো মোটামুটি হাই স্পিডের। এই মেমোরি গুলো আপনারা নিজের এন্ড্রয়েড এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন। তবে লক্ষ্য রাখবেন যে সকল ফোনে Full HD ভিডিও বা ছবি তোলা যায় সেই ফোনে এগুলো ভালো স্পিড পাবে। আর নরমাল ফোনে তো পাবেই।

৩. Ultra High Class 3 (U3) এটা অনেক ভালো স্পিডের একটি মেমোরি কার্ড। যে সকল ফোনে 2K (HD এর ডাবল) আবার 4k ছবি তোলা বা ভিডিও করা যায় সেই ফোনে এই মেমোরি ব্যবহার করবেন ভালো স্পিড পাবেন। তবে অন্য মেমোরি ব্যবহার করলে স্পিড কমে যেতে পারে।

তো নিজের জন্য ভালো মেমোরি কার্ড চেনার জন্য উপরের টিপস গুলো ফলো করতে পারেন। এর ফলে ভালো স্পিডের মেমোর কার্ড কিনতে সক্ষম হবেন। আর মোবাইল এ কোনো ধরণের সমস্যা হবে না। কেননা ভালো মেমোরি কার্ড কখনোই কোনো সমস্যা করে না।

 

শেষ কথা

 

তো প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্ট এ আপনারা জানলেন, ভালো মেমোরি কার্ড চেনার উপায়, কিভাবে ভালো মেমোরি কার্ড কিনবেন ইত্যাদি বিষয়। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের কাছে অনেক টা ভালো লেগেছে।

ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমাদের। আর এরকম সব পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই ওয়েব সাইট টি তে। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।

 

Leave a Comment