হ্যালো প্রিয় ভিজিটর গণ, আশা করি সকলে অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।
সূচিপত্র
মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স
মানুষের জীবন আরও সহজ ও সুন্দর করে তুলতে মোটর সাইকেলের ভূমিকা অপরিসীম। মোটর সাইকেল এমন একটি বাহন যা ব্যবহার করে খুব সহজে আপনি আপনার গন্তব্য পৌছাতে পারবেন। মোটর সাইকেল কেনার পর প্রথম কাজ হল মোটর সাইকেলের ড্রাইভিং করা, আমরা দেখাব মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ও নবায়ন করার নিয়ম।
অনেক টাকা দিয়ে মোটর সাইকেল কেনার পর অল্প কিছু টাকার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স করে ফেলাটায় ভাল হবে, কারণ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটর সাইকেল চলানো আইননত দণ্ডনীয়। সে জন্য আপনাকে মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ও নবায়ন করার নিয়ম ভাল ভবে জানতে হবে।
আরো পড়ুন : বিয়ের বায়োডাটা লেখার নিয়ম ।
মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম
মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে বাংলাদেশে প্রবর্তিত আইন ও নিয়ম কানুন মেনে করতে হবে। তবে বাংলাদেশে মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সময় লেগে যায়। লাইসেন্স করার আগে সঠিক নিয়ম মেনে আবেদন করতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য যোগ্যতা
• পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য বয়স ন্যূনতম ২০ বছর।
• অপেশাদার এর জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে।
• ন্যাশনাল আইডি কার্ড / জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
• আবেদনকারীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।
•ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যে ভাবে আবেদন করবেন।
যেভাবে মোটর সাইকেল এর ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন
আপনাকে সর্বপ্রথম লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে আবেদন করতে হবে। স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সহ যেমন বিদ্যুৎ অথবা গ্যাস বিলের ফটোকপি ইত্যাদি পেশ করে বিআরটিএর সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।
১.অনলাইনে ফরমে আবেদন করতে হবে।
২. রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক শারীরিক সুস্থতার মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩. ন্যাশনাল আইডি কার্ড/জন্ম সনদ/পাসপোর্ট সত্যায়িত ফটোকপি।
৪. নির্ধারিত ফি (১ ক্যাটাগরি-৩৪৫/- ও ২ ক্যাটাগরি ৫১৮/- টাকা) বিআরটিএর নির্ধারিত ব্যাংকে (ব্যাংকের তালিকা www.brta.gov.bd-এ পাওয়া যাবে) জমার রশিদ।
৫. সদ্য তোলা ৩ কপি স্ট্যাম্প ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
ক্যাটাগরি-১: ৩৪৫ টাকা শুধু মোটর সাইকেল বা শুধু হালকা মোটরযান।
ক্যাটাগরি-২: ৫১৮ টাকা মোটর সাইকেলের সাথে যে কোন একধরণের মোটর যান।
লিখিত, মৌখিক এবং ফিল্ড টেস্ট তিনটি পরীক্ষায় আলাদা ভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর নতুন আরেকটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। স্মার্টকার্ড প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যে সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন
১. নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২. রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩. ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি।
নির্ধারিত ফি (পেশাদার- ১৬৭৯/- ও অপেশাদার ২৫৪২/- টাকা) বিআরটিএর নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
৪. পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
৫. সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
তো ভিজিটর গণ আশা করি পোস্ট টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর এরকম পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই সাইট টি। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।