সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ১ম পত্র বইয়ের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে কথা বলবো।
আজকে সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন এবং তার উত্তর থাকবে আপনাদের জন্য। এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।
সূচিপত্র
সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সামনেই বছরের ফেব্রুয়ারীর শেষের দিকে বা মার্চের মাঝামাঝি এসএসসি ২০২৩ পরিক্ষা শুরু হবে। আবার এই বছরের সামনের মাস থেকেই সকল স্কুলে ফাইনাল পরিক্ষা শুরু হবে। তো সেই সকল পরিক্ষার প্রস্তুতির জন্য আজকে সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন এবং তার উত্তর দেওয়া হলো।
সুভা গল্পের লেখক পরিচিতি
সুভা গল্পটি লিখেছেন এশীয়ার সর্ব প্রথম নোবেল প্রাপ্ত লেখক/কবি রবিন্রনাথ ঠাকুর। রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর ৭ই মে, ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে (২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ) ভারতের কলকাতার জোড়াসাঁকোতে জন্ম গ্রহণ করেন। রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছন্দনাম হলো ভানুসিংহ ঠাকুর।
তার পিতার নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, মায়ের নাম সরদা দেবী এবং তার পিতামহের নাম প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাল্যকালে ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, বেঙ্গল একাডেমী, নার্মাল স্কুল প্রভৃতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়ন করলেও স্কুলের পাঠ শেষ করতে পারেন নি। কারণ তার স্কুলের পাঠ পছন্দ হতো না।
১৭ বছর বয়সে ইংল্যান্ডে ব্যারিস্টারি পড়তে গেলেও সেই কোর্স ও সম্পূর্ণ হয় নি। তবে গৃহশিক্ষকের নিকট হতে তার সকল জ্ঞানার্জনের কোনো ত্রুটি হয় নি। রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর তার জীবনাকালে নানা কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস, নাটক, গল্পগ্রন্থ, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহীনী রচনা করেছেন।
তার “গীতাঞ্জলি” কাব্যগ্রন্থের জন্য প্রথম এশীয় হিসেবে ১৯১৩ সালে তিনি নোবেল পুরষ্কার পান। এছাড়াও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯১৩ সালে ডি-লিট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৩৬ সালে এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৪০ সালে তিনি ডি-লিট পুরষ্কার পান। ৭ই আগস্ট, ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে (২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে) তিনি মারা যান।
আরো পড়ুনঃ জিপিএফ ব্যালান্স চেক করার নিয়ম ২০২৩
সুভা গল্পের কয়েকটি জরুরী সৃজনশীল প্রশ্ন এবং সেগুলোর উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন – ১
প্রমিতা ভালো গান করে সকল পর্যায়ে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। তাকে নিয়ে তার পরিবারের অনেক গর্ব। হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় বাকশক্তি হারিয়ে ফেলে সে। গান গাওয়া বন্ধ হয়ে যায় প্রমিতার। একসময় যারা তার বন্ধু ছিলো তারা একে একে কেটে পড়ে। আজ তার পাশে কেউ নেই। সেও ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। সবার থেকে চোখের আড়ালে হয়ে একাকিত্বকে সঙ্গী করে দিন কাটে তার। (ঢাকা বোর্ড ২০২২)
ক. প্রতাপ সুভার মর্যাদা বুঝত কেন?
খ. সুভাকে সুভার মা বিধাতার অভিশাপ মনে করে কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের প্রমিতার নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে সুভার মানসিকতার কোন দিক প্রকাশিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. প্রমিতা ও সুভার প্রতি পরিজনদের আচরণ কীরূপ হলে তাদের জীবনের পরিণতি ভিন্ন হতে পারতো? যৌক্তিক মতামত দাও।
সুভা গল্পের ১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. ছিপ ফেলে মাছ ধরার সময় বাকাহীন সঙ্গীই সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ বলে প্রতাপ সুভার মর্যাদা বুঝত।
খ. কথা বলতে পারত না বলে সুভাকে তার মা বিধাতার অভিশাপ মনে করেন।
সুভা গল্পের সুভা জন্ম থেকেই বোবা। তার অনুভব ও অনুভূতি থাকলেও মা তাকে মেনে নিতে পারেনি। সে সুভাকে তার গর্ভের কলঙ্ক মনে করত। কারণ মায়েরা কন্যা-সন্তানকে নিজেদের অংশ মনে করে। ফলে মেয়ের কোনো সমস্যা বা ত্রুটিকে মায়েরা তাদের নিজেদের ত্রুটি বলে ধরে নেয়। সুভার মায়ের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। সুভা কথা বলতে পারত না বলে সুভার মা তাকে বিধাতার অভিশাপ বলে মনে করত। সে নিজের ত্রুটির কথা স্মরণ করে সুভাকে দেখলে বিরক্তি বোধ করত।
গ. উদ্দীপকের প্রমিতার নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে সুভার নিজেকে বিধাতার অভিশাপ মনে করে সবার কাছ থেকে আড়াল করার মানসিকতার দিকটি প্রকাশিত হয়েছে।
শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধিতার কারণে মানুষ পরিবার ও সমাজের নানা অবহেলার শিকার হয়। তাদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির ফলে তারাও নিজেদেরকে গুটিয়ে নেয়। অথচ তাদের প্রতি সহনশীল ও স্বাভাবিক আচরণ করা উচিত। উদ্দীপকে প্রমিতার হঠাৎ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলা এবং সেই কারণে পরিবার ও সমাজের লোকজনের অবহেলার শিকার হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
এখানে প্রমিতা দুর্ঘটনায় পড়ার আগে ভালো গান করে সুনাম অর্জন করলেও বাক্শক্তি হারানোর পর ধীরে ধীরে পরিবারের অন্যদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কেউ তাকে আর আগের মতো ভালোবাসে না। সবার অবহেলার কারণে সেও নিজেকে গুটিয়ে নেয়।
এই দিক দিয়ে সুভা গল্পের, সুভার সঙ্গে প্রমিতার মিল রয়েছে। সুভা বাক্প্রতিবন্ধী কিশোরী। জন্ম থেকেই সে কথা বলতে পারত না বলে তার মা তাকে গর্ভের কলঙ্ক মনে করত। তার বয়সী ছেলে-মেয়েরা তার সঙ্গে মিশতে চাইত না। প্রতিবেশীরা তার সামনেই তার ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা কথা বলে। এসব কারণে সে নিজেকে সবার কাছ থেকে আড়াল করে রাখত। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের প্রমিতার নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে সুভার নিজেকে বিধাতার অভিশাপ মনে করে নিজেকে আড়াল করার মানসিকতার দিকটি প্রকাশিত হয়েছে।
ঘ. আমার মতে, প্রমিতা ও সুভার প্রতি পরিজনদের আচরণ সহনশীল ও স্বাভাবিক হলে তাদের জীবনের পরিণতি ভিন্ন হতে পারত।
আমাদের সমাজ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের প্রতি স্বাভাবিক আচরণ করে না এবং সহানুভূতি দেখায় না। আমরা পরিবারের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষকে নানাভাবে অবহেলা করি। এতে তারা আরও বেশি কষ্ট পায়। আমাদের উচিত তাদের প্রতি সহনশীল ও স্বাভাবিক আচরণ করা।
সুভা গল্পের, সুভা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক কিশোরী। সে কথা বলতে না পারলেও সবকিছু বুঝতে পারে। তার অনুভূতি সে প্রকাশ করে চোখের ভাষায় ও কাজের মাধ্যমে। অথচ সে পরিজনদের কাছ থেকে স্বাভাবিক আচরণ পায় না। তার মা তাকে নিজের গর্ভের কলঙ্ক মনে করে দূরে সরিয়ে রাখে, সহ্য করতে পারে না। তার বয়সী ছেলে-মেয়েরাও তার সঙ্গে মেশে না। প্রতাপও ছিপ ফেলে মাছ ধরার সময় একজন মৌন সঙ্গী ছাড়া সে তাকে অন্য কিছূই ভাবে না। উদ্দীপকের প্রমিতাও অনুরূপ অবহেলার শিকার। সে দুর্ঘটনায় পড়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলায় ধীরে ধীরে পরিবারের সবাই তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। বন্ধুরাও তাকে ছেড়ে চলে যায়।
সুভা গল্পের, সুতা ও উদ্দীপকের প্রমিতা তাদের পরিজনদের দ্বারা অবহেলার শিকার হয়েছে। এটা তাদের জন্য আরও কষ্টের বিষয়। পরিবার-পরিজনদের সহায়তা ও সহানুভূতি পেলে তারা সমাজের অন্য সব স্বাভাবিক মানুষের মতো বাঁচার স্বপ্ন দেখত। আশাহত হয়ে নিজেদের গুটিয়ে নিত না। কারণ বিশেষ চাহিদাসম্পন্নরা যদি তাদের কাছের মানুষদের দ্বারা অবহেলার শিকার না হয়ে তাদের যথাযথ সহানুভূতি লাভ করে, তখন তাদের নিজেদের জীবনকে এতটা দুঃসহ মনে করত না। ফলে তাদের জীবনের পরিণতি ভিন্ন হতে পারত।
সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ২
অণুর মা ডাক্তারের দৃষ্টি অনুসরণ করে বলে উঠল, আপনি বলুন ডাক্তার বাবু, আপনি বলুন। ও হতভাগী কালা-বোবা। সকলের মুখে ফুটে উঠল অদ্ভুত অভিব্যক্তি, বিস্ময়, করুণা, হয়তো কিছুখানি তামিলা আছে তার মধ্যে। ডাক্তারের মুখে তার প্রকাশ সবচেয়ে কম। এ সন্দেহ তার হয়েছিল।
ক. সুভাকে প্রতাপ কী বলে ডাকত?
খ. “কিন্তু তাহার পদশব্দ তাহারা চিনিত”- বাকাটির প্রাসঙ্গিকতা ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের অণুর মা “সুভা” গল্পের কোন চরিত্রকে নির্দেশ করে। ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটির সাথে “সুভা” গল্পের মিল থাকলেও তা সুভা গল্পের সম্পূর্ণ ভাবকে প্রকাশ করতে পারে নি – মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।
সুভা গল্পের ২ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. প্রতাপ সুভাকে “সু” বলে ডাকত।
খ. গোয়ালের গাভী দুটির সাথে সুভার সম্পর্ক বোঝাতে প্রশ্নোক্ত বাক্যটি ব্যবহৃত হয়েছে।
সুভা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক বালিকা। সে কথা বলতে পারে না বলে তার কোনো বন্ধু বা সাথি নেই। তার সমবয়সী সবাই তাকে এড়িয়ে চলে। সুভা তাই তাদের গাভী সর্বশী ও পাঙ্গুলির সাথে সখ্য গড়ে তোলে। তারা সুভার মুখে কখনো কথা শোনেনি কিন্তু তার পায়ের শব্দ তারা চেনে। সুভার না বলা কথাগুলো এরা সহজে বুঝতে পারে, যা সমাজের স্বাভাবিক মানুষ বুঝাতে চাইত না। লেখক এখানে বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের অনুভূতির তীব্রতার দিকটি উন্মোচন করেছেন।
গ. উদ্দীপকের বোবা মেয়েটির মা ‘সুভা’ গল্পের সুভার মাকে নির্দেশ করে। আমাদের সমাজে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের প্রতি সচরাচর কেউ সহানুভূতি দেখায় না। ফলে তারা অবহেলার শিকার হয়। এতে তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ নষ্ট হয়। ফলে তারা সমাজে নানাভাবে উপেক্ষিত থাকে।
উদ্দীপকে একটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মেয়ের কথা বলা হয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় সে সবার অবহেলার শিকার। এখানে মায়ের কথায় অণুর প্রতি তাচ্ছিল্য তার প্রকাশ পেয়েছে। ‘সুভা’ গল্পের সুভাও সবার অবহেলার শিকার হয়েছে। বাকপ্রতিবন্ধী সুভার মা তার গর্ভের কলঙ্ক মনে করত। সুভার প্রতি তার আচরণ ছিল বিরক্তিপূর্ণ। উদ্দীপকের বোবা-কালা আনুর প্রতি তার মায়ের আচরণ ও অভিব্যক্তি সুভার প্রতি তার মায়ের আচরণকে মনে করিয়ে দেয়। এভাবে উদ্দীপকের অণুর মা এর সাথে সুভা গল্পের সুভার মাকে নির্দেশ করেছে।
ঘ. মিল থাকলেও উদ্দীপকে সুভা গল্পের সম্পূর্ণ ভাব প্রতিফলিত হয়নি – মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্নরা আমাদের মতোই মানুষ। আমাদের উচিত তাদের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করা উচিত।
সুভা গল্পের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোরী সুভা কথা বলতে পারে না, কিন্তু সবকিছু বুঝতে পারে। তার অনুভূতি সে চোখের ভাষায় এবং কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করে। অথচ অন্যরা তাকে মনে করে যে, সে কিছুই বুঝতে পারে না। ফলে তারা সুভার সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করে না।
উদ্দীপকের প্রতিবন্ধী মেয়ে আনুর সঙ্গে অন্যদের ব্যবহারও অনুরূপ। আনুর মা ডাক্তারের কাছে মেয়ের কথা বলতে গিয়ে মেয়েকে হতভাগী ও কালা-বোবা বলেছে। এতে তার মনের ক্ষোভ ও আক্ষেপ প্রকাশ পেয়েছে। এ দিক থেকে সুভা গল্পের সুভার মায়ের সঙ্গে মিল রয়েছে। আর প্রতিবন্ধী সুভার সঙ্গে আনুর প্রতি আচরণও সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সুভা গল্পের বাকপ্রতিবন্ধী সুভার প্রতি লেখকের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ও গভীর মমতা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি এখানে প্রতিবন্ধী মানুষের আশ্রয়ের জন্য একটি মানবিক জগৎ তৈরির প্রয়াস করেছেন। প্রকৃতির সঙ্গে সুভার সম্পর্ক, সুভার প্রতি সমবয়সীদের ও প্রতাপের অবহেলা, সুভাকে তার মায়ের নিজের ত্রুটিস্বরূপ মনে করা ইত্যাদি বিষয় উদ্দীপকে নেই। এসব দিক বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ৩
জাহেদী সাহেব প্রতিবন্ধীদের জন্য মুসা মিয়া প্রতিবন্ধী স্কুল ও তাদের কর্মসংস্থানের জন্য কিংশুক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। সংগঠনটি প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জনমত গঠন করে। তিনি মনে করেন প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয় বরং সম্পদ।
ক. প্রকৃতি সুভার কিসের অভাব পূরণ করে দেয়?
খ. মা সুভাষিণীকে নিজের ত্রুটিস্বরূপ দেখতেন কেন?
গ. উদ্দীপকের জাহেদী সাহেব সুভা গল্পের কোন দিকটি উন্মোচন করেছেন তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয় বরং সম্পদ” – উক্তিটি উদ্দীপক ও গল্পের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ৪
বাবা-মা হারা রেজা তার চাচা আমজাদ সাহেবের কাছে থাকে। রেজার একটি হাত ও একটি পা নেই। তবু সে থেমে থাকে না। ক্লাসে ভালো ফলাফল করায় শিক্ষকগণ তাকে স্নেহ করেন। সহপাঠীরা তাকে সহযোগিতা করে। তবে কেউ কেউ তাকে নিয়ে তামাশা করে। ফলে অনেক সময় মন খারাপ হয়। চাচা তাকে বলে, “মন খারাপ করো না, এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে তুমি সবাইকে দেখিয়ে দাও যে তুমিও পার।”
ক. সুভার মা সুভার প্রতি বিরক্ত ছিলেন কেন?
খ. সুভা মনে মনে বিধাতার কাছে অলৌকিক ক্ষমতা প্রার্থনা করত কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের রেজার সাথে সুভা গল্পের সুভার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সুভার বাবা-মায়ের মানসিকতা যদি রেজার চাচার মতো হতো তবে সুভার পরিণতি অন্য রকম হতে পারত- উত্তিটি বিশ্লেষণ কর।
সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ৫
মেঘনার তীরবর্তী গ্রামে বেড়ে ওঠা দুরন্ত কিশোর জুনায়েদ দশম শ্রেণির ছাত্র। ক্লাসে সবচেয়ে প্রাণবন্ত ও অসম সাহসী এ কিশোর। সবকিছুতে তার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। খেলাধুলা, বন্ধুদের সাথে দুষ্টুমি কোনো কিছুতে সে পিছিয়ে নেই। হঠাৎ একদিন সড়ক দুর্ঘটনায় সে তার একটি পা হারায়। এতে সে মানসিকভাবে পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। পড়ালেখায় মন দিতে পারছে না। তার সর্বদা মনে হতে লাগল। এখন আর পড়ালেখা করে কী লাভ হবে? কিন্তু তার সহপাঠীরা তাকে উৎসাহ ও সাহস দিয়ে আবার প্রাণচঞ্চল করে তোলে। সে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। সকলে তার সফলতায় খুশি হয়।
ক. সুভা কার কাছে মুক্তির আনন্দ পায়?
খ. মা সুভাষিণীকে নিজের ত্রুটিস্বরূপ দেখতেন কেন?
গ. উদ্দীপকের জুনায়েদের মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার দিকটি সুভা গল্পের সুভার সঙ্গে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের সহপাঠীদের মতো মানসিকতা থাকলে সুভা গল্পের সুভার পরিবারকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হতো না- মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা সৃজনশীল ৩ থেকে ৫ পর্যন্ত সকল সৃজনশীল গুলোর প্রশ্নের উত্তর নিজে থেকে লিখার চেষ্টা করো। প্রয়োজনে পাঠ্য বইয়ের সহায়তা নিতে পারো।
শেষ কথাঃ
আজকের এই পোস্ট এ আপনারা সুভা গল্পের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল এবং সেগুলোর উত্তর জানলেন। আমি চেষ্টা করেছি সহজ শব্দের প্রয়োগ করে আপনাদের নিকট সঠিক উত্তর তুলে ধরার। আশা করি ভালো করে পড়লে খুব সহজেই এই সৃজনশীল গুলো বুঝতে পারবেন। আর আপনারা কোন বিষয়ে সাজেশন চান তা কমেন্ট করে জানাবেন।