হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।
সূচিপত্র
সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম
বর্তমানে শিক্ষার পরিবর্তন এবং নতুন উন্নতির দিক থেকে তৈরি হয়েছে নতুন প্রশ্নের প্রকল্প যাকে সৃজনশীল বলা হয়। সৃজনশীল এ মূলত ক, খ, গ, ঘ ৪ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় যেখানে মার্ক ১, ২, ৩, ৪ করে কাউন্ট করা হয় (গণিত বাদে)। তো সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার একটি নিয়ম থাকে।
যদি সঠিক নিয়মে সৃজনশীল প্রশ্ন লেখা হয় তবে একটি সৃজনশীল এ ৮-৯ মার্ক পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাংলা ১ম পত্র, ধর্ম, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, জীব বিজ্ঞান ইত্যাদি তে সৃজনশীলে মার্ক তোলা খুব কঠিন হয়। কেননা এখানে ৭ টি সৃজনশীল লিখতে হয় (জীব বিজ্ঞানে ৫ টি)।
তো এখানে সব থেকে বেশি লেখা লেখি করতে হয় ফলে সৃজনশীল লেখায় অনেকটা কঠিন হয়ে যায়। তবে রসায়ন, পদার্থ বিজ্ঞান, গণিত সাব্জেক্ট গুলোতে কিছু অংক থাকায় এগুলো থেকে অনেক সহজেই মার্ক তোলা যায়। কিন্তু বাকি গুলোতে সৃজনশীল সঠিক নিয়মে না লিখলে মার্ক তোলা সম্ভব হয় না।
এর ফলে অনেক শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলে ভালো মার্ক তুলতে পারে না। তো আজকে আমি আপনাদের সাথে সৃজনশীল লেখার নিয়ম শেয়ার করবো। তো চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার সঠিক নিয়ম
আগেই বলেছি সৃজনশীলে মোট ৪ টি প্রশ্ন থাকে (ক, খ, গ, ঘ) এগুলো সঠিক ভাবে লিখলে ভালো মার্ক তুলতে পারবেন। এই ৪ টি প্রশ্নে যেমন ভিন্ন ভিন্ন মার্ক থাকে তেমনি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে সেগুলো লিখতে হয়। এর ফলে ভালো নাম্বার পাওয়া যাবে। তো চলুন নিচে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লেখার সঠিক নিয়ম দেওয়া হলো।
“ক” সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম
সৃজনশীল এর “ক” প্রশ্ন গুলো সাধারণত হয় ছোট প্রশ্ন। দেখে সহজ মনে হলেও এই প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্যও অনেক পরিশ্রম করতে হয়। এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর লেখার জন্য উক্ত অধ্যায় টি ভালো ভাবে পড়তে হয়। কেননা কখন কোন যায়গ থেকে এই “ক” প্রশ্ন করে বসবে তা বোঝা মুশকিল। তাই উক্ত অধ্যায়ের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ লাইন ভালোভাবে পড়তে হবে।
এই “ক” প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য বানিয়ে কোনো কিছু লেখার দরকার নেই। এর জন্য সঠিক উত্তর যেটা সেটাই লিখতে হবে। যদি সেটা ১ লাইনের হয় তবে সেটাই যথেষ্ট। এখানে বানিয়ে কিছু লিখার দরকার নেই।
আর যদি এই প্রশ্নের উত্তর যদি না জানেন তবে সেইম প্রশ্নের বাকি গুলোর উত্তর জানেন তবে এই “ক” বাদ দিয়ে অন্যগুলো লিখবেন। না পারলে বানিয়ে উলটা পালটা লিখবেন না। এতে পরের প্রশ্নের উপর ব্যাড ইফেক্ট পরবে।
“খ” সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম
সৃজনশীল এর খ প্রশ্নের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে একটি বিষয় ফলো করবেন যে এই প্রশ্ন টি মোট ২ টি প্যারাতে লিখবেন। প্রথম প্যারাতে প্রশ্নের জন্য মেইন যে লাইন টি হবে সেটা লিখে দিবেন। এরপর ২য় প্যারাতে গিয়ে মেইন যে লাইন লিখেছেন সেটার উপর ভিত্তি করে বইয়ের যেখান থেকে এটা লিখছেন সেখান থেকে মেইন ৬-৭ লাইন লিখে দিবেন।
চেষ্টা করবেন যে, সৃজনশীল এর ক এবং খ এর উত্তর সর্বদা ১ পেইজ এ শেষ করার। তবে চাইলে খ একটু বড় করতে পারেন। তবে ১ পেজ এ শেষ করলে সেটা একটি প্যাটার্ন হিসেবে থাকবে।
“গ” সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম
সৃজনশীল এর গ এর উত্তর লেখার জন্য ৪ টা প্যারা লিখতে হবে। এই প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য প্রথম প্যারাতে প্রশ্নের উত্তরে যেটা চেয়েছে সেটার মেইন লাইন লিখবেন এবং এটাকে ২-৪ লাইন পর্যন্ত লিখবেন।
এরপর ২য় প্যারাতে উদ্দীপক টি পড়ার পর যেটা বুঝেছেন সেটা ভালো করে লিখবেন। এবং এই প্যারা টিকে সর্বোচ্চ ১ পেজ পর্যন্ত লিখবেন। তবে পূরো উদ্দীপক হুবহু তুলে দিবেন না। এতে মার্ক কম পাবেন।
এরপর ৩য় প্যারাতে উদ্দীপকের সাথে পাঠ্য বিষয়ের সাথে যেটা মিলে যায় সেটা লিখবেন (প্রশ্নে যদি সাদৃশ্য চায়) বা যা মিলে না তা লিখবেন (প্রশ্নে বৈসাদৃশ্য চাইলে)। এটাকেও সর্বোচ্চ ১ পেজ লিখবেন।
এরপর ৪র্থ প্যারাতে গিয়ে উদ্দীপক এবং ৩য় প্যারাতে যা লিখেছেন সেটা নিয়ে ছোট করে সংক্ষিপ্ত ভাবে লিখে দিবেন, এবং মধ্য একটি ছোট্ট নীতিবাক্য দিবেন এবং পরিশেষে শেষবাক্য দিয়ে গ নাম্বার লিখা শেষ করবেন।
আরো পড়ুনঃ শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন এবং উত্তর
“ঘ” সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম
সৃজনশীল এর ঘ এর উত্তর লেখার জন্য ৫ টা প্যারা লিখতে হবে। এই প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য প্রথম প্যারাতে প্রশ্নের উত্তরে যেটা চেয়েছে সেটার মেইন লাইন লিখবেন এবং এটাকে ২-৪ লাইন পর্যন্ত লিখবেন।
এরপর ২য় প্যারাতে প্রশ্নে যা চেয়েছে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে উদ্দীপক এবং পাঠ্য বই থেকে বুঝে নিতে হবে বিষয়টা কী ধরণের। এরপর সেই ধরণ অনুযায়ী কয়েকটা নীতিবাক্য লিখতে হবে। (জীব বিজ্ঞান এবং সমাজে এটা করা যাবে না। এটা শুধু বাংলা এবং ধর্মের জন্য বেশি প্রযোজ্য)
এরপর ৩য় প্যারাতে উদ্দীপক টি পড়ার পর যেটা বুঝেছেন সেটা ভালো করে লিখবেন। এবং এই প্যারা টিকে সর্বোচ্চ ১.৫ পেজ পর্যন্ত লিখবেন (১ম ও ২য় প্যারা সহ)। তবে পূরো উদ্দীপক হুবহু তুলে দিবেন না। এতে মার্ক কম পাবেন।
এরপর ৪য় প্যারাতে উদ্দীপকের সাথে পাঠ্য বিষয়ের সাথে যেটা মিলে যায় সেটা লিখবেন (প্রশ্নে যদি সাদৃশ্য চায়) বা যা মিলে না তা লিখবেন (প্রশ্নে বৈসাদৃশ্য চাইলে)। এটাকেও সর্বোচ্চ ১.৫ পেজ লিখবেন।
এরপর ৪র্থ প্যারাতে গিয়ে উদ্দীপক এবং ৩য় প্যারাতে যা লিখেছেন সেটা নিয়ে ছোট করে সংক্ষিপ্ত ভাবে লিখে দিবেন, এবং মধ্য একটি ছোট্ট নীতিবাক্য দিবেন এবং পরিশেষে শেষবাক্য দিয়ে ঘ নাম্বার লিখা শেষ করবেন।
এভাবে যদি আপনারা এই সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম গুলো ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সৃজনশীল এ ভালো নাম্বার পেয়ে যাবেন। আর আপনারা ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখেবেন গাইডের সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম ও একই নিয়মে লিখা হয়েছে। তাই বেশি বেশি প্র্যাক্টিস করবেন সৃজনশীল লেখার। আর সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম একটু ভালো করে ফলো করবেন।
শেষ কথা
তো প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্ট এ আপনারা জানলেন, সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম, কিভাবে সৃজনশীল প্রশ্ন লিখতে হয় ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের কাছে অনেক টা ভালো লেগেছে।
ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমাদের। আর এরকম সব পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই ওয়েব সাইট টি তে। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।