হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।
সূচিপত্র
সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদের বইয়ের পাঠ্য বিষয় বস্তুর মধ্য অন্যতম ও প্রয়োজনীয় হলো সোনার তরী কবিতা। সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর নিচে কয়েকটি দেওয়া হলো। আশা করি সেগুলো তোমাদের কাজে লাগবে। নিচে বাছাই করা কিছু প্রয়োজনীয় এবং যে বিষয় থেকে বেশি প্রশ্ন করা হয় এটা থেকে সেগুলোর অংশ বিশেষ দেওয়া হলো।
সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল – ১
ওগাে মা, রাজার দুলাল গেল চলি মাের ঘরের সমুখপথে,
প্রভাতের আলাে ঝলিল তাহার স্বর্ণশিখর রথে।
ঘােমটা খসায়ে বাতায়ন থেকে
নিমেষের লাগি নিয়েছি, মা, দেখে
ছিড়ি মণিহার ফেলেছি তাহার পথের ধুলার ‘পরে।
মা গাে, কী হল তােমার, অবাক নয়নে চাহিস কীসের তরে?
মাের হার ঘেঁড়া মণি নেয় নি কুড়ায়ে,
রথের চাকায় গেছে সে গুড়ায়ে
চাকার চিহ্ন ঘরের সমুখে পড়ে আছে শুধু আঁকা।
আমি কী দিলেম কারে জানে না সে কেউ, ধুলায় রহিল ঢাকা।
ক, ‘সােনার তরী’ কবিতায় সােনার ধান কী?
খ, ব্যক্তি মহাকালের নিষ্ঠুর কালগ্রাসের শিকার হন কেন?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সােনার তরী’ কবিতার বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর।
ঘ, “উদ্দীপকের কবিতাংশের সঙ্গে ‘সােনার তরী’ কবিতার বৈসাদৃশ্য থাকলেও ব্যক্তির জীবনের বেদনার সুর | অভিন্ন।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ
ক উত্তরঃ ‘সােনার তরী‘ কবিতায় সােনার ধান হলাে কৃষকের শ্রেষ্ঠ ফসল। ব্যঞ্জনার্থে শিল্পস্রষ্টা কবির সৃষ্টিসম্ভার।
খ উত্তরঃ নিয়তির অমােঘ বিধানে মহাকালের নিষ্ঠুর কালগ্রাসের শিকার হন ফসল উৎপাদনকারী কৃষক তথা ব্যক্তি। মহাকালের চিরন্তর স্রোতে মানুষ অনিবার্য সত্য মৃত্যুকে এড়াতে পারে না। মানুষ চলে যায়, শুধু তার কর্ম টিকে থাকে।
সােনার তরী’ কবিতায় একটি ছােট ধানখেত, চারপাশে প্রবল স্রোতের বিস্তার, সােনার ধান নিয়ে কৃষক একাকী বসে আছে এক অতৃপ্তির বেদনা নিয়ে মহাকালের শূন্যতায় বিলীন হওয়ার জন্য। এ কবিতায় অন্তর্লীন হয়ে আছে কবির জীবনদর্শন। মহাকালের চিরন্তন স্রোতে মানুষ অনিবার্য পরিণতি মৃত্যুকে এড়াতে পারে না।
সারকথা : ব্যক্তির সৃষ্টিকর্ম মহাকাল গ্রহণ করলেও ব্যক্তিকে তথা কৃষককে স্থান দেয় না।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সােনার তরী’ কবিতার বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান। কারণ কবিতায় সােনার তরিতে কৃষকের ফসল স্থান পায় কিন্তু কৃষকের সেখানে স্থান সংকুলান হয় না। আর উদ্দীপকে ব্যক্তি নয়, ব্যক্তির মূল্যবান উপহারও রথে স্থান পায়নি।
মানুষের জীবন না-পাওয়ার যন্ত্রণায় বেদনাহত। তবু সেই জীবনের গতিস্রোত থেমে নেই। বিলীনের ক্রমাগত স্রোত বয়ে চলছে। উদ্দীপকে রাজার দুলাল রথে চড়ে ঘরের সমুখ দিয়ে চলে গেছে। তাকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া উপহার ‘মণিহার’ সে কুড়িয়ে নেয়নি এবং কে তা ফেলল তারও খোজ করেনি।
হার ঘেঁড়া মণি ধুলােতেই পড়ে থাকে, রথ চলে যায়। শুধু রথের চাকার চিহ্ন রয়ে যায় । এই দিকটির বিপরীত চিত্র পাওয়া যায় ‘সােনার তরী’ কবিতায়। সেখানে কৃষক তার উৎপাদিত ফসল নিয়ে অপেক্ষা করে। সােনার তরি এসে তার সমস্ত ফসল তুলে নিয়ে যায়, তাকে নেয় না। এভাবে উদ্দীপকটি ‘সােনার তরী’ কবিতার সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
সারকথা : উদ্দীপকের রাজার দুলালের কর্মকাণ্ড এবং কবিতার মাঝির কর্মকাণ্ড বিপরীতমুখী, ফলে তা বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ও ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক না কেনো আপনি যাতে উত্তর করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের কবিতাংশের সঙ্গে ‘সােনার তরী’ কবিতার বৈসাদৃশ্য থাকলেও ব্যক্তির জীবনের বেদনার সুর অভিন্ন।”- মন্তব্যটি যথার্থ।
নশ্বর পৃথিবীতে মানুষের কর্ম অবিনশ্বর। মহৎ সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমেই মানুষ জগতে অমরত্বের অধিকার লাভ করে। উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সােনার তরী’ কবিতার বৈসাদৃশ্য আছে। কবিতার মূলভাবটি উদ্দীপকে পাওয়া যায় না। কারণ মহাকালের চিরন্তন। স্রোতে মানুষ অনিবার্য বিষয় মৃত্যুকে এড়াতে পারে না।
তাই মানুষ চলে যায় পৃথিবী থেকে, কেবল টিকে থাকে তার মহৎ সৃষ্টিকর্ম। এই বিষয়টি উদ্দীপকে প্রকাশ পায়নি। সেখানে শুধু প্রকাশ পেয়েছে যে, রাজার দুলালকে দেওয়া উপহার ধুলায় ঢাকা পড়েছে। সে হার ছেড়া মণি কুড়ায়নি, চলে গেছে। উদ্দীপকে বহুমূল্য হার ঘেঁড়া মণি পথের ধুলােয় পড়ে থাকে।
রাজার দুলাল তা না কুড়িয়ে রথে মাড়িয়ে চলে যায়। তার এভাবে চলে যাওয়া ‘সােনার তরী’ কবিতার মাঝির কৃষককে শূন্য নদীর তীরে একা ফেলে যাওয়ার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এখানে কৃষক যে নির্মমতার শিকার তার প্রতিফলন ঘটেছে উদ্দীপকে পথের পাশে বাতায়নে বসে থাকা ব্যক্তির মাঝে।
দুজনই কালের মহাগ্রাসের জন্য অপেক্ষমাণ । এজন্যই বলা হয়েছে, উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সােনার তরী’ কবিতার বৈসাদৃশ্য থাকলেও ব্যক্তির জীবনের বেদনার সুর অভিন্ন।
আরো পড়ুনঃ একুশের কবিতা ২০২৩
সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল – ২
মহাকাল ধরে যাহা জরাজীর্ণ, দীর্ণ, পুরাতন
কালজয়ী সেই সত্য,
যাহা নিত্য ক্ষয়হীন দীপ্ত চিরন্তন।
কীর্তি, যার সুমহান, সত্য-পূত যার মহাপ্রাণ
মৃত্যু যারে শ্রদ্ধাভরে এনে দেয় প্রচুর সম্মান।
ক, ‘সােনার তরী’ কবিতায় মাঝি কিসের প্রতীক?
খ, মাঝি কৃষককে একা রেখে চলে যায় কেন?
গ. ‘সােনার তরী’ কবিতার সঙ্গে উদ্দীপক কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘সােনার তরী’ কবিতার চরিত্রের অন্তরালে কবি যে গভীর জীবনদর্শন ব্যক্ত করেছেন, উদ্দীপকে তার অনেকাংশই প্রতিফলিত হয়েছে। মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ
ক উত্তরঃ ‘সােনার তরী’ কবিতায় মাঝি নির্মোহ, নিরাসক্ত মহাকালের প্রতীক।
খ উত্তরঃ সােনার ফসলে তরি পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় মাঝি কৃষককে একা রেখে চলে যায়।
কৃষক তার খেতে রাশি রাশি সােনার ধান ফলায়, যা রূপক অর্থে কৃষকের কর্মফল। বৈরী আবহাওয়ায় কৃষক তার সােনার ফসল নিয়ে নিরুপায় হয়ে একা খেতে দাড়িয়ে ছিল। এমন সময় সেখানে এক মাঝির আগমন ঘটে। মাঝি কৃষকের অনুরােধে সােনার ফসল সােনার তরিতে তুলে নেয়।
অর্থাৎ মহাকাল তা গ্রহণ করে। সােনার ফসলে তরি পূর্ণ হয়ে যায়, তাই সেখানে কৃষকের জায়গা হয় না। এ কারণে মাঝি কৃষককে একা রেখে চলে যায় তার সােনার ফসল নিয়ে।
সারকথা : সােনার ধানে তরি পূর্ণ হয়ে যায় বলে মাঝি কৃষককে একা রেখে চলে যায়।
গ উত্তরঃ মহাকাল মানুষের মহৎ কীর্তিকে ধারণ করে বলেই মানুষ মৃত্যুর পরও পৃথিবীর মানুষের কাছে সম্মান লাভ করে। সােনার তরী কবিতার সঙ্গে উদ্দীপকটি এ দিক দিয়েই সাদৃশ্যপূর্ণ।
মানুষ মরণশীল। মৃত্যু স্রষ্টার অমােঘ বিধান এবং প্রাণের স্বাভাবিক ধর্ম। কিন্তু মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মানুষ বিস্মৃত হতে চায় না। কীর্তি দ্বারা মানুষ অমর হতে চায়। কারণ শুধু বয়সে বেঁচে থাকা জীবনের উদ্দেশ্য নয়।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে কোনাে ব্যক্তি ইহকালে জরাজীর্ণ, পুরনাে থাকলেও কর্ম যদি তার সুমহান হয় তাহলে মৃত্যুর পরও সবাই তাকে সম্মান করবে। তখন মহান কীর্তি তার মান-সম্মান আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।
সােনার তরী’ কবিতায় কবিও মানুষের মহৎ কীর্তির কথা বলেছেন। মানুষের মূল্যবান কীর্তিকে পৃথিবীর মানুষ আঁকড়ে ধরে। ফলে কর্মের মাধ্যমে মানুষ মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকতে পারে।
উদ্দীপকে কীর্তি ও কীর্তিমানের স্বরূপ বর্ণনার মাধ্যমে ‘সােনার তরী’ কবিতার এই ভাবটির সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ
সারকথা : মানুষ মরণশীল। কীর্তি দ্বারাই মানুষ অমর হয়। উদ্দীপকের এ বিষয়টি ‘সােনার তরী’ কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে। কবি মনে করেন, মহাকাল মানুষের কীর্তির যে মূল্য দেয়, সেই কীর্তি দ্বারাই মানুষ সম্মানের অধিকারী হয়।
ঘ উত্তরঃ ‘সােনার তরী’ কবিতার চরিত্রের অন্তরালে কবি যে গভীর জীবনদর্শন ব্যক্ত করেছেন, উদ্দীপকে তার অনেকাংশই প্রতিফলিত হয়েছে। মন্তব্যটি যথার্থ।
মানুষ মরণশীল, কিন্তু তার মহৎ কর্ম অমর। মানুষ তার কল্যাণকর কাজের মধ্য দিয়ে জগতে বেঁচে থাকে। জগতের মানুষের জন্য কল্যাণকর কর্ম যদি না থাকে তাহলে মানুষ অমরত্বের দাবি করতে পারে না।
উদ্দীপকে মানুষের কীর্তিটাকে বড় করে দেখা হয়েছে। যে কীর্তি দ্বারা মানুষ মৃত্যুর পরেও সম্মানের অধিকারী থেকে যায়। ‘কীর্তিমানের মৃত্যু নেই’ এই দর্শনটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে। সােনার তরী’ কবিতায় উদ্দীপকের দর্শনটির আংশিক প্রতিফলিত হয়েছে। কারণ কবি মনে করেন, মহাকাল মানুষের মহান কীর্তিকেই ধরে রাখে, মানুষকে রাখে না।
‘সােনার তরী’ কবিতার ভাববস্তু জগৎ-সংসার ও মানবজীবনের নশ্বরতা ও অনিশ্চয়তা। তবু মানুষের জন্য সান্ত্বনা এই যে, মানুষ না বাঁচলেও টিকে থাকে তার মহৎ সৃষ্টিকর্ম। একদিন মানুষকে সব ফেলে নিরুদ্দেশের পথে চলে যেতে হয়। সােনার তরী কবিতার মূল দর্শন এটি। অন্যদিকে উদ্দীপকে কীর্তিমানের মৃত্যু নেই’ এই জীবনদর্শনটি প্রতিফলিত হয়েছে, যা ‘সােনার তরী কবিতার জীবনদর্শনকে আংশিক প্রতীকায়িত করে। এই বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ ।
সারকথা : মহাকালের চিরন্তন স্রোতে মানুষ থাকে না, থাকে তার মহৎ সৃষ্টিকর্ম। এই জীবনদর্শন ‘সােনার তরী’ কবিতা ও উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।
সোনার তরী কবিতার আরো সৃজনশীল
প্রিয় বন্ধুরা উপরে তোমাদের জন্য ২ টি সৃজনশীল প্রশ্ন এবং উত্তর দেওয়া হয়েছে। আর সেই আলোকে নিচে আরো কয়েকটি সৃজনশীল দেওয়া হলো উত্তর ছাড়া। সেইগুলো তোমরা উপরের সৃজনশীল এবং পাঠ্য বইয়ের আলোকে সলভ করার চেষ্টা করবে।
সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল – ৩
মহাকাল ধরে যাহা জরাজীর্ণ, দীর্ণ, পুরাতন
কাল-জয়ী সেই সত্য, যাহা নিত্য ক্ষয়হীন দীপ্ত চিরন্তন।
কীর্তি, যার সুমহান, সত্য-পূত যার মহাপ্রাণ
মৃত্যু যারে শ্রদ্ধাভরে এনে দেয় প্রচুর সম্মান।
ক. ‘সোনার তরী’ কবিতায় মাঝি কিসের প্রতীক?
খ. ‘সোনার তরী’ কবিতায় ক্রষকের প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ হয়েছিল? বুঝিয়ে দাও।
গ. ‘সোনার তরী’ কবিতার মূলভাব উদ্দীপকে কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে?
ঘ. ‘সোনার তরী’ কবিতার চরিত্রের অন্তরালে কবি যে গভীর জীবনাদর্শন ব্যক্ত করেছেন, উদ্দীপকেও তার অনেকাংশ প্রস্ফটিত।- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল – ৪
মানুষ মরণশীল এ সত্য ‘চিরন্তন’ কিন্তু মানুষের কর্ম অমর। কর্ম দিয়ে কালে কালে মানুষ জগতের মধ্যে চিরন্তন হয়ে আছে। শিল্প সাহিত্যের ক্ষেত্রে অসংখ্য শিল্পী-সাহিত্যিক, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অসংখ্য বিজ্ঞানী, চিন্তার ক্ষেত্রে অসংখ্য চিন্তক-দার্শনিক তাদের জ্ঞান-বুদ্ধি-শক্তি-শ্রম সর্বোপরি মহৎ কর্ম দিয়ে পৃথিবীকে সুন্দর করে গেছেন। শারীরিকভাবে তাদের দেহাবসান হলেও কর্ম টিকে আছে। প্রতিনিয়ত তাদের কর্মের দানে সমৃদ্ধ হচ্ছে পৃথিবীর মানুষ। কালের গহ্বরে কেবল কর্মী হারায়, কর্ম হারায় না।
ক. থরে বিথরে অর্থ কী?
খ. রূপক কবিতা হিসেবে ‘সোনার তরী’ কতটা সার্থক? ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘সোনার তরী’ কবিতার মূলভাবের কোন অংশের সাথে উদ্দীপকের বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপক এবং ‘সোনার তরী’ কবিতার মূলভাব একই ধারায় উৎসারিত।- যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল – ৫
পলি ও মিলি কলেজে পড়ে। ‘সোনার তরী’ কবিতাটি তাদের ক্লাসে পাঠ্য। কবিতাটি তারা পড়েছে, কিন্তু বুঝতে পারে নি। তারা তাদের বৃদ্ধ নানা ভইয়ের কাছে কবিতার মূল বিষয়বস্তু জানতে চাইল। নানা ভাই কবিতাটি শুনে বলল, মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী কিন্তু কর্ম চিরস্থায়ী। জীবনের ধ্বংস আছে, কর্মের নেই। দেহগত ধ্বংসের পরও কেউ কর্ম দিয়ে বহুকাল বেঁচে থাকতে পারে। মহাকালের খেলাঘরে খেলনার মূল্য নেই, খেলার মূল্য অসীম। তাই মহাকালের প্রতীক তরণীতে কেবল সোনার ফসলরূপ মহৎ সৃষ্টিকর্মের ঠাঁই হয়, কর্মী কৃষকের স্থান হয় না। সমস্ত কর্ম রেখে ব্যক্তিকে হতে হয় নিষ্ঠুর কালগ্রাসের শিকার।
ক. ক্ষুরধারা অর্থ কী?
খ. ‘এখন আমারে লহো করুণা করে’- কবি কেন এ কথা বলেছেন?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টির সাথে ‘সোনার তরী’ কবিতার মূলভাবের সাদৃশ্য নিরূপণ কর।
ঘ. ‘মহাকালের খেলাঘরে খেলনার মূল্য নেই, খেলার মূল্য অসীম।’ উদ্দীপকের এ উক্তিটি ‘সোনার তরী’ কবিতার মূলভাবের সাথে কতটা সংগতিপূর্ণ? বিশ্লেষণ কর।
সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল – ৬
মাদার তেরেসা অকৃত্রিম মাতৃস্নেহের আধার ছিলেন । আলবেনিয়ান বংশোৎভূত হয়েও তিনি তার কাজের জন্য সারা পৃথিবীতে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ১৯৫০ সালে তিনি কলকাতায় মিশনারিজ অব চ্যারিটি নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে এই চ্যারিটি হোম সমথ পৃথিবীর দরিদ্র, অসুস্থ, অনাথ ও মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের জন্য কাজ করে । এই কাজের জন্য ১৯৭৯ সালে তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেই পুরস্কারের সমস্ত অর্থ তিনি সেবার কাজে ব্যয় করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন । কিন্তু পৃথিবীর মানুষ আজও তীর নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।
ক. বাংলা কত তারিখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম গ্রহণ করেন?
খ. “বাঁকা জল’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. “সোনার তরী” কবিতার কোন বিষয়টি মাদার তেরেসার জীবনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “মাদার তেরেসার জীবন পরিণতিই “সোনার তরী” কবিতার মূল উপজীব্য’_ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল – ৭
শামীম চৌধুরী একজন সাংবাদিক। সরকারের দুর্নীতিমূলক সংবাদ প্রকাশ করে বেশ সুনাম অর্জন করেন তিনি। সরকারের শত রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সংবাদ প্রকাশ করে জনগনের মাঝে ব্যাপক আলোচিত হন। যে পত্রিকায় কাজ করেন সে পত্রিকাও তাকে নিয়ে গর্ব করে। কিছুদিন যাবৎ একেবারে অক্ষম হয়ে অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছেন। প্রথম দিকে পত্রিকা অফিসের কয়েকজন সহকর্মী খোঁজখবর নিলেও এখন প্রায় অসহায় অবস্থায় আছেন। লোকমুখে ও টেলিভিশনে এখনও মাঝে মাঝে তার লেখার প্রশংসা শোনেন। কিন্তু তার পাশে এসে দাঁড়ায় না কেউ।
ক. ‘সোনার তরী’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত?
খ. ‘যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী’- চরণটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপক ও ‘সোনার তরী’ কবিতার মধ্যে কোন দিক থেকে মিল লক্ষ করা যায়?
ঘ. ‘মানুষ নয়, তার কর্মই টিকে থাকে পৃথিবীর মাঝে’- উক্তিটি কি যথার্থ? এ ব্যাপারে উদ্দীপক ও ‘সোনার তরী’ কবিতার সাহায্যে মূল্যায়ন কর।
শেষ কথা
তো প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্ট এ আপনারা জানলেন কয়েকটি সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর এবং এরই সাথে কিছু এক্সট্রা সৃজনশীল প্রশ্ন। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের কাছে অনেক টা ভালো লেগেছে।
ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমাদের। আর এরকম সব পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই ওয়েব সাইট টি তে। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।