ইফতারের দোয়া
সুপ্রিয় পাঠক । আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো এবং সুস্থ আছেন। পবিত্র রমজানে সবাই রোজা রেখে ভালো থাকুন এই দোয়াটি করি এবং আপনাদের কাছে দোয়া চাই।
আজ আপনাদের সাথে ইফতারের দোয়া ও এ সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয় শেয়ার করছি । আপনারাও শেয়ার করে সদকায়ে জারিয়ার ভূমিকা নিতে পারেন ।
সূচিপত্র
ইফতারের পূর্বের দোয়া
يَا وَاسِعَ الْمَغْفِرَةِ اغْفِرْ لِي
বাংলা উচ্চারণ: ইয়া ওয়াসিআল মাগফিরাহ। ইগফিরলী । ( শুআবুল ঈমান লিল বায়হাকী, হাদীস নং ৩৬২০ )
নোট: এই দোয়াটি আসরের পর থেকে পড়া যায় । যদিও এটি ইফতারের আগে বেশি বেশি পড়া উত্তম । ব্যস্ততার ভিড়েও ছোট এই আমলটি করার চেষ্টা করুন।
ইফতার করার দোয়া
اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ، وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ
ইফতার খাওয়ার দোয়া
আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিযক্কিকা আফতারতু । ( সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩৫৮,মুজামুল আওসাত, হাদীস নং ৭৫৪৯ )
নোট: এই দোয়াটি পড়ে ইফতার করতে হয় । এই দোয়াটির শেষাংশে আরো একটু অংশ বাড়িয়ে বলেন কেউ কেউ। অনেক ক্যালেন্ডারেও লেখাটি আছে। সেটি হলো বিরহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন। এভাবে ও পড়া জায়েয।
ইফতার শেষ করার দোয়া
ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ
বাংলা উচ্চারণ : জাহাবাজ জমাউ ওয়াব তাল্লাতিল উরুকু , ওয়াসা বাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ ।
(আবু দাউদ, হাদীস নং-২৩৫৭ )
ইফতারের কয়েকটি মাসায়েল
প্রশ্ন: হিন্দুদের সাথে ইফতার করা যাবে কি?
উত্তর- অফিস কিংবা হোটেল রেস্তোরায় হিন্দুদের সাথে ইফতার করা যাবে। এতে কোন সমস্যা নেই। তবে যদি পবিত্রতার সন্দেহ হয় বা তাদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে খাওয়া যাবে না। স্মরণ রাখবেন বিধর্মীদের সাথে খানা খাওয়ার অভ্যাস করা মাকরুহ।
প্রশ্ন: ইফতার পার্টিতে যাওয়ার বিধান কি ?
উত্তর- ইফতার করা এবং অন্যদের করানো সওয়াবের কাজ। রোজা মাসে তাই বিভিন্ন ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। মুসলমানদের ইফতার পার্টিতে নিঃসন্দেহে যাওয়া যাবে । তবে উদ্যোক্তাদের ইনকাম হারাম ব্যাপারে নিশ্চিত জানা থাকলে এড়িয়ে যেতে হবে।
তবে যদি বিধর্মীরা তাদের ধর্মমতে পূণ্যের আশায় ইফতার পার্টির আয়োজন করে তাহলে সেখানে যাওয়া যাবে । সুতরাং বিধর্মীদের পার্টি বা ওদের কেউ উপস্থিত থাকলেই সেটা হারাম হয়ে যায় না। কিন্তু যদি উক্ত অনুষ্ঠানে গেলে নিজের ঈমান আমলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে সেটি মুসলমানদের প্রোগ্রাম হলেও যাওয়া বৈধ নয়।
প্রশ্নঃ ইফতার ফান্ডের অতিরিক্ত টাকা কি করা উচিত?
উত্তর- মূলত বিষয়টি যিনি বা যারা টাকা দান করেছেন উক্ত ব্যক্তির নিয়তের উপর নির্ভরশীল । যদি উক্ত ব্যক্তি এ টাকা শুধুমাত্র রোজাদারদের ইফতারের জন্য খরচের নিয়ত করে থাকে এবং অন্য কাজে ব্যয়ের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে থাকে তাহলে উক্ত টাকা অন্য কোন খাতে ব্যয় করা জায়েজ হবে না । বরং তা পরবর্তী রমজানের খরচের জন্য ইফতার ফান্ডে জমা করে রাখতে হবে। তবে যদি উক্ত ব্যক্তির মন মানসিকতা এমন হয় যে এ টাকা দিয়ে জনগণের উপকার মূলক কাজে ব্যয় করার অনুমতি থাকে তাহলে অন্যান্য কাজে ব্যয় করতে পারবে । মসজিদ ,মাদ্রাসার কাজ ছাড়াও অন্যান্য সদকা জারিয়ার কাজ করা যাবে ।
সুপ্রিয় পাঠক । আশা করি উল্লেখিত বিষয়গুলো সকলে বুঝতে পারছেন । কারো যদি কোন বিষয়ে দলীলসহ জানতে ইচ্ছা হয় তাহলে কমেন্ট করুন । আমাদের নির্ধারিত আলেম লেখকগণ দ্রুত লিখে দেবেন ইনশাআল্লাহ।